ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচাবেন কিভাবে?

অনেক সময়ই নানা প্ররোচনায় মাধ্যমে হ্যাকাররা আমাদের ফেসবুক আইডিটাকে হ্যাক করে নেয়।অনেক সময় তা ফেরত আনা সম্ভব হয়,আর অনেক সময় তা  প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে!

কখনো কি ভেবে দেখেছেন সবার আইডি থাকতে কেন শুধু আপনার আইডি হ্যাক হয়? 

এর মূল কারণ আপনি নিজেই।’এখন আপনি হয়তো বলতে পারেন এতে আমার দোষটা কি?

তাহলে শুনেন ফেসবুকে সিকিউরিটি বলে একটা অপশন আছে যার সিকিউরিটি যত বেশি দুর্বল তার আইডি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা টা ততই বেশি। 

অর্থাৎ আপনার অ্যাকাউন্টের সিকিউরিটি টা সব সময় খুব স্ট্রং করতে হবে।

এর জন্য ফেসবুকে অনেক অপশন আছে যার সাহায্যে আপনি ফেসবুক আইডিকে হ্যাকার  থেকে খুব সহজে রক্ষা করতে পারবেন।

তো আজকের এই পোস্টটি আমি আলোচনা করেছি কিভাবে আপনার আইডিকে পুরোপুরি সিকিউরিটি দিবেন!

এবং আপনার আইডিকে হ্যাকার হাত থেকে রক্ষা করবেন।

ডেট অফ বার্থ:-

যে কেউ আপনার আইডি যদি এক্সেস নিতে চায় তাহলে তাকে একটি কার্ড মেইক করতে হয়, হোক সেটা ন্যাশনাল আইডি কার্ড কিংবা পাসপোর্ট!

এখানে ওই ব্যক্তিকে আপনার সমস্ত ডকুমেন্ট অর্থাৎ আপনার আইডির নাম ডেট অফ বার্থ ইত্যাদি দিয়ে এটা তৈরি করতে হয়।

আর নাম তো যে কেউ সহজেই পাবে। কিন্তু আপনার ডেট অফ বার্থ আপনার আইডি এক্সেস নেওয়া কাজটি হয়তো একেবারে সহজ করে দেয়, নয়তো কঠিন করে দেয়!

আপনার ডেট অফ বার্থ যদি লুকানো থাকে তাহলে এর সম্ভাবনা প্রায় 95 শতাংশ  কমিয়ে আনা যায়।

তাই আপনাকে প্রথমে আপনার ডেট অফ বার্থ টাকে অনলি মি করে দিতে হবে। তাহলে আপনি ছাড়া আর কেউ দেখতে পারবে না!

টু ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশন:-

ফেসবুকে এটা একটি গোল্ডেন ফিচার। এটা আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনা টাকে একেবারে কমিয়ে দিতে পারে।

এটার কাজ হলো যখনই আপনি নতুন কোনো মোবাইল দিয়ে আপনার আইডিতে লগইন করবেন তখনই আপনার দেয়া সেই ফোন নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে!

এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন যে কেউ আপনার আইডিতে লগিন করছে এবং আপনি সতর্ক হয়ে যেতে পারবেন।

এবং সাথে সাথে আপনি আপনার ফেসবুক আইডিতে ঢুকে আপনার আইডিকে সিকিউর করে ফেলবেন।

তাহলে এটা আপনার ফেসবুক আইডির হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি টা একবারে কমিয়ে দিবে।

তাই ফেসবুক আইডি খোলার সাথে সাথে  আপনার আইডিতে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অপশনটি অন করে দিবেন।

এতে আপনার একাউন্টি অনেক বেশি সিকিউর হবে। এবং হ্যাকারদের হাত থেকে আপনার অ্যাকাউন্টটি রক্ষা পাবে।

Setting – setting and privacy – use two step verification – set up

ট্রাস্টেড কন্টাক্ট রাখা:-

এটা খুবই ইমপরটেন্ট একটি ফিচার আপনার আইডিটি ফেইসবুক হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। এখানে আপনি সাধারণত 3 থেকে 5 জন বন্ধুকে রাখতে পারবেন!

এবার আপনার আইডিটি হ্যাক হয় তাহলে আপনি ওই বন্ধুদের সাহায্যে ওটা খুব সহজেই ফেরত আনতে পারবেন।

কিন্তু যাদের এই ট্রাস্টেড কন্টাক্ট অপশন টি বন্ধ করা থাকে তাহলে তাদের আইডি হ্যাক করার ঝুঁকি  অনেক বেশি!

অর্থাৎ আপনি যদি ফেসবুকে কর্মরত কোন কর্মকর্তা হন, কিংবা ফেসবুকের সিইও জুকারবার্গ হন তাহলে আপনার আইডি হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা থাকে। 

অর্থাৎ আপনাকে অবশ্যই ট্রাস্টেড কন্টাক্ট এ তিনজন অথবা 5 জন বন্ধুকে অ্যাড করে রাখতে হবে। 

এখন প্রশ্ন হল এটা কিভাবে করবেন? এর জন্য আপনাকে নিচে দেখানো প্রসেসটি ফলো করতে হবে!

Settings-security and login→Choose 3 to 5 contacts লেখাটি আপনি দেখতে পারবেন! 

এবং এখানে আপনি আপনার বিশ্বস্ত তিনজন কিংবা পাঁচ জন বন্ধুকে অ্যাড করে রাখতে পারবেন।

কিংবা আপনার যদি এরকম কোন বন্ধু না থাকে তাহলে আপনি আপনার নিজের আইডিকে এড করতে পারেন।

লগইন এলার্ট

এটাও খুব ইম্পর্টেন্ট একটি বিষয় আপনার আইডিটি হ্যাকও আর পিছনে।

বিষয়টি এরকম যে কেউ যদি আপনার আইডিতে লগইন করে তাহলে তারা আপনার আইডিতে যোগ করা  ইমেইল কিংবা ফোন নাম্বারে একটি মেসেজ চলে আসবে।

যাতে করে আপনি এলার্ট হয়ে যেতে পারবেন যে কেউ আপনার আইডিতে লগিন করছে!

এতে করে আপনি আপনার আইডিতে ঢুকে তা সিকিউর করতে পারবেন এবং হ্যাকিং এর হাত থেকে আপনার আইডি কে বাঁচাতে পারবেন।

এখন প্রশ্ন হল এটা কিভাবে করবেন? এর জন্য আপনি নিচে দেখানো প্রসেসটি ফলো করুন এবং এ অনুযায়ী আপনার আইডি তে কাজ করুন তাহলে কাজ হয়ে যাবে।

Settings→security and login option থেকে login alerts on করে দিবেন।

তাহলেই আপনার কাজ শেষ। এবার যে কেউ আপনার দিতে ঢুকলে ফেসবুক আপনাকে এলার্ট করে দিবে!

অ্যাপ পাসওয়ার্ড

এটা অন করা রাখলে আপনি যদি আপনার ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড ভুলে যান তাহলে এই এপ পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে পারবেন।    

অর্থাৎ হ্যাকাররা যদি আপনার আইডিটি হ্যাক করে নিয়ে যায়!তাহলে আপনি আপনার সেট করা অ্যাপ পাসওয়ার্ড দ্বারা আপনার আইডিতে লগইন করতে পারবেন!

তাই আপনি যদি এটা এখনো অন করে না থাকেন তাহলে এটা অন করে দিবেন।এতে আপনার আইডি টা আরো বেশি শক্তিশালী হবে!

Set Up:- Setting- setting and privacy – app password – set up

লিংক

ফিশিং লিংক এর কথা শুনলে আমাদের গাঁ শিউরে উঠে। আসলে এটা কতটা সত্যি? =

আমিও সত্যতা যাচাই করছি না। আমি বলছি তাদের কথা যাদেরকে যে কোন একটা সিকিউর লিংক দিলে বলে সাবধান ক্লিক করলে আপনার আইডি হ্যাক হয়ে যেতে পারে।

আসলে এই মানুষগুলা  মূর্খ ছাড়া আর কিছু না। আচ্ছা একটা কথা শুনেন তো? পিসিং সাইট গুলা কিভাবে আপনাদের ডাটা গুলা সেভ করে?

নিশ্চয়ই আপনি যখন আপনার ফেসবুকের ইমেইল পাসওয়ার্ড কিংবা অন্য কোন  ডাটা সেখানে দিয়ে লগইন করবেন তখনই।

অনেকেই আছে যারা বলে  ফিশিং সাইট কিংবা লিংকে ক্লিক করলেই হ্যাক হয়ে যাবে। এগুলো  ভুল ধারণা। কারন যে কোন লিংকে ক্লিক করলেই আপনার আইডি হ্যাক হয়ে যায় না!

আপনি  এ সব লিংকে ক্লিক করার পর আপনার মেইল পাসওয়ার্ড বা কোন ডকুমেন্ট দিয়ে লগইন করবেন তখনই তারা তা সেভ করে রেখে দেবে!

এর আগে নয়,এখন প্রশ্ন হলো আপনি কিভাবে বুঝবেন যে একটা ফিশিং লিংক কিংবা সাধারণ লিংক কিংবা কিভাবে ফিশিং যাচাই করবে? 

এর জন্য আমি একটি সাধারন প্রসেস আপনাদের সাথে শেয়ার করি আর সেটা হলো  আপনার কাছে যখন কোন লিংক সন্দেহজনক হ
তখন আপনি ঐ লিংকে প্রবেশ করার পর আপনি যে কোন  মেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে দিবেন

যদি এগুলা দেওয়ার পর  হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন এটা ফিশিং লিংক। আর আপনি ভুল ইনফরমেশন দেওয়ার পর যদি এটাই লগইন না হয় তাহলে ভাববেন এটাই আসল!

কারন ফেসবুকে এই ডকুমেন্ট গুলো খুব সুন্দর করে সেভ করে রাখা হয়। যার কারণে আপনি সঠিক ইনফরমেশন দিলেই আপনার আইডি লগইন হবে অন্যথায় নয়।

অর্থাৎ যে কোন লিংককে ফিশিং লিংক বলা  থেকে বিরত থাকুন, এবং নিঃসন্দেহে ফেসবুক চালান।

এই বিষয়গুলো আপনি আপনার আইডিতে করে রাখুন তাহলে আপনার আইডি জীবনেও হ্যাক হবে না।

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো যদি আপনার ভিতরে রাখেন তাহলে আপনার আইডিতে 99 পার্সেন্ট হ্যাকারদের হাত থেকে মুক্ত।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top