গুগল থেকে আয় করার ৫ টি উপায়

গুগল এমন একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম, যেখান থেকে আপনি খুব ভালো পরিমানে আয় করতে পারেন। গুগল থেকে টাকা আয় কিভাবে করবেন?

গুগল থেকে আয় করার ক্ষেত্রে বাধা

এক্ষেত্রে আপনি যদি গুগল থেকে আয় করতে চান, তাহলে অবশ্যই কোন বিষয়ের মাধ্যমে আয় করতে চান সেগুলো নির্বাচন করতে হয়। যা করতে আমরা অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ।

আপনি যদি আপনার যেকোনো একটি পছন্দের ক্যাটাগরি বেচে নেন, যে আপনি গুগল থেকে ওই ক্যাটাগরি মাধ্যমে আয় করতে চান, তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার জীবনে সচ্চলতা খুজে পাবেন৷

ক্যাটাগরি বলতে আপনার যদি লেখালেখি সম্পর্কে খুব বেশি অভিজ্ঞতা থাকে, এবং এখন শুধু লেখালেখি করতে ভালবাসেন এবং আপনি যদি একজন টেকপ্রেমী হন তাহলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।

এবং তারপর এখানে কনটেন্ট আপলোড করে ভালো পরিমানে আয় করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি যদি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি রিলেটেড ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন এবং এখানে আপনার ফটোগুলো সেল করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

আপনি যদি ভাল ধরনের ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন, এবং বিভিন্ন ধরনের রিলেটেড কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। তাহলে আপনি সহজেই আরেকটি উল্লেখযোগ্য পন্থায় গুগল থেকে আয় করতে পারবেন।

এখানে মোট কথা একটাই আর সেটি হলো আপনি যদি আয় করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার পছন্দের ক্যাটাগরি খুঁজে বের করতে হবে,  এবং তারপরে আয় করার কাজে নিয়োজিত হতে হবে।

তবে ব্যাপার না। আজকের এই পোস্টটিতে আমি গুগল থেকে আয় করার একদম সহজ কয়েকটি পন্থা সম্পর্কে আলোচনা করেছি,  যা আপনি ব্যবহার করলে খুব সহজেই পরবর্তীতে ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।

কিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায়? এবং আয় করার অন্যতম পন্থা সম্পর্কে জানতে হলে এই পোস্টটি একেবারে কন্টিনিউ করতে থাকুন।

গুগল থেকে আয় করার উপায়

সকল বাধা এবং জল্পনা কল্পনা কাটিয়ে আপনি যদি এবার গুগল থেকে আয় করতে চান, তাহলে সে সম্পর্কে নিচে থেকে জেনে নিতে পারেন।

লেখালেখির মাধ্যমে

আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন, এবং বিভিন্ন ধরনের টেকনিক্যাল রিলেটেড টিপস এবং ট্রিকস জানেন।

এছাড়া না জানলেও এগুলো জানার প্রতি আগ্রহী হন, তাহলে আপনি গুগল এর বিভিন্ন প্লাটফর্মে লেখালেখির মাধ্যমে খুব ভালো পরিমানে আয় করতে পারেন।
লেখালেখি করার মাধ্যমে আয় করার ক্ষেত্রে আপনি প্রধানত দুইটি পন্থা অবলম্বন করতে পারবেন। আর সেগুলো সেই পন্থাগুলো হলো।

  • অন্যের জন্য লিখা।
  • নিজের জন্য লেখা।

এখানে অন্যদের জন্য লেখা বলতে আপনি চাইলে গুগল এ সার্চ করার মাধ্যমে এরকম বিভিন্ন ধরনের পেইড গেস্ট পোস্টিং সাইট পেতে পারেন।

যে সাইটগুলোতে আপনি আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে ভালো পরিমানে আয় করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আর্টিকেল লিখার আগে আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে চান, সেই বিষয়ে খুব ভালোভাবে তথ্য সংগ্রহ করে রাখুন।

তারপরে এর উপর একটি বড় তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখে তারপর গেস্ট পোস্টিং এর মাধ্যমে অন্য ওয়েবসাইটে পাবলিশ করুন।

আপনার তথ্যগুলো যদি ইউনিক হয় এবং এগুলো আপনার বাছাইকৃত ওয়েবসাইটে যদি প্রকাশের জন্য উপযোগী হয়৷ তাহলে আপনি এই ওয়েবসাইটে আপনার আর্টিকেল প্রকাশ করার মাধ্যমে ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।

নিজের জন্য লেখা

নিজের জন্য লেখা বলতে আপনি যদি এই আর্টিকেলগুলো আপনার নিজস্ব কাজে ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনি ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।

ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো ধরনের ফ্রী প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনার কাছে যখন নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ থাকবে তখন আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটটিকে আরো বেশি কার্যকরী করে তোলার জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করতে পারবেন।

উপরে উল্লেখিত আর্টিকেল যখন আপনি দেখে নিবেন তখন এই সম্পর্কে অবগত হয়ে যাবেন, কিভাবে যেকোন প্লাটফর্মে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে।

আপনি যখন যেকোনো একটি প্লাটফর্মে একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করে নিবেন,তখন এখানে বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি রিলেটেড আর্টিকেল পাবলিশ করেন।

তারপর আর্টিকেলগুলো যখন আপনি ভিজিটরের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন, তখনই আপনি এখান থেকে সারা জীবনের মতো আয় করতে পারবেন।

ব্যাপারটা এরকম যে, আর্টিকেল লিখার পরে আপনি গুগল এডসেন্স এর কাছে আবেদন করবেন, আপনার সাইট অনুমোদনের জন্য।

তারপর যখন আপনার সাইট গুগলে অ্যাডসেন্সের পলিসির মধ্যে পড়বে এবং গুগল এডসেন্স অনুমোদন করে দিবে তখন আপনি এখানে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দেখিয়ে ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।

আর আপনি যদি লেখালেখির মাধ্যমে গুগল থেকে আয় করতে চান, তাহলে উপরে উল্লেখিত দুইটি উপায় ব্যবহার করতে পারেন।

ভিডিও আপলোড করে আয়

আপনি যদি গুগল থেকে আয় করতে চান আপনার ভিডিও পাবলিশ করার মাধ্যমে তাহলে আপনি এটা খুব সহজেই করতে পারবেন।

আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি রিলেটেড ভিডিও ইউনিকভাবে এডিট করে, ইউজার ফ্রেন্ডলি করে, এমন একটি প্লাটফর্মে আপলোড দিবেন যেখান থেকে আপনি এই ভিডিওগুলো মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

আর বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও প্লাটফর্ম যতগুলো রয়েছে এগুলোর মধ্যে আমরা সবচেয়ে বেশি চেয়ে প্ল্যাটফর্মকে প্রাধান্য দেই, সেটি হল ইউটিউব

আর আপনিও যদি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে।

তারপর এখানে বিভিন্ন ধরনের মানসম্মত ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে গুগল এডসেন্স-এর মনিটাইজেশন নিয়ে তারপরে আপনার ইউটিউব চ্যানেল আয় করার উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে আয় করার ক্ষেত্রে আপনি চাইলে আরও বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। যেগুলো সাধারণত গুগল এর অন্তর্ভুক্ত নয়।

ভিডিও আপলোড করে আয় করতে হলে ইউটিউব  ব্যবহার করুন।

ছবি বিক্রি করে গুগল থেকে আয়

আপনি যদি একজন ফটোগ্রাফার হন এবং আপনি সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত থাকেন যে আপনার ফটোগ্রাফি অসম্ভব সুন্দর হয়, এবং এটি যে কোন প্লাটফর্মে ব্যবহারের উপযোগী মনে করেন।

তাহলে আপনি চাইলে গুগল ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার এই পছন্দের ফটোগ্রাফি গুলোকে বিক্রি করে দিতে পারেন।বিক্রি করার ক্ষেত্রে আপনি গুগল প্লাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারবেন।

যারা আপনার ছবিগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভ্যালু প্রদান করবে। আপনি যদি এরকম ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে চান, তাহলে নিচে উল্লেখিত কয়েকটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন।

যেগুলো করার মাধ্যমে আপনি চাইলে আপনার ছবি লাইসেন্স দেখিয়ে সর্বনিম্ন ১০০ ডলার হতে আরো বেশি পরিমাণে আয় করতে পারবেন।

আর উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইটগুলোতে আপনার নিজস্ব ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে ছবি বিক্রি করার আগে আপনাকে অবশ্যই লাইসেন্স দেখাতে হবে। এজন্যই যে এই ছবিটি আসলেই আপনি ফটোগ্রাফি করেছেন।

সবকিছু ঠিক থাকলে, এবং আপনার দেয়া ছবি এডিট করা থাকলে উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইটগুলাতে যদি আপনার ছবিগুলো বিক্রি করেন, তাহলে এর বিনিময় এই ছবিগুলো থেকে টাকা আয় করেন।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস দিয়ে টাকা আয়

এখানে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস দিয়ে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে গুগল কিভাবে ভূমিকা রাখে? এই বিষয়টিকে একেবারে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা যাক।

আপনার যেকোনো একটি এন্ড্রোয়েড অ্যাপসের প্রয়োজন হলে আপনি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিন কোন প্ল্যাটফর্ম কে?

এখন আপনি বলবেন যে ,  যখন আমার কোন একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এর প্রয়োজন হয়, তখন আমি গুগল প্লে স্টোরে ভিজিট করি এবং তারপর এখানে ওই অ্যাপস এর নাম যখন আমি সার্চ করে নেই,  তখনই আমি এখান থেকে বিভিন্ন অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে পারি।

আসলে ব্যাপারটা এরকম আপনি যদি একজন অ্যাপ ডেভেলপার হওয়ার অ্যাপস তৈরি করার মাধ্যমে আয় করতে চান,  তাহলে আপনি গুগল ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি যখনই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডাউনলোড করার জন্য যে কোন একটি প্লাটফর্মে ভিজিট করেন, তখন আপনি যেকোন একটি অ্যাপস এর পেইড ভার্সন দেখতে পান।

পেইড ভার্সনের সাথে সাধারণত ফ্রী ভার্শন অ্যাভেলেবল থাকে। আর ফ্রি ভার্সনে আপনি সীমিত সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারেন।

তবে আপনার যদি যেকোনো ধরনের অ্যাপস এর খুব বেশি পরিমাণ প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি এটি ক্রয় করার মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারেন।

 
কিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায়? (৫ টি উপায়)

আর আপনি যদি একজন সফল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপার হন, তাহলে আপনার অ্যাপসগুলোকে গুগল প্লে স্টোরে প্রচারের মাধ্যমে খুব ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।

আপনি যদি আপনার অ্যাপসগুলোকে গুগল প্লে স্টোরে সবাইকে ফ্রিতে প্রোভাইড করেন, তাহলেও আপনি আয় করতে পারবেন।

আয় করতে হলে আপনাকে যেকোন ধরনের অ্যাডভার্টাইজমেন্ট আপনার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এ শো করাতে হবে।

আর ঐ সমস্ত অ্যড  ইউনিটে হতে যখনই কেউ ক্লিক করবে তখনই আপনার নির্দিষ্ট একাউন্টে টাকাগুলা জমা হবে, এভাবেই মূলত আপনি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে গুগলের সাথে আয় করতে পারবেন।

আর এভাবেই আপনি চাইলে গুগল থেকে টাকা আয় করতে পারবেন৷ গুগল থেকে আয় করার যে গাইডলাইন জানানোর প্রয়োজন ছিল সেটা সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top