বর্তমান সময়ে প্রায় সবকিছুই প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার কারণে আপনাকে বর্তমানে ঘরে বসেই সমস্ত কার্য সম্পাদনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম কি?
অর্থাৎ আপনি চাইলে ঘরে বসে আপনার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন, এরই ফলশ্রুতিতে আপনি চাইলে ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের সেবা ভোগ করে চলেছেন।
যেমন আপনি চাইলে ঘরে বসেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ কাউকে টাকা পাঠানোর সহ যে কোন ধরনের কঠিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছেন কয়েক মিনিটেই।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের রয়েছে অনেক ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধা। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বিকাশ, যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই নানা ধরনের কার্যাদি সম্পাদন করতে পারেন।
এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে একটি মিনিটে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম শিখতে হবে এবং তারপরে আপনার ওপেন করা ওই বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে আপনি যেকোন ধরনের কাজ করতে পারবেন।
তাহলে আর দেরি কেন এখনি দেখে নিন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে, এবং সম্পুর্ন নতুন একটি একাউন্ট খুলে নিন।
বিকাশ একাউন্ট আপনি চাইলে দুইভাবে খুলতে পারেন।
- বিকাশ অ্যাপস এর দ্বারা
- বিকাশ এজেন্ট দ্বারা
- বিকাশ অ্যাপস দ্বারা বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে আপনি যদি বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনি ফ্রিতে মাত্র 1 মিনিট খরচ করে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।
এজন্য শুধুমাত্র আপনাকে বিকাশ এর অফিশিয়াল অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে হবে, অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে হলে নিচের দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করুন।
ডাউনলোড করা হয়ে গেলে এবার আপনাকে তারা হোম পেইজে নিয়ে আসবে, এক্ষেত্রে আপনাকে ওই যে সমস্ত অ্যাকসেস আপনার কাছ থেকে নিতে চায় সে গুলোকে এলাও করে দিন।
এবং তারপরে আপনি বিকাশ এপস এ হোমপেইজে লগইন কিংবা রেজিস্ট্রেশন এই দুইটি অপশন পাবেন এগুলোতে ক্লিক করুন।
এবার আপনি আপনার যে নাম্বারটি ব্যবহার করে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান, সেই নাম্বারটি এখানে বসিয়ে দিন।
একটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনি যেই নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান সেই নাম্বারটি যেন অবশ্যই আপনার ফোনে একটিভ করা থাকে।
কারণ আপনি যখন আপনার একটি ফোন নাম্বার এখানে দিবেন বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য এক্ষেত্রে তারা আপনার নাম্বার ভেরিফাই করতে চাইবে। যার জন্য আপনার নাম্বারটি অবশ্যই আপনার ফোনে একটিভ থাকা কাম্য।
নাম্বারটি দেয়ার পর আপনি যখন পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন তখন আপনার সিমটি কোন অপারেটরের সেটি চয়েজ করতে হবে। যেমন সিমটিতে গ্রামীণফোন অপারেটর হয় তাহলে গ্রামীণফোন সিলেক্ট করতে হবে।
এরপর সব কিছু ঠিক থাকলে বিকাশ সাপোর্ট টিম এর কাছ থেকে আপনার নাম্বার একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে। এই কোডটি বসিয়ে দিলেই আপনার নাম্বারটি বিকাশ একাউন্ট এর জন্য কনফার্ম হয়ে যাবে।
নাম্বারটি যখন কনফার্ম হয়ে যাবে তখন আপনি বিকাশ সাপোর্ট টিমের কাছ থেকে একটি নোটিশ পাবেন, আপনাকে এই নোটিশটি মান্য করতে হবে। এজন্য “নিয়ম ও শর্তসমুহে সম্মত আছি” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এবার বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে যে গুলো অনুসরন করলেই আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।
- আপনার NID কার্ডের ছবি তুলুন
- আপনার সমস্ত ডিটেলস দিন
- নিজের চেহারার ছবি তুলুন
আপনার এনআইডি কার্ডের ছবি তোলার ক্ষেত্রে অবশ্যই এটা লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনি যে ছবিটি তুলেছেন সেটি যেন একদম ক্লিয়ার হয়।
এবং আপনাকে অবশ্যই ছবি তোলার ক্ষেত্রে এনআইডি কার্ডের সামনের দিকের ছবি এবং পিছনের দিকে ছবিগুলো যথাক্রমে তাদের কাছে সেন্ড করতে হবে।ছবিটি যদি ফেয়ার হয় তাহলে আপনাকে পরের পেজে আপনার নিজের সম্পর্কে কোন ধরনের ইনফরমেশন দিতে হবে না এগুলো অটো ফিলাপ হয়ে যাবে।
এবং একদম সর্বশেষে আপনাকে আপনার ওই এনআইডি কার্ডে যে ব্যক্তির ছবি আপলোড করা হয়েছে ওই ব্যক্তির একটি ছবি তুলতে হবে।
এবং একদম সর্বশেষ এটা সাবমিট করে দিলেই আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বিকাশ এর কাছ থেকে আপনার সিমে কনফার্ম মেসেজ প্রেরণ করা হবে যাতে লেখা থাকবে আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়ে গেছে।
এবার উপরের দেয়া সমস্ত ডকুমেন্ট যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনাকে একটি মেসেজে জানিয়ে দেয়া হবে যে আপনার বিকাশ একাউন্ট যথাযথভাবে খোলা হয়ে গেছে।
এবং আপনি চাইলে এখন মোবাইল পেন ব্যবহার করার সাহায্যে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন।
এক্ষেত্রে যখন আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে তখন আপনাকে আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড থেকে ডায়াল করতে হবে *247# এবং তারপর আপনার পাসওয়ার্ড সেট আপ করতে হবে।
মনে রাখবেন পাসওয়ার্ড সেটআপ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন তা যেন খুবই স্ট্রং একটি পাসওয়ার্ড হয়। অন্যথায় আপনার বিকাশ একাউন্ট ঝুঁকির মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
প্রথমবার বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম এ বিকাশ একাউন্ট খুলে বিকাশ এপ এ লগইন করলে আপনি যা যা পাবেন
আপনি যদি আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে প্রথমবার কোন বিকাশ একাউন্ট খুলে তারপরে তে লগইন করেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের বোনাস উপভোগ করতে পারবেন।
- ফ্রিতে আপনার বিকাশ একাউন্টে 50 টাকা।
- 25 টাকা রিচার্জ করলে 50 টাকা ক্যাশব্যাক।
- নতুন অ্যাকাউন্ট এ লগইন করলে 50 টাকা।
- একাউন্ট খোলার পর কাউকে আপনার রেফারেল লিংক দিয়ে রেফার করলে পাবেন 50 টাকা।
- ক্যাশ আউট হাজার মাত্র 15 টাকা।
- বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য আপনাকে কোনো এক্সট্রা চার্জ প্রযোজ্য করা হবে না।
উপরে দেয়া অফারগুলো সীমাবদ্ধতা হয়তো পরিবর্তন হতে পারে, প্রায় সময় বিকাশ তার গ্রাহকদের জন্য এই সেবা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
অথবা আপনি এখন যে সময়ে সে বিকাশ একাউন্ট খুলছেন এই সময়ে চার্জের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে অথবা আরও বেশি কমতে পারে। এছাড়াও বোনাস টাকার পরিমাণ বাড়তে কমতে পারে।
এই কাজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো
- Send money
- Mobile recharge
- Cash out
- Payment
- Pay Bil
একটা nid দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়
আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন; যদি আপনি বিকাশ একাউন্ট খুলেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডকুমেন্টস হিসাবে এনআইডি কার্ড দিতে হবে বা অন্য কিছু।
তবে অনেকেই এটা প্রশ্ন করে থাকেন যে; একটা nid দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়? এর সঠিক উত্তর হলো; আপনি একটি nid দিয়ে মাত্র ১টি বিকাশ একাউন্ট তৈরী করতে পারবেন।
Send money
বিকাশে টাকা এই সিস্টেমটি মাধ্যমে আপনি চাইলে ঘরে বসেই দেশের যেকোনো প্রান্তের অন্যপ্রকাশ গ্রাহকের কাছে টাকা প্রেরন করতে পারেন।
এটি সময় সাশ্রয়ী এবং আপনার টাকা পাঠানোর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ওই ব্যাক্তিটির কাছে ওই টাকাগুলো পৌঁছে দিতে সক্ষম।
এক্ষেত্রে আপনি এই কাজটি কিভাবে করতে পারেন প্রথমত হলো বিকাশ এপস এর দ্বারা আর অন্যটি হলো মোবাইল মেনুর এর দ্বারা।
এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতি 1000 টাকা প্রেরণের জন্য কিছু ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয়, যা আপনার ব্যবহৃত বিকাশ একাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়।
Mobile Recharge
আপনি যে কোন ধরনের দুর্যোগ নয় মুহূর্তে মোবাইলে রিচার্জ করার জন্য আর এদিক থেকে সে দিক ঘুরাঘুরির বা ফ্লেক্সিলোডের দোকানে যাওয়ার কোন দরকার নেই।
আপনি যদি বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে তারপর ফ্রিতে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলে নেন তাহলে আপনি এই কাজটি ঘরে বসেই খুবই দ্রুততার সহিত করতে পারবেন।
এজন্য প্রথমে আপনাকে বিকাশ অ্যাপ কিংবা বিকাশ মেনু সিলেক্ট করে, তারপর আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে আপনার যে কোন অপারেটরের সিমের রিচার্জ করে নিতে পারবেন।
Cash Out
এক্ষেত্রে আপনার বিকাশ একাউন্টের যদি টাকা থাকে এবং আপনি এরকম কোন অবস্থার মধ্যে পড়েন যেখানে আপনার কাছে অবশ্যই টাকা থাকা প্রয়োজন, সে সময় আপনি বিকাশ অ্যাপস থেকে আপনার টাকা গুলো বের করতে পারবেন।
এজন্য আপনি যেই জায়গায় অবস্থান করবেন তার আশেপাশে থাকা বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে আপনি টাকা ক্যাশ আউট করতে পারবেন।
এবং টাকা ক্যাশ আউট করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার সমস্যা থেকে উত্তীর্ণ হতে পারবেন।
Payment
আপনি চাইলে এখন ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে আপনার যেকোন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ক্রয় করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে কোন না কোন উপায়ে যেকোনো জিনিস করা করতে হলে তাদেরকে পেমেন্ট করতে হয়। কাছের কোন কোম্পানি হলে আপনি কোম্পানিতে উপস্থিত থেকে পেমেন্ট করতে পারেন।
এখন আপনি যদি অনেক দূরে অবস্থান করেন এবং আপনার কাছ থেকে ওই কোম্পানির ডিসটেন্স অনেকটা দূরবর্তী হয় তাহলে আপনি অবশ্যই তাদেরকে পেমেন্ট করতে হয়, কোন না কোন উপায়।
এবং যে কোন কোম্পানী বা এজেন্সি থেকে আপনি কিছু ক্রয় করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে বাংলাদেশের আপনি যখন কিছু ক্রয় করবেন তখন এর অনেকগুলো পেমেন্ট সিস্টেম আপনি পাবেন।
এই পেমেন্ট সিস্টেম গুলোর মধ্যে একটি হলো বিকাশ, যেটি ব্যবহার করে আপনি দেশের যেকোনো প্রান্তের যেকোন কোম্পানির কাছে আপনার পণ্য ক্রয় করার মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কেে জানতেে হবেে।
Pay Bil
আপনি হয়তো পূর্বে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য যেকোনো একটি স্থানে ভ্রমণ করে তারপরে লাইনে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হয়েছে।
কিন্তু বিকাশ আপনার এই কাজটিকে আরো বেশি সহজতর করে দিয়েছে, এক্ষেত্রে আপনি বিকাশ ব্যবহার করার মাধ্যমে ঘরে বসেই মিনিটে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারছেন।
যা আপনার সময় অর্থ সবকিছুই খরচ হওয়া থেকে বিরত রাখছে।