যে কেউ আপনাকে নানা কারণে ফাঁদে ফেলে যেকোন সময় আপনার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করতে পারে।
কিন্তু কেউ যদি প্রফেশনাল হ্যাকার হন। তাহলে আপনাকে কোন লোভ লালসা দেখাবে না সে তার নিজের ব্র্যান্ড মাফিক কাজটা করে আপনার ফেইসবুক আইডি টি হ্যাক নিতে পারবে।
কিন্তু একটা কথা স্পষ্ট যে এই সমস্ত প্রফেশনাল হ্যাকার এর হাতে তেমন একটা সময় নেই আমাদের মত সাধারন মানুষের আইডি গুলো হ্যাক করার।
আজকের এই পোস্টটিতে আমি আলোচনা করব আপনার ফেসবুক আইডি যেভাবে হ্যাক করা হয় তার কয়েকটি বিষয় সম্বন্ধে।
- Pising Link:
ফিসিং লিঙ্ক এর মাধ্যমে যে কোন ব্যবহারকারী মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তার সমস্ত ইনফরমেশন গুলো কে হ্যাক করে নেয়।
আসলে এটা হল একটি ফেক লগিন পেইজ। যেখানে আপনাকে নানা ধরনের লোভ লালসা দেখিয়ে আনা হয়। আপনার ফেইসবুক আইডি থেকে লগ ইন করতে বলা হয়।
আপনি যদি একবার ওইখানে আপনার ফেসবুক আইডিতে লগইন করেন তাহলেই তাদের পিসিং পেইজে ড্যাশবোর্ডে আপনার যা ইনফরমেশন আছে সেগুলো চলে যায়।
এবং খুব সহজে আপনার আইডিটি তারা হ্যাক করে নিতে সক্ষম হয়।
তবে একটা কথা স্পষ্ট যে বর্তমানে এর সম্পর্কে সবাই কম বেশি সচেষ্ট। কেউ ফিশিং লিংক তো দূরে থাক সাধারণ লিংকে এখন কেউ ক্লিক করেন না।
- Keylogger File:
এটা সাধারণত কোন গান ছবি কিংবা অন্যকিছু সাথে যুক্ত করে আপনার ডিভাইসে ঢুকানো হয়।
আর এটা আসলে একটি ভয়ঙ্কর হ্যাকিং সিস্টেম!
আর এটা যদি কোনরকমে কেউ আপনার ডিভাইসে ডুকিয়ে দেয়।
তাহলে আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড আপনার ছবি কিংবা অন্যকিছু সকল ডকুমেন্টগুলো ওই ফাইল যে পেরন করেছে তার নাগালে চলে যায়।
তাই আপনার উচিত হবে যখনই আপনি কোন কিছু ডাউনলোড করবেন তখনই কোন বিশ্বস্ত সাইট থেকে ডাউনলোড করুন।
কারণ কিছু কিছু অসভ্য সাইট আছে যারা আপনার ফোনে এন্টি ভাইরাস ঢুকিয়ে দিয়ে আপনার সকল ইনফরমেশন গুলো কে হাতিয়ে নিবে।
তাই যে কোন ইনফরমেশন ডাউনলোড কিংবা অ্যাপস ডাউনলোড করা পরে এন্টিভাইরাস সিকিউরিটি চেক করে নিবেন।
এতে করে আপনার আইডি হ্যাকিং এর ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে!
- Mobile Spying Software:-
এ সমস্ত সফটওয়্যার হল এমন ধরনের সফটওয়্যার যে সফটওয়্যার গুলো আপনার ডিভাইসে ঢুকানো হলে আপনার ডিভাইস এর সকল তথ্য ইনফরমেশন গুলো মেইল আকারে ওই ব্যক্তির ইমেইলে চলে যায়!
এতে করে আপনার ডিভাইসের সকল ইনফরমেশন, ফেসবুক এর পাসওয়ার্ডগুলো সে খুব সহজে নিজের দখলে নিয়ে নিতে পারে।
- Seccion Hacking:-
আপনি হয়তো আপনার বন্ধু বান্ধবের মোবাইলে কিংবা কোনো অপরিচিত ব্যক্তির মোবাইলে আপনার ফেসবুক আইডিতে লগইন করেছেন।
লগইন করার পর আপনি হয়তো চালাক ব্যক্তির মত আপনার ফেসবুক আইডি থেকে সমস্ত লগইন সিজন রিমুভ করে দিয়েছেন!
আপনি কি ভেবে দেখেছেন এর মাধ্যমে কি আপনার আইডিটি কি সিকিউর হয়ে গেল? ওই ব্যক্তিটি কি চাইলেই আপনার পাসওয়ার্ডটি আর পাবে না?
আসলে আপনি যখনই কোন ব্রাউজার দিয়ে আপনার ফেসবুক আইডি টি লগইন করবেন তখন আপনি যদি ওই সিজন গুলো ডিলিট করে দেন। তাহলেও ওই ব্যক্তিটি আপনার পাসওয়ার্ডটি খুব সহজে পেয়ে যাবে!
এখন প্রশ্ন হল কি ভাবে পাবে?
এজন্যই ব্যক্তিটি যদি আপনার লগইন কৃত ব্রাউজারে Saved পাসওয়ার্ডে যায় তাহলে আপনার পাসওয়ার্ডটি পেয়ে যাবে।
এজন্য কারো ডিভাইসে ফেসবুক আইডি লগইন করার পর ঐ সমস্ত ব্রাউজার এর সকল ডাটা এবং ক্যাচ একেবারে রিমুভ করে দিবেন।
তাহলে ওই ব্যক্তিটি ইচ্ছা করলেও আপনার পাসওয়ার্ডটি পাবে না।
- Brute Force Attack:
এটা সাধারণত হলো একটি পাসওয়ার্ড ডিকশনারি। অর্থাৎ যে আপনার ফেসবুক আইডিতে অ্যাকশন নিবেন সে আগে থেকেই অনেকগুলা পাসওয়ার্ড ফাইল ডাউনলোড করে রেখে দিবে।
এবং যখনই আপনার আইডি থেকে এসে অ্যাটাক দিবে তখন যদি ঐ সমস্ত পাসওয়ার্ড গুলোর মধ্যে আপনার পাসওয়ার্ডটি মিলে যায়’
তাহলে সে আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড সহ আপনার ফেসবুক আইডি সহজে হ্যাক করতে পারবে।
এর জন্য সব সময় চেষ্টা করবেন একটি কঠিন পাসওয়ার্ড তৈরি করা যা কখনো কমন পাসওয়ার্ড এর মধ্যে পড়বে না।
পাসওয়ার্ডটি আপনি চাইলেই এরকম দিতে পারেন –FaCeBOOK#@!13FA!
হয়তো পাসওয়ার্ডটি অনেক কঠিন রাখতে পারবেন না। তবে হ্যাকারর হাত থেকে বাঁচতে হলে এরকমই কিংবা এর চেয়ে আরো কঠিন পাসওয়ার্ড আপনাকে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলির সাহায্যে কেউ আপনার ফেসবুক আইডিটি হ্যাক করে!
এটা বললে ভুল হবে যে উপরের বিষয়গুলো ফেসবুক আইডি হ্যাক করার একমাত্র পন্থা। আরো অনেক রকম পন্থা আছে তবে এই পন্থা গুলি হল বহুল ব্যবহৃত।