পরীক্ষায় ভালো করার যুগান্তকারী উপায়|

জীবনের প্রতিটা সন্ধিক্ষণে আপনাকে কোন না কোন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। হোক সেটা জীবন যুদ্ধে টিকে থাকা কিংবা  শিক্ষাজীবনের পরীক্ষা।

আর এই দুইটি বিষয়ে আপনি তখনই ভালো করতে পারবেন যখন আপনি এগুলোর জন্য একজন পরিপূর্ণ গাইডলাইনার হয়ে যাবেন।

অন্যতায় এ সমস্ত বিষয় গুলোতে আপনার হেরে যাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। আর তাই আজকের এই পোস্টটিতে আমি আলোচনা করেছি পরীক্ষায় ভালো করার সম্ভাব্য উপায় সমন্ধে।

এজন্য আপনি কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে পারেন যা আপনাকে একজন পরিপূর্ণ  শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তুলবে, আর আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না যে পরীক্ষাটা এত ভাল ফলাফল কিভাবে করলেন।



▪অন্যের চেয়ে বেশী জানুন
▪নিয়ম মেনে লেখাপড়া করুন
▪নিয়মিত প্র্যাকটিস করুন
▪সময়কে মূল্যায়ন করুন
▪বিষয়গুলোকে ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন
সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন

 অন্যদের চেয়ে বেশি জানো



এটা হল সফলতার অন্যতম চাবিকাঠি। যখনই আপনার ভিতরে এরকম কোন জেদ চলে আসবে যে আমাকে অন্যের চেয়ে বেশি জানতে হবে তাহলেই বুঝে নিবেন আপনি একজন সফল মানুষ।

বাস্তবিক অর্থে আপনার মধ্যে যখন এরকম কোন প্রতিভার বিস্ফোরণ ঘটবে, যা দ্বারা আপনার মনের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়ে যাবে যে ‘আমি অন্য সবার চেয়ে বেশি জানবো’।

তাহলে চলুন এই বিষয়টি কিভাবে আপনার উপর প্রভাব ফেলবে সে বিষয়ে কিছু আলোচনা করা যাক।

যখনই আপনার মধ্যে এরকম কিছু একটি ঘটবে যা আপনাকে ভাবিয়ে দিবে যে আমাকে অন্য সবার চেয়ে বেশি শিখতে হবে। তখন আপনি কি করবেন?

নিশ্চয়ই আপনি তখনকার সময়ে নিজের পছন্দমত টাইম মেনটেন করে লেখাপড়া করবেন না। কারণ আপনি সারাক্ষণ এটা ভেবে ব্যস্ত থাকবেন যে আমি এই সময় খেলাধূলা করছি কিন্তু অন্য কেউ হয়তো এখন পড়ছে।

আর তাই আপনি এই সমস্ত কাজ গুলো বাদ দিয়ে লেখাপড়া পিছনে ছুটে যাবেন।  তাই আপনাকে পরীক্ষায় ভালো করতে সাহায্য করবে।

  নিয়ম মেনে লেখাপড়া করুন



নিয়ম মেনে লেখাপড়া করা বলতে আমি বুঝিয়েছি যে আপনি আপনার প্রতিদিনকার একটি রুটিন তৈরি করে নিন।

রুটিনটা অবশ্যই এরকম করে গড়ে তুলতে হবে যে আপনি যতটুকু না লেখাপড়া করতে পারেন তার চেয়ে বেশি লেখাপড়া করার মত রুটিন।

এতে ভালো হবে কি জানেন? আপনি কিন্তু এরকমটা প্রিপারেশন নিয়ে লেখাপড়া করতে যাবেন যে আমাকে আমার টার্গেট এর চেয়ে বেশি লেখাপড়া করতে হবে।

কিন্তু সামর্থের বাইরে তো আর কিছু করা যাবে না। আপনি হয়তো সেই ঘুরেফিরে যতটুক আপনার সামর্থ্যের মধ্যে পড়ে ততটুকুই লেখাপড়া করবেন।

 নিয়মিত প্র্যাকটিস করুন



ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে যে- প্র্যাক্টিস মেকস এ ম্যান পার্ফেক্ট। অর্থাৎ নিয়মিত প্র্যাকটিস করার মাধ্যমে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন একজন সুপার হিউম্যান ।

যখনই আপনি যেকোন বিষয়ে এর প্রতি খুব বেশি দুর্বল অনুভব করবেন। তখনই আপনার প্রধান এবং একমাত্র লক্ষ্য হবে এ বিষয়টিকে নিয়মিত প্র্যাকটিস করা।

আর যখনই আপনি হার না মানা মানবের ন্যায় নিয়মিত প্র্যাকটিস করবেন তখনই এই বিষয়টি আপনার কাছে আরও সহজ হয়ে উঠবে।

 সময়কে মূল্যায়ন করুন



আপনি যখনই সময়কে মূল্যায়ন দিতে শিখে যাবেন তখনই আপনি একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবেন। কারণ যে বা যারা জীবনে সফল হয় কিংবা হতে চায় তারা সময়কে বেশি মূল্যায়ন করে।

আর আপনিও যদি একজন পরিপূর্ণ শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে উঠতে চান এবং পরীক্ষায় ভালো করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরীক্ষার আগের সময়গুলো কে মূল্যায়ন করতে হবে।

অনেকেই আছে পরীক্ষার আগের সময়গুলোতে লেখাপড়া তে খুব বেশি একটি মনোযোগ দেয় না। আর পরীক্ষার সময় দেখা যায় যে তারা সারা রাত জেগে লেখাপড়া করে।

এটা সবচেয়ে বেশি এফেক্ট করে তাদের রেজাল্টের উপর, তারা পরীক্ষায় রেজাল্ট  খারাপ করে। যা আপনার ক্ষেত্রে কোন মতেই কাম্য নয়।

এজন্যই ছাত্র হিসেবে আপনাকে আগে সময়কে পুরো মূল্যায়ন করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

 বিষয়গুলোকে ভালোভাবে  বুঝার চেষ্টা করুন



যখনই আপনি কোন বিষয় বুঝতে না পারবেন তাহলে আপনার উচিত হবে অভিজ্ঞ কারো সহযোগিতা নেওয়া এবং বিষয়টি ভালোভাবে বুঝা।

কারণ আপনি যখন কোন বিষয় না বুঝেন তখন আপনি হয়তো এই বিষয়টিকে মূল্যায়ন করেন না, আর উদাহরণস্বরূপ এ বিষয়টি যদি পরীক্ষায় একবার এসে যায়?

তাহলে আপনি তো আবার বাড়িতে এসে বিষয়টিকে ভালোভাবে বুঝে পরীক্ষার খাতায় লিখতে পারবেন না। তাই কোন বিষয় না বুঝলে বুঝার চেষ্টা করুন।

 প্রাণভরে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন



এই বিষয়টিকে আমি একেবারে শেষের দিকে আমার একটি উদ্দেশ্য হল, অনেকেই আছেন যারা লেখাপড়া না করে বলেন যে ভাগ্যে থাকলে পাশ করব।

আসলে একটি ভুল এবং ভ্রান্ত ধারণা, আপনাকে অবশ্যই আপনার নিজের ভাগ্যকে নিজেই গড়ে তুলতে হবে।

আর এক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তার  সহায়তা ছাড়া কখনোই আপনি তা করে উঠতে পারবেন না। আপনি যখনই মানুষ হিসেবে একেবারে পারফেক্ট করে উঠবেন, পার্ফেক্ট হওয়ার পিছনে একজন প্রশংসা কাজ করে আর তিনি হলেন আল্লাহ।

তাই পরীক্ষা আগের সময় কিংবা পরে কখনো সৃষ্টিকর্তা নেয়ামত গুলোকে অস্বীকার করবেন না। সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন আর লেগে পড়ুন সৎভাবে।

এটাই আপনাকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। আর আপনি যখনই একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে তখনই পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো তো অবশ্যই করবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top