বিকাশ পিন লক হলে করণীয় কি? বিকাশ পিন ভুলে গেলে

একজন বিকাশ একাউন্ট ব্যবহারকারী হিসেবে আপনি যদি যেকোনো কাজ সম্পাদনের সময়, পিন নাম্বার দেয়ার ক্ষেত্রে ভুল টাইপ করেন তাহলে বিকাশ পিন লক হয়ে যেতে পারে।

মূলত, বিকাশ পিন লক হওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে আপনিই দায়ী। কারণ আপনি বিকাশ তৈরি করার সময় যে পিন নাম্বার দিয়েছিলেন সেই পিন নাম্বারটি ভুলে গেছেন কিংবা অন্য কোন কারণে।

তবে বিকাশ একাউন্টের পিন লক হয়ে যাওয়ার পরে আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে কিভাবে বিকাশ একাউন্টের পিন লক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? আর এই আর্টিকেলের মূলত এই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

বিকাশ পিন লক কেন হয়?

আমাদের মধ্যে যাদের বিকাশ একাউন্টে এখনো পিন লক হয়নি, তাদের এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া দরকার যে কেন আপনার BKash Pin Locked লক হয়ে যেতে পারে।

কারণ বিকাশ একাউন্টের এই লক সিস্টেম সম্পর্কে আপনি যদি জেনে নিতে পারেন, তাহলে আপনার একাউন্টে এই সংক্রান্ত কোনো জটিলতা দেখা দিবেনা।

আপনার বিকাশ একাউন্টের Pin Locked হয়ে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ। রয়েছে সে সমস্ত কারণগুলোর মধ্যে থেকে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণ নিচে তুলে ধরা হলো।

  • আপনি যদি একাধারে কয়েকবার ভুল পিন নাম্বার টাইপ করে দেন, তাহলে BKash Pin Locked হয়ে যেতে পারে।
  • বিকাশ পিন ভুলে গেলে তারপরে একাধিকবার ভুল পিন টাইপ করে আপনি যদি কোনো লেনদেন সম্পাদন করার ইচ্ছা পোষণ করেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে।
  • এছাড়াও আপনার একাউন্টে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকে এবং আপনি যদি ভুল এমাউন্ট অনেকবার ট্রাই করেন এবং লেনদেন করার চেষ্টা করেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে।

উপরে উল্লেখিত তিনটি পিন লক হয়ে যাওয়ার কারণ এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী কারণ হলো, বিকাশ পিন ভুলে গেলে বা ভুলে যাওয়ার পরে একাধিকবার ভুল পিন নাম্বার ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করার চেষ্টা।

প্রেক্ষাপটটা এমন আপনি যে বিকাশ একাউন্ট থেকে লেনদেন করতে চাইছেন, সেই একাউন্ট থেকে লেনদেন করার ক্ষেত্রে এতবার ভুল পিন নাম্বার ট্রাই করা সমীচীন নয়। যদি এই অ্যাকাউন্ট আপনার হয়ে থাকে।

কাজেই বিকাশ কর্তৃপক্ষ মনে করে হয়তো আপনার একাউন্ট হ্যাক হয়ে গেছে কিংবা এই রিলেটেড জটিলতার মধ্যে পড়েছে, যার কারণে আপনার অ্যাকাউন্টটি সাময়িক সময়ের জন্য ব্লক করে দিতে পারে।

এবার আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে গেলে অ্যাকাউন্টটি আনব্লক করার ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে, তাহলে দেখে নিন কিভাবে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট আনলক করবেন?

বিকাশ একাউন্ট পিন আনব্লক করার নিয়ম

বিকাশ একাউন্ট Pin Locked হয়ে গেলে এবার আপনার একাউন্ট থেকে সমস্ত রকমের লেনদেনের কাজ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে এবং একাউন্ট ব্লক করে দেয়া হবে।

একাউন্ট পুনরায় ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে কিছু প্রসেস ফলো করতে হবে, যে সমস্ত প্রসেস ফলো করার মাধ্যমে একাউন্ট পুনরায় আনব্লক করতে পারবেন।

অ্যাকাউন্ট আনব্লক করা ডকুমেন্ট

বিকাশ একাউন্ট আনব্লক করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে সেই সমস্ত ডকুমেন্টস নিচে মেনশন করা হলো।

  • যে এনআইডি কার্ড দিয়ে একাউন্ট তৈরি করেছিলেন সেই এনআইডি কার্ড এবং বিকাশ একাউন্ট কার নামে তৈরি করা ওই ব্যক্তির নাম। মূলত আইডি কার্ড থাকলে এ সমস্ত ডকুমেন্টস অবশ্যই জানা যাবে।
  • আপনার সর্বশেষ কয়েকটি লেনদেনের হিসাব তাদের কাছে দিতে হবে। সর্বশেষ ২ টি ট্রানজেকশনের হিসাব মনে রাখুন।
  • যে নাম্বার থেকে বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে গেছে, সেই নাম্বার থেকে কল করতে হবে। অন্যথায়, কখনোই আপনার অনুরোধ গ্রহণ করা হবে না।

সর্বশেষে বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার রয়েছে সেই হেল্পলাইন নাম্বারে কল করার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পান।

মূলত, বিকাশ একাউন্ট আনব্লক করার জন্য উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্ট সমন্বয়ে প্রথমে বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করুন বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার নিচে মেনশন করা হলো।

বিকাশ পিন লক হলে করণীয় কি? বিকাশ পিন ভুলে গেলে
বিকাশ পিন লক হলে করণীয় কি? বিকাশ পিন ভুলে গেলে
[box title=”Bkash Helpline Number ” style=”default” box_color=”#8007e3″ title_color=”#FFFFFF” radius=”4″]16247[/box]

উপরে উল্লেখিত হেল্পলাইন নাম্বারে কল করার পরে, আপনি যেকোনো একজন বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সাথে কানেক্টেড হতে পারবেন। এবার ওই বিকাশ কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি কে আপনার অ্যাকাউন্ট আনব্লক করে দেয়ার কথা বলুন।

মূলত, আপনার যে নাম্বার থেকে বিকাশ একাউন্ট লক হয়ে গেছে সেই নাম্বার থেকে আপনি কল করার পরে সমস্ত ডকুমেন্ট এর সমন্বয়ে তাদেরকে এ বিষয়টি অবগত করলেই আপনার অ্যাকাউন্ট আনলক হয়ে যাবে।

এবং অ্যাকাউন্ট আনলক হয়ে যাওয়ার পরে আপনি পুনরায় একটি পিন সেট আপ করে নিতে পারবেন। আর অবশ্যই এই পিন নাম্বারটি নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখবেন, যাতে করে পরবর্তীতে পিন নাম্বার ভুল হয়ে যাওয়ার জটিলতায় না পড়েন।

এখানে একটি কথা অবশ্যই ক্লিয়ার করা দরকার আর সেটি হলো আপনার কাছে যদি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত ডকুমেন্টস থেকে থাকে, তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট যে কোন সমস্যায় পড়লে তা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

কাজেই, একাউন্ট কিরকম ডকুমেন্টস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং আপনার অ্যাকাউন্টের সর্বশেষ ট্রানজেকশন এর হিসাব সমীকরণ মনে রাখুন। তাহলেই অ্যাকাউন্ট সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top