ইউটিউব চ্যানেলের সম্পর্কে পুরোপুরি গাইডলাইন |

একটিমাত্র ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি চাইলে আয় করতে পারেন;আবার সেই একই রকম ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি অন্যান্য ইউটিউবারদের ভিডিও উপভোগ বা উপলব্ধি করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনি যখনই ইউটিউব একাউন্ট খুলে নিবেন তখনই আপনি চাইলে খুব সহজেই ইউটিউব এর জগতে প্রবেশ করতে পারবেন; সেটা ভিডিও দেখার জন্য হোক বা আয় করার ক্ষেত্রে।

আর আজকের এই পোস্টটিতে ইউটিউব চ্যানেল সম্পর্কে সমস্ত বিষয়বস্তু আলোচনা করা হবে। বলতে পারেন একটি আল্টিমেট গাইড যা আপনি আগে কখনো দেখেননি।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল খোলা খুবই সহজ একটা ব্যাপার; কিন্তু আপনি সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে খুলবেন না।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার পরেও আপনাকে আপনার চ্যানেলের সাথে এমন কিছু বিষয় বস্তু সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে হবে; যেগুলো আপনার চ্যানেল grow করতে সহায়তা করবে।

সম্পূর্ণ একটি নতুন প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে আমি পূর্বের আরেকটি আর্টিকেল এর মধ্যে আলোচনা করেছি।

যেখানে আপনি step-by-step কিভাবে একটি ইউটিউব একাউন্ট খুলতে পারবেন সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।

Aslo Read: কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন?

আশা করি আপনি উপরে উল্লেখিত লিংকের মাধ্যমে খুব সহজে আপনার জীবনের প্রথম একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন। এবং এটি আপনার আয় করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেলের সুন্দর নাম

আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে খুব বেশি আকর্ষণীয় এবং সবার কাছে জনপ্রিয় করার একটি অন্যতম পন্থা হলঃ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের একটি সুন্দর নাম। যা অনেকটা আপনার চ্যানেলের ব্র্যান্ডিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়।

আপনি যখনই যেকোনো রিলেটেড একটি ইউটিউব নতুন চ্যানেল খুলতে যাবেন তখন আপনাকে অবশ্যই এর জন্য একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করতে হবে। আর আপনার ইউটিউব একাউন্ট ক্যাটাগরির এদের একটি চ্যানেল নাম আপনি নিচের আর্টিকেল থেকে বেছে নিতে পারেন।

Also Read: ইউটিউব চ্যানেলের জন্য আপনার পছন্দমত নাম চয়ন করুন

এই আর্টিকেল থেকে যখন আপনি আপনার পছন্দমত কোন একটি নাম সিলেক্ট করে নিবেন। তখন আপনি চাইলে আপনার নতুন ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল সেটিং

আপনি যখনই আপনার ইউটিউব চ্যানেল খোলার কাজ সম্পাদন করে ফেলবেন। তখন আপনাকে যে কাজটি সর্বপ্রথম গুরুত্বসহকারে করতে হবে সেটি হলোঃ আপনার ইউটিউব চ্যানেল সেটিং।

আপনাকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি করে গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে আপনি খুব সহজেই যেকোন ভিডিও আপলোড করলে র্যাঙ্কিংয়ের দৌড়ে এগিয়ে থাকতে পারেন।

এক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেল খোলার পরে আপনার চেনেলের টাইটেল কিংবা চ্যানেলের ডেসক্রিপশন রয়েছে, সেটিকে ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হয়।

এছাড়াও আপনি আপনার চ্যানেলের লোগো কিংবা ইউটিউব চ্যানেল আর্ট রয়েছে সেটিকে পুরোপুরি মোবাইল এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি হিসেবে গড়ে তুলুন; যাতে করে আপনার চ্যানেল টি আকর্ষণীয় দেখায়।

আপনাকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের যে কাস্টম ল্যাঙ্গুয়েজ রয়েছে; আপনি যে দেশ থেকে অবস্থান করছেন, সেই বিষয়গুলো ভালোভাবে সেটিং করতে হয়। এগুলো প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ সেটিং এর মধ্যে অন্যতম।

Also Read: ইউটিউব চ্যানেল সেটিং করার উপায়

আশা করি আপনি এই আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ইউটিউব চ্যানেল সেটিং করতে পেরেছেন এবং এটিকে পুরোপুরি ইউজার ফ্রেন্ডলি করে গড়ে তুলতে পেরেছেন।

ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব কিভাবে বৃদ্ধি করবেন?

ইউটিউব চ্যানেলে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার চ্যানেল কতটা এগিয়ে যাচ্ছে সেটি যে বিষয়ের উপরে নির্ভর করে সেটি হলোঃ আপনার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব।

ইউটিউব চ্যানেলের সমস্ত কাজ সম্পাদন করার পরে আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব বৃদ্ধি করার দিকে নজর দিতে হয়। আপনাকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হয়।

প্রথমত ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব সংখ্যা বৃদ্ধি করা কিছুটা ডিফিকাল্ট হলেও পরবর্তী সময়ে আপনি যখন পপুলারিটি অর্জন করবেন; তখনই এটি অটোমেটিকলি সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি হয়ে করে দেবে।

আপনি যখন প্রথমে ইউটিউবে পদার্পন করবেন কিংবা একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন; তখন আপনি দেখতে পারবেন যে প্রথম 1000 সাবস্ক্রাইবার হতে আপনার 6 মাস কিংবা এক বছর লেগে যেতে পারে।

এবং তারপরে যখন 2000 সাবস্ক্রাইবার হবে তখন আরো কিছু কম সময় লাগবে। এবং এভাবে যত বেশি সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি পাবে; আপনার সাবস্ক্রাইবার কাউন্ট হতে তত কম সময় লাগবে।

তবে একদম শুরুর দিকে আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করার দিকে নজর দিবেন; তখন আপনাকে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হলোঃ

  • রেগুলার ভিডিও আপলোড।
  • ট্রেন্দিং টপিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করা।
  • ভিডিওর কোয়ালিটি মেইনটেইন করা।
  • ভিডিওকে পরিপূর্ণ ভাবে এডিট করা।
  • আনকমন টপিক নিয়া ভিডিও তৈরি করা।
  • ভিডিও এর মধ্যে প্রমাণ যুক্ত করা।
  • low কম্পিটিশন কিওয়ার্ড রিসার্চ করা ইত্যাদি।

যখনই কোনো ভিডিও আপলোড করবেন তখন উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন এবং তারপরে ভিডিও তৈরি করার কাজে লাগবে।

এছাড়াও আপনি ইন্টারনেটে সার্চ করে আরো বেশি বিষয়বস্তু জেনে নিতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট

আপনি যদি খুব কম সময়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চান; তাহলে আপনি যে কাজটি করতে পারেন সেটি হলো- আপনার “ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট করা”।

এটি পেইড সার্ভিস; তবে আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কোন ভিডিও প্রমোট করবেন; তখন যে কোনো রকমের টপিক রিলেটেড সার্চ রেজাল্টে আপনার ভিডিওটি আসবে।

এবং আপনার ভিডিও এর টাইটেল এবং thumbnails যদি আকর্ষণীয় হয় তাহলে যে কেউ আপনার টাইটেল বা ফিচার্ড ইমেজ এর উপরে ক্লিক করে আপনার ভিডিওতে পদার্পণ করবে। এবং পছন্দ হলে চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবে।

এছাড়াও ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট করলে আপনি আপনার চ্যানেলের ভিউ এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবেন; সবকিছু মিলিয়ে এটি আপনার পরিপূর্ণ কাজে আসবে।

আপনি যদি আপনার চ্যানেলকে প্রমোট করতে চান তাহলে প্রথমে নিচের দেয়া লিংকে ভিজিট করুন এবং তারপরে স্টেপ বাই স্টেপ কাজ করতে থাকুন।

ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট লিঙ্ক

যখনই আপনি লিংকে ভিজিট করবেন তখন আপনি স্ক্রীনশটএর মত একটি পেইজ দেখতে পারবেন; যেখান থেকে আপনাকে ‘Get Started’ নামের বাটনে ক্লিক করতে হবে।

"<yoastmark

এবং যখনই আপনি এতে ক্লিক করবেন তখন আপনাকে ডাইরেক্টলি আপনার গুগোল ads এর একাউন্টে নিয়ে যাবে। যেখান থেকে আপনার অ্যাকাউন্টটি সিলেক্ট করতে হবে।

"<yoastmark

আপনি যখনই আপনার অ্যাকাউন্ট সিলেক্ট করে নিবেন; তখন আপনি কিভাবে তাদেরকে পেমেন্ট করতে চান সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।

সবশেষে আপনি যখন সমস্ত স্টেপ কমল্পিট করে দিবেন তখন আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের যেকোনো একটি ভিডিও প্রমোট করার কাজ সম্পাদন করতে পারবেন।

সফল ভিডিও প্রমোশন কিভাবে করবেন?

আমি কয়েকটি স্টেপ করার মাধ্যমে যখন আপনি কোন একটি ভিডিও প্রমোশন করবেন তখন এর সফলতা পেতে পারেন; যেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • ভিডিও এর টাইটেল।
  • ভিডিও ডেসক্রিপশন।
  • আকর্ষণীয় Thumbnails”
  • কিছু অফার করুন।
  • ফ্রী কোন কিছু দিন।

আর উপরে উল্লেখিত টপিকগুলো যখন আপনার প্রমোট করা ভিডিও এর মধ্যে আপনি সম্পৃক্ত করতে পারবেন; তখন আপনি এর সুফল ভোগ করতে পারবেন, এবং আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার, ভিউ বৃদ্ধি করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই

আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল কে ইউটিউব নামক প্লাটফর্মে খুব বেশি সময় ধরে বা সারা জীবন টিকিয়ে রাখতে চান; তাহলে আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করে নিতে হবে।

আপনি যখনই আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করে নিবেন; তখন আপনার চ্যানেল টি ইউটিউব প্ল্যাটফর্মটিতে ভ্যালিড চ্যানেল হিসেবে প্রকাশ পাবে।
এবং কোন একটি রিপোর্টের পর এতে খুব তাড়াতাড়ি ইফেক্ট করবে না।

যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করতে চান তাহলে আপনার একটি ফোন নাম্বার এর প্রয়োজন হবে। যে নাম্বারে তারা কনফার্মেশন মেসেজ প্রেরণ করে দেয়ার পরে আপনি পরবর্তী স্টেপে এই কোডটি দিলেই আপনার একাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে।

ইউটিউব ভেরিফাই লিঙ্ক

ভেরিফাই করার লিংকে যখন আপনি ভিজিট করবেন; তখন আপনাকে ফোন নাম্বার তাদেরকে উল্লেখ করতে হবে যে ফোন নাম্বার দিয়ে আপনি চ্যানেল ভেরিফাই করতে চান।

তবে অবশ্যই আপনাকে আপনার কান্ট্রি সিলেক্ট করে নিতে হবে।

"<yoastmark

যখনই আপনি আপনার ফোন নাম্বার এখানে দিয়ে দিবেন তখন তারা আপনার নাম্বারে একটি কনফার্মেশন মেসেজ পাঠাবে। তারপরে কনফার্মেশন নাম্বার দিয়ে দিলেই আপনার একাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়

ইউটিউব চ্যানেল খোলার পরে আপনি ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আয় করতে পারেন। তবে সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার ইউটিউব চ্যানেল গ্রো করতে হবে।

ইউটিউব চ্যানেল গ্রো বলতে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে এবং আপনার চ্যানেলের পেজভিউ সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।

কারণ আপনি স্বল্পসংখ্যক সাবস্ক্রাইবার নিয়ে খুব বেশি পরিমানে আয় করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করার পরে আপনার চ্যানেল থেকে আয় করার জন্য মাঠে নেমে যান।

যখনই আপনি আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করে নিবেন তখন আপনি বিভিন্ন উপায় আপনার চ্যানেল থেকে আয় করতে পারবেন; যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ

  • প্রডাক্ট প্রমোশন।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং।
  • লিংক শর্টনার।
  • ওয়েবসাইট।

এখানে প্রডাক্ট প্রমোশন বলতে; আপনি অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রমোশন করে খুব বেশি পরিমাণে টাকা আয় করতে পারেন; যেখানে আপনাকে কিছু পারসেন্টেজ টাকা আয় করতে দেবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতেও আপনি মূলত কোন একটি ওয়েবসাইট কিংবা ব্র্যান্ডের যে কোনো রকমের প্রোডাক্ট রিভিউ করার মাধ্যমে; আপনার চ্যানেল থেকে আয় করতে পারেন।

লিংক শর্টনার ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লিংক আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ডেসক্রিপশন বক্সে দিয়ে; সেটিতে ভিজিটরকে ক্লিক করার জন্য ফোর্স করে আয় করতে পারবেন।

আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থেকে তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ওয়েবসাইটের জন্য বেশি পরিমাণে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন; এতে আপনার সাইটের আর্নিং বৃদ্ধি হবে।

উপরে উল্লেখিত উপায়ে আপনি কোন রকমের মনিটাইজেশন ছাড়াই আয় করতে পারেন। তবে কোন ভাবে আপনি যদি চ্যানেল মনিটাইজেশন এনাবেল করে নেন তাহলে আপনি আরো বেশি পরিমানে আয় করতে পারবেন।

তাহলে নিচে দেখে নিন কিভাবে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন ওপেন করে আয় করার কাজটি আরও বেশি দ্রুত করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন

আপনি শুধুমাত্র গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করতে পারেন।

তবে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করার আগে গুগল এডসেন্সের বেঁধে দেওয়া অনেকগুলো নিয়ম আপনাকে মেনে চলতে হয়।

আপনি যখনই কোন ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন তখন গুগল এডসেন্সের যে টার্গেট রয়েছে; সেই টার্গেট আপনাকে ফিলাপ করে তারপরে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হয়।

গুগল এডসেন্স এ রিকোয়ারমেন্ট হিসেবে আপনাকে যে বিষয়গুলো আপনার চ্যানেলের সাথে পূর্বে থেকে রেডি করে রাখতে হয় সেগুলো হলোঃ

  • চ্যানেলে পলিসি ঠিক থাকতে হবে।
  • সর্বশেষ 12 মাসে আপনার চ্যানেলের 6 হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে; ওয়াচ টাইম অবশ্যই রিয়াল পারসন দিয়ে করাতে হবে।
  • আপনার চ্যানেল অবশ্যই 1000 সাবস্ক্রাইবার পূর্ণ থাকতে।

এবং উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনার চেনেলের সাথে যদি মিলে যায়; তাহলে আপনি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারেন।

সবকিছু ঠিক থাকলে আপনাকে এবার আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন এর জন্য প্রস্তুত এবং এটিকে আপনি এবার এডসেন্স এর কাছে রিভিউর জন্য পাঠাতে পারেন।

monetization

উপরে উল্লেখিত লিংকে ভিজিট করার পরে আপনি দেখতে পারবেন যে আপনি আসলে এডসেন্স থেকে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিনা।

যদি মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য উপযুক্ত না হন তাহলে নিচের স্ক্রীনশটএর মত আপনি রেজাল্ট দেখতে পারবেন; এবং আপনাকে রিকোয়ারমেন্ট গুলো ফিলাপ করতে হবে।

"<yoastmark

যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করতে পারবেন এবং মনিটাইজেশন করে খুব বেশি পরিমাণে ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল বিক্রি

যদি কোন সংগত কারণে আপনার ইউটিউব চ্যানেল বিক্রি করতে চান তাহলে আপনি খুব সহজেই বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে এটি বিক্রি করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার চ্যানেলকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে করে এটি যে কেউ ক্রয় করার মত ইচ্ছা পোষণ করে।

আপনার প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল বিক্রি করার মত যে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সেগুলোর লিংক নিচে দেয়া হল; এখানে আপনি আপনার রিভিউ দিতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল বিক্রি করার সাইট

উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি যখন করবেন তখন আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। তবে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভ্যালিড ইনফর্মেশন দিতে হবে।

যখন আপনি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিবেন তখন আপনি চাইলে এখানে আপনার ইউটিউব চ্যানেল বিক্রি করার জন্য আবেদন করতে পারেন। এবং আপনি নতুন ইউটিউব চ্যানেল এখান থেকে কিনতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল ডিলিট

আপনার কাছে যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল অকার্যকর মনে হয় কিংবা আপনি যদি আরেকটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চান; তাহলে নিশ্চয়ই আপনার ইউটিউব চ্যানেল ডিলিট করতে চাইবেন।

ইউটিউব চ্যানেল ডিলিট করার কাজ আপনি খুব সহজেই সম্পাদন করতে পারেন। এজন্য প্রথমে আপনাকে অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলে লগইন করে নিতে হবে।

চ্যানেল ডিলিট করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার ইউটিউব এর সেটিং অপশনে যেতে হবে এবং তারপরে Advance নামের অপশন রয়েছে তাতে click করতে হবে।

ইউটিউব চ্যানেল ডিলিট

যখনই আপনি অ্যাডভান্স নামের অপশনটির উপরে ক্লিক করবেন; তখন আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল ডিলিট করার মত একটি অপশন পেয়ে যাবেন। Delete channel অপশন এর উপরে ক্লিক করুন।

"<yoastmark

ডিলিট চ্যানেল অপশনটির উপরে ক্লিক করার পড়ে আপনি আপনার চ্যানেল টি হাইড করে রাখতে পারেন; অথবা আপনি চাইলে আপনার চ্যানেল টি একেবারে পার্মানেন্টলি ডিলিট করে রাখতে পারেন।

এখন আপনি আপনার চ্যানেল টি ডিলিট করবেন নাকি আপনার অডিয়েন্সের সামনে থেকে হাইড করে রাখবেন; সেই বিষয়টি আপনাকে নির্বাচন করতে হবে।

আর এভাবেই মূলত আপনি খুব সহজেই আপনার ইউটিউব চ্যানেল অকার্যকর হয়ে গেলে তা ইউটিউবে জায়ান্ট স্টোরেজ থেকে রিমুভ করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে যে সম্পূর্ণ গাইড লাইন রয়েছে আশা করি আপনি এই সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত হয়ে গেছেন; এবং এই টিউটোরিয়াল দেখে আপনি হয়ে গেছেন ইউটিউব মাস্টার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top