বিষয়টাকে একেবারে ক্লিয়ার করা যায়, বর্তমানে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিন গুগল। আপনার যাবতীয় কার্যাদি আপনি এর মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারেন।
ব্যাপারটা এরকম যে যখনই আপনাকে ইন্টারনেট সংক্রান্ত কিংবা আপনার জীবন সংক্রান্ত কোন সমস্যায় আপনি পড়বেন তখনই গুগল সার্চের মাধ্যমে তার সমাধান পেয়ে যাবেন।
তবে আপনি যে গুগল ব্যবহার করবেন এক্ষেত্রে আপনার কি একটি জিমেইল একাউন্ট এর প্রয়োজন হবে? অবশ্যই হবে, তবে আপনি হয়তো এখন এটা বলতে পারেন যে আমি তো কোন জিমেইল একাউন্ট ছাড়াই গুগল ব্যবহার করি।
এক্ষেত্রে আপনি কোন জিমেইল আইডি ছাড়া গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করতে পারবেন তবে এতে আপনার সীমিত সুবিধা থাকবে।
কারণ এরকম অনেক ওয়েবসাইট কিংবা গুগলের অনেক ফিচার আছে যেগুলোকে আপনি ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই আপনার একটি জিমেইল আইডি প্রয়োজন হবে।
এবার যদি আপনার কাছে একটি জিমেইল আইডি না থাকে তাহলে আপনি আপনার লক্ষ্যে কিভাবে পৌঁছাবেন? শুধু যে গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনার জিমেইল একাউন্টের দরকার পড়বে তা কিন্তু নয়।
আপনি যদি যে কোন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান যে কোন প্লাটফর্মে হোক না কেন কিংবা যেকোনো একটি ওয়েবসাইটে লগইন কিংবা সাইন আপ করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই একটি গুগল অ্যাকাউন্ট এর দরকার হবে।
অর্থাৎ ইন্টারনেটের সাথে নিজেকে সংযুক্ত করতে হলে অবশ্যই আপনাকে একটি Gmail id খুলতে হয়। তবে অনেকেই Gmail id ওপেন করার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়। সেজন্য ত আগে
তাই বলে কি এটা যে আপনি কখনোই জিমেইল আইডি খুলতে পারবেন না? অথবা জিমেইল আইডি খোলার জন্য আপনাকে কি অন্য কারও শরণাপন্ন হওয়া খুবই দরকার?
আপনি যদি যথাযথভাবে একটি জিমেইল আইডি তৈরি করতে না পারেন তাহলে তো অবশ্যই আপনাকে যে জিমেইল আইডি খুলতে পারে তার শরণাপন্ন হতে হবে।
তবে ওই জানা ব্যাক্তিটির কাছে আপনি যদি অতিমাত্রায় আপনার কার্যসম্পাদনের জন্য অনুরোধ করেন তাহলে সে অবশ্যই বিরক্তি বোধ করবে।
এক্ষেত্রে আপনাকে কি করতে হবে আপনি নিশ্চয়ই জানেন। অর্থাৎ কিভাবে Gmail id খুলতে হয় এই সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে হবে এবং নিজে নিজে জিমেইল আইডি খোলার চেষ্টা করতে হবে।
আজকের এই পোষ্টটির মাধ্যমে আমি সম্পূর্ণ আলোচনা করব Gmail Id কিভাবে খুলতে হয়? এ সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে হলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখুন।
আপনি চাইলে দুইটি উপায় জিমেইল আইডি খুলতে পারেন। তার মধ্যে থেকে একটি হলো ওয়েব ব্রাউজারের সহযোগিতায় আর অন্যটি হলো ব্রাউজারে সহযোগিতা ছাড়াই।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
ব্রাউজার এর সহযোগিতায় গুগল একাউন্ট খোলার নিয়ম
ব্রাউজারে সহযোগিতায় আপনি যদি জিমেইল আইডি খুলতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে নিচের দেয়া লিঙ্কে ভিজিট করতে হবে।
Gmail id তৈরী
এবার আপনি নিচের দেয়া স্ক্রীনশটএর মত একটি ওয়েব পেইজ দেখতে পারবেন, যেখানে আপনার জিমেইল এর যাবতীয় বিষয়াদি উল্লেখ করতে হবে।
কিভাবে এই প্রত্যেকটি বক্স পূরণ করবেন তার সম্পূর্ণ বর্ণনা আমি নিচে করছি।
First name: এখানে আপনি যে জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তার প্রথম নামের যে শব্দটি তাই এখানে দিন। উদাহরণস্বরূপ: Ahmed
Last name: আপনার জিমেইল একাউন্টের নাম টি পূর্ণ করার জন্য যে অংশটি বাকি রয়েছে তা এখানে লিখুন। যেমন: Parbes
Username: এ বক্সটিতে আপনি যেই নামের সহযোগিতায় জিমেইল আইডি খুলতে চান তা লিখে ফেলুন। আপনি হয়তো আপনার যেই নামে জিমেইল একাউন্ট এর এড্রেস দিতে চাইবেন সেই নামটি এভেইলেবল নাও পেতে পারেন।
তবে আপনি যদি পেয়ে যান তাহলে তো আপনার ভাগ্য ভালো। কারণ এই বিশ্বে কয়েক বিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে আপনি যে নামটি দিয়ে জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান সেই নামের জিমেইল অ্যাকাউন্ট পূর্বে তৈরি হওয়া টা অসম্ভবের কিছু নয়।
তাই এক্ষেত্রে যেই নামটি অ্যাভেলেবল আছে সেই নামটি দিয়ে এই বক্সটি পূরণ করুন।
Password: এখানে একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড দিন কারণ দুর্বল পাসওয়ার্ড এর দ্বারা জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং এর সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
এক্ষেত্রে আপনি যে পাসওয়ার্ডটি ব্যবহার করবে সে পাসওয়ার্ডের মধ্যে স্পেশাল শব্দ যেমন- ^#!/@())!) ₩ এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
অথবা আপনি যদি এগুলো ব্যবহার না করেও এটা মনে করেন যে আপনার পাসওয়ার্ডটি খুবই শক্তিশালী হয়ে গেছে তাহলে আপনি একটি ফ্রী টুলস এর সহযোগিতায় তা নিশ্চিত হতে পারেন।
এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে নিচের দেয়া লিঙ্কে ভিজিট করতে হবে এবং তারপর এখানে দেয়া প্রথম বক্সটিতে আপনি যে পাসওয়ার্ডটি এখানে দিয়েছিলেন তা লিখতে হবে।
দেখুন আপনার পাসওয়ার্ড কতটা সিকিউর-
এবং তাহলেই আপনি এ সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যাবেন যে আপনি যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন তা আসলেই শক্তিশালী কিনা।
আর এভাবেই আপনি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার জিমেইল একাউন্ট এ ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড কি আসলেই শক্তিশালী এবং হ্যাকারদের কবলে মধ্যে পড়ে কিনা।
আপনি আপনার জিমেইল একাউন্টের পাসওয়ার্ড সংক্রান্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর আবার ক্লিক করুন Next নামক অপশনটিতে।
এবার আপনাকে আরেকটি নতুন পেজে নিয়ে আসা হবে এবং এখানে আপনাকে আপনার একটি ফোন নাম্বার দিতে হবে। এই ফোন নাম্বারটি দেয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট যদি হারিয়ে যায় তাহলে এর মাধ্যমে আপনি রিকভার করতে পারবেন।
আপনার কাঙ্খিত ফোন নাম্বারটি দেয়ার পরে এবার Next পাবেন এতে ক্লিক করুন।
আপনার ফোন নাম্বারটি দেয়া হয়ে গেলে এবার আপনার ওই ফোন নাম্বারে গুগোল কর্তৃক একটি ভেরিফিকেশন এসএমএস আসবে। ওই এসএমএসে আশা করব আপনাকে নিচের দেয়া বক্সটিতে বসিয়ে দিতে হবে।
ভেরিফিকেশন কোড বসানো হয়ে গেলে আবার ক্লিক করুন Verify নামক অপশনটিতে। আর আপনার কাছে যদি করতে না পৌছে তাহলে আপনি আরেকটি অপশন অর্থাৎ Call instead এতে ক্লিক করতে হবে।
তাহলে আপনাকে কল করার মাধ্যমে তারা ভেরিফিকেশন কোড জানিয়ে দিবে এবং এখানে তা বসানো হয়ে গেলে Verify তে ক্লিক করুন।
এবার আপনি আরেকটি নতুন পেইজ দেখতে পারবেন যেখানে আপনি আপনার সমস্ত ডিটেলস গুলো দিতে পারেন।
এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হলো আপনার গুগল একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে আপনি যদি অন্য আরেকটি জিমেইল একাউন্ট এর মাধ্যমে তা রিকভার করতে চান তাহলে তা এখানে সেটাপ করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি আপনার জন্মদিন এবং জন্ম সাল ইত্যাদি এখানে সিলেক্ট করার মাধ্যমে তাদেরকে সহযোগিতা করতে পারবেন যখন আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাবে।
কারণ এতে করে আপনাকে তারা ভেরিফাই করবে এবং এটা নিশ্চিত হয়ে যাবে যে আসলেই এই হ্যাক হয়ে যাওয়া জিমেইল অ্যাকাউন্ট টি আপনার।
এরপর আপনার লিঙ্গ অর্থাৎ আপনি male/ ছেলে, নাকি Female/ মেয়ে এই দুটির মধ্যে থেকে যে কোন একটি সিলেক্ট করতে হবে।
এবং এরপর একদম সর্বশেষে সমস্ত ডকুমেন্টস গুলো দেয়া হয়ে গেলে Next বাটনটিতে ক্লিক করুন।
এরপরে যথাক্রমে ক্লিক করুন Yes Im in এবং এরপরে আপনি তাদের প্রাইভেসি এবং পলিসি এর সাথে আপনি একমত পোষণ করতে হবে অর্থাৎ আপনাকে পরবর্তী পেইজে I agree নামের অপশনটিতে ক্লিক করার মাধ্যমে তা আপনি করতে সক্ষম হবেন।
ব্রাউজার ব্যবহার না করে Gmail id কিভাবে খুলতে হয়?
এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার অ্যান্ড্রয়েড কিংবা স্মার্টফোন থেকে সেটিং নামক অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
তারপর আপনি আপনার ফোনের কোয়ালিটি অনুযায়ী হয়তো অনেক ফোনে Google নামক অপশনটি পেয়ে যেতে পারেন” অথবা অন্য ফোনে পেতে পারেন Accounts নামের অপশন।
উপরে দেয়া দুইটি অপশন থেকে আপনি যদি আপনার ফোনে যে কোন একটি অপশন খুজে পান তাহলে এতে ক্লিক করুন।
এবং এরপর আপনি নিচের স্ক্রীনশটএর মত একটি পেজ দেখতে পারবেন এখান থেকে আমি যে অংশটি কে চিহ্নিত করেছি তাতে ক্লিক করুন। এবং এরপর ক্লিক করুন Add another account নামের অপশনটিতে।
এবার আপনার সামনে ‘Checking info‘ নামক একটি অপশন আসবে এবং আপনার ফোনে ব্যবহৃত হোমস্ক্রিনে যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন তা দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হবে।
ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়ে গেলে এবার আপনি নিচের স্ক্রিণশটের মত একটি পেজ দেখতে পারবেন এবং আপনাকে ক্লিক করতে হবে Create Account- For myself ।
এরপর যথাক্রমে আপনাকে First name নামের বক্সটিতে আপনার জিমেইল একাউন্টের প্রথম নাম এবং last name নামের অপশনটিতে আপনার জিমেইল একাউন্ট এর পরবর্তী যে নাম রয়েছে তা দিন।
এবং এরপর ক্লিক করুন next নামের অপশনটিতে। তারপর গুগলের জিমেইল ম্যানেজমেন্ট আপনাকে ভেরিফিকেশন করার জন্য আপনার ফোন নাম্বার দিতে বলবে।
ফোন নাম্বার দেয়ার পর তারা আপনার নাম্বারটি দেখতে ভেরিফিকেশন কোড সেন্ড করবে এটা দিয়ে ভেরিফাই করে নিতে হবে।
এবার আপনাকে আপনার জন্মদিনে সমস্ত ডিটেলস এবং আপনি ছেলে নাকি মেয়ে এই সমস্ত ডিটেইলস গুলোকে যথাযথভাবে ফিলাপ করতে হবে। এগুলো কিভাবে করবেন তা আমি পূর্বেই বলেছি।
তারপরে আবার next বাটনে ক্লিক করুন
এবার আপনি যে নামের সহযোগিতায় আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান তা সিলেক্ট করার অপশন পেয়ে যাবেন ।
অথবা আপনি চাইলে আপনার নিজের মনের মতো করে জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য Create your own address অপশনটিতে ক্লিক করতে পারেন।
আপনার প্রয়োজনীয় এবং পছন্দের জিমেইল একাউন্টের নাম সিলেক্ট করা হয়ে গেলে আবার ক্লিক করুন next নামের অপশন টিতে।
এবার আপনাকে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে যার সর্বনিম্ন সীমা থাকবে আটটি শব্দের মধ্যে।
এবং আপনার পাসওয়ার্ড কে শক্তিশালী করার জন্য কি কি ধরনের সিম্বল ক্যারেক্টার বা করবেন তা আমি পোস্টের প্রথমেই আলোচনা করেছি।
এছাড়াও কিভাবে আপনি এটা বুঝবেন যে আপনার পাসওয়ার্ড কতটা শক্তিশালী কিংবা কতটা দুর্বল , হ্যাকারদের তা হ্যাক করতে হলে কত সময় লাগতে পারে তাও আপনি এই পোষ্টের পূর্বের আলোচনা থেকে জানতে পারবেন।
যাইহোক আপনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন এবং আর তাই এখানে দুইটি বক্সে প্রথম টিতে আপনি যে পাসওয়ার্ডটি দিবেন সেই পাসওয়ার্ডের অনুরূপ দ্বিতীয় বক্সটিতে দিয়ে তারপর next অপশনটিতে ক্লিক করুন।
তাহলেই আপনার জিমেইল একাউন্ট খোলার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। এবার আপনাকে step-by-step তাদের প্রাইভেসি পলিসি সব গুলোর সাথে একমত পোষণ করে দিলেই আপনার কাজ শেষ।
আর এভাবে আপনি খুব সহজেই এবং স্বল্প সময় আপনার পছন্দমত ব্রাউজার কিংবা ব্রাউজার ছাড়া পদ্ধতিতে গুগল একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে পারেন এবং একাউন্ট করতে পারেন।