আপনার সদ্য জন্ম গ্রহণ করা সন্তান কিংবা রিলেটিভ এর জন্য জন্ম সনদ তৈরি করার ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করা লাগতে পারে।
আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার কাজ সম্পন্ন করে এই ফরমটি ফিলাপ করে নেন, তাহলে জন্ম নিবন্ধন করার কাজ আরো বেশি এগিয়ে যায়।
ব্যাপারটা এরকম যে, যখনই আপনি আপনার সদ্য জন্মগ্রহণ কৃত কিংবা কোন রিলেটিভ এর সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে চাইবেন তখন আশেপাশে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি ফ্রম কালেক্ট করতে হয়।
এই ফরমটি যখন আপনি কালেক্ট করে নিবেন এবং এটি যথাযথভাবে ফিলাপ করবেন তখন ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের মাধ্যমে আপনার এই জন্ম নিবন্ধন ভ্যালিড হিসেবে গণ্য করাতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড
মূলত আপনি যদি ঘরে বসেই জন্ম নিবন্ধন এর ফরম রয়েছে সেই ফরমটি ফিলাপ করে তারপরে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে চান, তাহলে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারেন।
জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার মাধ্যমে কিংবা ডাউনলোড করার পূর্বেই আপনি চাইলে অনলাইনে এই ফরমটি ফিলাপ করে নিতে পারবেন এবং তারপরে প্রিন্ট আউট করতে পারবেন।
এই সনদ প্রিন্ট আউট করার কাজ সম্পন্ন করে নিলে ফরমটি আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদের জমা দিতে পারবেন এবং জন্ম নিবন্ধন এর কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনি চাইলে জন্ম নিবন্ধন যে সনদ রয়েছে সেই সনদ ডাউনলোড করার পূর্বেই অনলাইনে পরিপূর্ণভাবে ফিলাপ করতে পারবেন এবং তারপরে ডাউনলোড করতে পারবেন।
এই সনদ ফিলাপ করার যে উপায় রয়েছে সেই উপায় কাজ করতে চাইলে নিম্নলিখিত লিংক এ প্রথমে ক্লিক করুন।tton]
উপরে উল্লেখিত লিংকে ক্লিক করার পরে আপনার সামনে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে, যে পেইজটি যথাযথভাবে ফিলাপ করে নিতে হবে।
একদম প্রথমে যে পেইজটি আপনি দেখতে পারবেন যে পেইজটি মূলত হলো আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড সংগ্রহ করার এরিয়া চিহ্নিত করার পেজ।
অর্থাৎ আপনি কোন স্থান থেকে আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড সংগ্রহ করতে চান সেটি প্রথম পেইজটিতে মেনশন করতে হবে অর্থাৎ এখানে অনেকগুলো অপশন থাকবে যেগুলো থেকে আপনাকে আপনার পছন্দের অপশন সিলেক্ট করে নিতে হবে।
যে ঠিকানা কিংবা এরিয়াতে আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদ নিতে চান সেই ঠিকানা এবং এরিয়া সিলেক্ট করে নেয়ার পরে “পরবর্তী” নামের যে অপশন রয়েছে তাতে ক্লিক করুন।
পরবর্তী অপশনে ক্লিক করার পরে আপনার নাম, অবস্থানরত গ্রাম, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা ইত্যাদি যথাযথভাবে ফিলাপ করে নিতে হবে। এছাড়াও জন্ম তারিখসহ যে সমস্ত বক্স রয়েছে সেগুলো সঠিক তথ্য দিয়ে ফিলাপ করতে হবে।
মনে রাখবেন, এখানে যে সমস্ত ডকুমেন্টস লিখে রাখবেন যে সমস্ত ডকুমেন্টস সমন্বয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড হবে। অর্থাৎ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড হবে।
তাই এখানে দেয়া ইনফরমেশন গুলো ভালো মত বিবেচনা করে লিখে ফেলুন। একেবারে নির্ভুল তথ্য দেয়ার জন্য আপনার পিতা মাতা কিংবা পরিবারের কারো জন্ম নিবন্ধন কার্ড ফলো করতে পারেন।
সমস্ত তথ্য যথাযথভাবে দেয়ার পরে আবারও পরবর্তী নামের বাটনটিতে ক্লিক করুন; এবং তারপরে আপনার পিতা মাতা ডকুমেন্টসগুলো যথাযথভাবে ফিলাপ করে নিন।
যখনই উপরে উল্লেখিত দুইটি স্টেপ যথাযথভাবে সম্পন্ন করে নিবেন, তখন পরবর্তী আরো যে সমস্ত স্টেপ সম্পন্ন করতে হবে সেগুলো নিচে মেনশন করা হলো।
এর পরবর্তী পেইজে আপনার লেখা ইনফরমেশনগুলো বাংলা ইউনিকোড এবং ইংরেজিতে যথাযথভাবে লিখে ফেলতে হবে এবং তার পরে পুনরায় পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
চতুর্থ স্টেপে, আপনি যে ইনফরমেশনগুলো দিয়েছিলেন সেই ইনফরমেশন গুলো যদি পুনরায় সম্পাদন করার প্রয়োজন হয় তাহলে সম্পাদন করে নিতে পারবেন।
পঞ্চম ধাপে, সংরক্ষণ করুন এই বাটনটিতে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনার ফিলাপ কৃত যে জন্ম নিবন্ধন সনদ রয়েছে সেটি নির্ধারিত অফিসে জমা হয়ে যাবে।
মনে রাখবেন, কার্যালয়ে জমা হওয়ার পরে আবেদনকারী কোন সংশোধন করতে পারবে না।
পঞ্চম ধাপ যথাযথভাবে সম্পন্ন করে নেয়ার পরে একেবারে শেষে অর্থাৎ ষষ্ঠ ধাপে আপনি আপনার তৈরীকৃত জন্মনিবন্ধনের কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আর উপরে উল্লেখিত উপায় যে কেউ চাইলে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংরক্ষণ কিংবা ডাউনলোডের কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। যা একদম সহজ এবং একদম ফ্রি।
তবে এখানে একটি বিষয়ে আপনার খেয়াল রাখতে হবে আর সেটি হল জন্ম নিবন্ধন সনদে যে সমস্ত ডকুমেন্টস লিখে ফেলবেন, সেগুলো অবশ্যই ভ্যালিড ইনফর্মেশন হিসেবে প্রকাশ করতে হবে।
কারণ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার পূর্বে আপনি যে ইনফর্মেশন গুলো দেবেন সে সমস্ত ইনফরমেশন এর সমন্বয়ে একটি সনদ জেনারেট হয়ে যায়, যেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন করা অনেক কষ্টকর।
আশা করি; জন্মনিবন্ধনের যে সনদ রয়েছে সেই সনদ সংরক্ষণ করার উপায় রয়েছে, সেই উপায় সম্পর্কে জেনে নিতে পেরেছেন এবং আমার দেখানো বিধি-নিষেধ অনুযায়ী কার্ড সংগ্রহ করে নিবেন।