গুগলের অনেকগুলো প্রডাক্ট রয়েছে যেগুলো আমাদের ব্যক্তিজীবনকে পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি সহজতর করে তুলেছে।
আমাদেরকে অনলাইনের সাথে নিজেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে সাহায্য করছে, এই প্রোডাক্ট গুলোর মধ্যে একটি হলো গুগল ডকস।
এই গুগল ডকস কেন তৈরি করা হয়েছে? এটির কাজ আসলে কি? এই সম্পর্কে আমরা প্রায় অনেকেই জানিনা আর যারা গুগল ডকস এর ব্যবহার এবং এটির কাজ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা রাখেন না তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটিতে আমি সম্পূর্ণ আলোচনা করব।
আপনি গুগল ডকস ব্যবহার করার মাধ্যমে কি ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন? এবং এটির ব্যবহার আসলেই কি?
এই সম্পর্কে যদি শঙ্কিত অবস্থায় থাকেন তাহলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখে নিতে পারেন।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
গুগল ডকস আসলে কি?
আপনি হয়তো গুগল ড্রাইভের কথা পড়বে শুনেছেন, গুগল ড্রাইভ এর মাধ্যমে আপনি আপনার যেকোন ফাইল ফরমেট কে একেবারে গুগলের সিকিউরিটি সহায়তায় ইন্টারনেটের মধ্যে লুকিয়ে রাখতে পারেন।
ফলে আপনার ফোনের স্টোরেজ থেকে ওই সমস্ত ফাইলগুলো যদি ডিলেট হয়ে যায় তাহলে আপনি এগুলো আপনার গুগল ড্রাইভ এর মাধ্যমে আবার রিকভার করে নিতে পারেন।
ঠিক একই রকমভাবে গুগল ডকস আপনি ব্যবহার করতে পারেন তবে এর ব্যবহার খানিকটা ভিন্ন আপনি চাইলে আপনার যেকোনো ধরনের নোট কিংবা যেকোন আর্টিকেলকে ভালোভাবে কাস্টমাইজ করে গুগল ডকস নামক অ্যাপস এ লুকিয়ে রাখতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি আপনার যেকোন একটি গুগল অ্যাকাউন্ট এর সহযোগিতায় ফাইলগুলো পুরোপুরি লুকিয়ে রাখতে পারেন।
যাতে করে কেউ এটির অ্যাক্সেস ততক্ষণ পর্যন্ত নিতে পারবে না যতক্ষণ না আপনি এই ফাইলটি অ্যাক্সেস দিবেন।
এটি একটি বিরাট সুবিধা হল আপনি যখন কোন একটি ফাইল এর লিঙ্ক শেয়ার করবেন অথবা ভুলবশত কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল এর লিঙ্ক শেয়ার করা হয়ে যাবে, তখন যদি আপনি ওই ফাইলটির অ্যাক্সেস অন্যান্য ব্যক্তিদেরকে না দেন তাহলে ওই ফাইলটিতে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
এতে করে আপনার ফাইল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থেকে বেঁচে যাবে, এবং এটি প্রায় সব ক্ষেত্রেই কাম্য।
সবকিছু মিলিয়ে গুগল ডকস একটি অসাধারণ গুগল এর প্রোডাক্ট যার মাধ্যমে আপনার ফাইলগুলো নিশ্চিন্তে সুরক্ষিত অবস্থায় থাকবেন।
গুগল ডকস এর ব্যবহার
আমরা অনেকেই হয়তো জানি না গুগল ডকস আসলে কিভাবে ব্যবহার করে? আর এই ধরনের সমস্যা নিয়ে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের জন্য আমি আজকে স্পেশালি দেখে দেবো কিভাবে গুগোল ডকস ব্যবহার করবেন? এবং কিভাবে আপনার ফাইলগুলো সেইভ রাখবেন।
গুগল ডকস ব্যবহার করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে গুগোল ডকস এর অফিশিয়াল অ্যাপসটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে।
অ্যাপসটি ডাউনলোড করা হয়ে গেলে প্রথমে এতে প্রবেশ করুন এবং তারপরে আপনি নিচের দিকের একটি প্লাস(+) আইকন দেখতে পারবেন, এই প্লাস আইকন এর উপর ক্লিক করুন।
এতে ক্লিক করার পর আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সহকারে যেকোনো ধরনের আর্টিকেল এখানে পেস্ট করুন অথবা এখানে লিখে ফেলুন।
লেখার ক্ষেত্রে আপনি অনেক ধরনের ফিচারস ব্যবহার করতে পারবেন যেমনঃ আপনি চাইলে এতে বিভিন্ন ধরনের ইমেজ, কিংবা লেখাগুলোকে বোল্ড করা, ফন্ট গুলো চেঞ্জ করতে পারবেন।
আপনার কাজগুলো শুধু তাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না আপনি চাইলে আপনার লেখাগুলো কে ভালোভাবে হেডিং, সাব হেডিং সহ যে কোন ধরনের ভালো ফিচারস সহযোগিতায় আরো বেশি উজ্জ্বল করে তুলতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত লেখাগুলোকে ভালোভাবে কালারফুল করে তুলতে পারবেন, এবং সবশেষে সমস্ত কাস্টমাইজেশন শেষে আপনি এদিকে সেভ করে দিতে পারবেন।
এই সমস্ত ফিচারস ব্যবহার করার জন্য আপনি উপরে-নিচে অনেকগুলো অপশন দেখতে পারবেন, এগুলোর উপর টাচ করুন, এবং এতে আপনি নিজেই বুঝে যাবেন যে কোন ফিচারটি ব্যবহার করলে আপনার লেখাগুলো কি রকম হবে।
সমস্ত ফিচারগুলো ব্যবহার করা হয়ে গেলে এবার আপনি চাইলে আপনার ওই নির্দিষ্ট ডকুমেন্টের একটি টাইটেল দিতে পারেন, টাইটেল দিতে হলে প্রথমে এটিকে সেভ করে দিন এবং তারপর উপরের দিকে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনি আপনার ওই ফাইল রিলেটেড যেকোনো ধরনের টাইটেল দিতে পারবেন এবং তাহলে ফাইলটি খুঁজে নিতে আপনার বিন্দুমাত্র বিভ্রান্তির সম্মুখীন হতে হবে না।
সবশেষে আপনি যখন আপনার ওই গুগোল ডকস ফাইল টির সমস্ত কিছু কাস্টমাইজেশন এবং টাইটেল দিয়ে দিবেন, তখন আপনি চাইলে এর লিংক সংগ্রহ করতে পারবেন।
লিংক সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে ওই হোমপেইজে চলে আসতে হবে এবং তারপরে (…) ক্লিক করতে হবে।
তাহলে আপনি আপনার ওই ফাইলটির জন্য লিংক সংগ্রহ করার একটি অপশন পেয়ে যাবেন এতে ক্লিক করলেই লিংকটি কপি হয়ে যাবে।
লিংক কপি করা হয়ে গেলে এবার আপনি যদি এটি অন্য কারো সাথে শেয়ার করেন, তাহলে এটি যে কেউ দেখতে পারবে না এক্ষেত্রে আপনাকে পারমিশন দিতে হবে।
পারমিশন দেয়ার জন্য আপনাকে আবার ওই পূর্বে মত 3 ডট এর উপর ক্লিক করে Link sharing off অপশনটিতে ক্লিক করলেই আপনার লিংক শেয়ারিং অন হয়ে যাবে।
এতে করে যে কেউ আপনার ওই ফাইলটি লিঙ্কের সহযোগিতায় তা দেখতে পারবে এবং এটি যেকোন ব্রাউজারে ভিজিবল হবে।
আর এভাবেই আপনি চাইলে আপনার যেকোনো ধরনের টেক্সট কিংবা ইমেজ ফাইলটি গুগোল ডকস এর সহযোগিতায় ভালোভাবে সেভ করে রাখতে পারবেন।
এবং পরবর্তীতে এটি প্রয়োজন হলে আপনি আবার ব্যবহার করতে পারবেন এটি কখনো এখান থেকে ডিলিট হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি এখান থেকে এটিকে রিমুভ করে দিবেন।
আর এটি হলো গুগল ডকস এর ব্যবহারের একটি পরিপূর্ণ গাইডলাইন যা আপনাকে এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে সহযোগিতা করবে এবং সঠিক মর্ম বুঝতে সাহায্য করবে।
very helpful post
ধন্যবাদ। সাথেই থাকুন।।