যেকোনো ছবিকে পূর্বের চেয়ে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ছবি এডিটিং সফটওয়্যার সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
অর্থাৎ যেকোন ছবি ক্যাপচার করার পরে যে রকম আকর্ষণীয় দেখায়, তার চেয়ে বহু গুণ আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলার জন্য ছবি এডিটিং সফটওয়্যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে এন্ড্রয়েড ফোনে ছবি এডিট করার জন্য সর্বকালের সর্বসেরা যে সমস্ত এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে, সেগুলোর সহায়তা নিয়ে নেয়ার পুর্বে এপস অনুসন্ধানে আমরা অনেকেই ব্যর্থ।
আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারবেন এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য বরাদ্দকৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ 15 টি ছবি এডিট করার অ্যাপস সম্পর্কে।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
Snapseed
ছবি এডিট করার অ্যাপস এর মধ্যে থেকে স্ন্যাপসিড কে প্রথম স্থানে দেয়ার মূল কারনই হল এই অ্যাপসটি কার্যক্ষমতা। এবং এর মাধ্যমে যে কোনো এডিটিং কাজ করা সম্ভব।
তাছাড়া সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো এই অ্যাপসটি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন গুগল এর ডেভলপাররা তৈরি করেছে। যার কারণে এই অ্যাপসটি ব্যবহার করতে যে কাউকে উদ্বুদ্ধ করে।
স্ন্যাপসিড অ্যাপসটি ব্যবহার করার মাধ্যমে যে কোন ছবিতে আকর্ষণীয় ইফেক্ট দেয়া সম্ভব হয়। এবং এইচডি কোয়ালিটি তে যে কোন ছবি ব্লার করা সম্ভব হয়।
স্নাপসীড অ্যাপস এর মাধ্যমে যেকোনো যেকোনো ছবি ভিন্ন ভিন্ন 19 টি টুলস এবং জনপ্রিয় সমস্ত ফিল্টার এর সহায়তায় এডিট করতে পারবেন।
এই অ্যাপসটি সহযোগিতায় ছবি এডিট করলে আপনি যে সমস্ত ফিচারস উপভোগ করতে পারবেন সেগুলোর মধ্যে থেকে কয়েকটি হল: Healing, Brush, Structure, HDR, Perspective, White Balance ইত্যাদি।
Photo Editor Pro
এই ছবির ইডিটিং অ্যাপসটি তৈরি করেছে জনপ্রিয় সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানি Inshot.inc, এবং এই অ্যাপসটি ইতিমধ্যে প্রায় 100 মিলিয়ন বা 10 কোটি লোক ব্যবহার করছে।
এই ফটো এডিটিং অ্যাপস এর মাধ্যমে যে কোনো ছবি এডিটিং এর প্রায় 100 টিরও অধিক ফিল্টার ব্যবহার করা যাবে; এবং যে কোন ছবিতে স্লিম বডি তৈরি করা সম্ভব।
জনপ্রিয় এই ছবিটি কাজ করার অ্যাপসের মাধ্যমে একসাথে ১৮+ ছবি যুক্ত করার মত ফিচারস বিদ্যমান রয়েছে। এই ফিচারস কে আমরা সাধারণত Photo Collage Maker হিসেবে জানি।
ডিএসএলআর ব্লার ইফেক্ট এর মাধ্যমে যেকোনো ছবিকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এই সফটওয়্যার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়াও ছবি এডিট করার জন্য যে সমস্ত ফিচারস এর প্রয়োজন হয়, যার জন্য আমরা ভিন্ন ভিন্ন সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে বাধ্য হযই, সেই কাজটি এই অ্যাপটি ব্যবহার করলে প্রয়োজন হবে না।
অর্থাৎ এডিট করার জন্য কোন external এপস এর প্রয়োজন হবেনা।
Picksart
যে বা যারা ছবি এডিটিং এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে হাতেগোনা কয়েকজন খুঁজে পাবেন না যারা পিকসার্ট অ্যাপসটির নাম শুনেনি।
গুগল প্লে স্টোরে এই অ্যাপসটির রেটিং প্রায় 10 মিলিয়ন এর বেশি এবং এই সমস্ত রেটিং এর এভারেজ পজিশন হলো 4.4/5 ( যদিও এটি পরিবর্তনযোগ্য)।
একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ছবি এডিট করার জন্য এরকম কোন ফিচারস বাকি নেই যা এই অ্যাপসটির মধ্যে যুক্ত করা হয়নি। যার কারণে ছবি এডিটিং এ এপস টি অনন্য জায়গা দখল করে রেখেছে।
এই অ্যাপসটি ইতিমধ্যে প্লে স্টোরে প্রায় 500 মিলিয়ন এর অধিক ডাউনলোড করা হয়েছে। যা প্রায় 50 কোটি এর কাছাকাছি, এবং এই অ্যাপসটি এত ব্যবহারকারী হওয়ার মূল কারনই হল অ্যাপস এর পারফর্মেন্স।
এই অ্যাপস দিয়ে যখন ছবি এডিট করবেন, তখন ফ্রিতে কয়েক মিলিয়ন ইমেজ এর সহযোগিতায় যেকোনো ছবিকে আরও আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলা সম্ভব।
বলাবাহুল্য, এই অ্যাপসটি অনলাইনে এবং অফলাইনে ব্যবহার উপযোগী এবং এখানে রয়েছে কয়েক হাজার ইন্টারেস্টিং ইফেক্ট যা যেকোনো ছবিকে আকর্ষণীয় করতে সহায়তা করবে।
এই অ্যাপসের মাধ্যমে যদি কোন ছবিতে লেখার মত ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে ফ্রিতে 200 ফন্ট ব্যবহার করতে পারবেন এবং ইচ্ছা অনুযায়ী এক্সটার্নাল ফন্ট যুক্ত করার মত অপশন পাবেন।
বলাবাহুল্য এই অ্যাপস এর সহযোগিতায় ছবি এডিটিং এর পাশাপাশি ভিডিও এডিট করার অনেক ফিচার রয়েছে এবং সবকিছু মিলিয়ে ছবি এডিটিং এপস এর মধ্যে এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি অ্যাপস।
Photoshop
ছবি এডিটিং এর জন্য ডেক্সটপ কিংবা পিসির জন্য যে সমস্ত অ্যাপস বিদ্যমান রয়েছে সে সমস্ত অ্যাপস গুলোর মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ফটোশপ।
তবে এই ফটোশপের এন্ড্রয়েড ভার্সন বহুকাল আগেই ইন্টারনেটের জগতে পাবলিশ হয়েছে। যার কারণে পিসি ব্যবহারকারী ছাড়াও এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারী এই অ্যাপস ব্যবহার করার স্বাদ আস্বাদন করছে।
ফটোশপের সাথে ছবি ইডিট হলে ছবি এডিটিংয়ে আপনি অন্যরকম অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। কারণ এই অ্যাপসটিতে রয়েছে নানা রকমের এক্সট্রিম লেভেল এর ফিচারস।
এই অ্যাপসটি সহযোগিতায় আপনি মিমি তৈরি করতে পারবেন এবং যেকোন প্রকারে গিফট ইমেজ তৈরী করতে পারবেন। এছাড়াও ফানি ফটো তৈরি করলেও এই অ্যাপসটির সহযোগিতায় করা সম্ভব।
ছবি কাজ করার অ্যাপস এর ক্ষেত্রে এই অ্যাপসটি অন্যরকম জায়গা দখল করার মূল কারণ হলো, এই সফটওয়্যার দিয়ে ছবি এডিট করলে মুখের স্পট দূর করা সম্ভব।
অর্থাৎ যে বা যারা সেলফি তুলতে ইচ্ছুক তাদের মুখে যদি কোন স্পর্ট থেকে থাকে তাহলে এই অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনার নির্দিষ্ট ছবি থেকে মুখের স্পট দূরীকরণ সম্ভব।
এবং এই অ্যাপসটি সহযোগিতায় যেকোনো টাইপের স্টাইলিশ ছবি তৈরি করা সম্ভব এবং ছবিতে ম্যাজিকাল লুকিং দেয়া সম্ভব।
Photodirector
ছবি এডিট করার মত আরেকটি জনপ্রিয় অ্যাপস হলো ফটো ডাইরেক্টর। এই অ্যাপসটিতে ছবি এডিটিং করার মত অনেক ফিচার এর সমারোহ রয়েছে।
সফটওয়্যার এর সহযোগিতায় অসাধারণ রকমের ইমেজ এনিমেশন তৈরি করা সম্ভব এবং এই এনিমেশন সেভ করার মাধ্যমে যে কোন প্লাটফর্মে ব্যবহার করা যেতে পারে।
“Object Removal” ফিচারস এর মাধ্যমে যেকোনো ছবি থেকে লেখা কিংবা অন্যান্য বিষয়বস্তু মুছে ফেলা সম্ভব এবং যে কোন ছবি একেবারে ক্লিন করা সম্ভব।
“Light Rays” ফিচারস ব্যবহার করার মাধ্যমে লাইটিং ইফেক্ট দেয়া সম্ভব। যাতে করে যেকোনো ছবি এডিটিং এর ক্ষেত্রে আরও বেশি আকর্ষণীয়তা যুক্ত করা যাবে।
এই অ্যাপসটিতে রয়েছে 1000 আকর্ষণীয় স্টিকার এবং ইমোজি। যে সমস্ত স্টিকার এবং ইমোজি ব্যবহার করে যে কোন ছবিকে অন্যরকম মাত্রা দেয়া সম্ভব।
Prisma
পৃষ্মা হলো জনপ্রিয় একটি ফটো এডিটিং সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে যেকোনো ছবি ফ্রিতে এন্ড্রয়েড ফোন দিয়ে এডিট করা সম্ভব।
পৃষ্মা সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার ছবির মধ্যে বিভিন্ন রকমের ফিচার যুক্ত করতে পারবেন, যে সমস্ত ফিচারস যেকোন ছবিকে আকর্ষণীয়তা দান করবে।
সফটওয়্যার মধ্যে রয়েছে আর্ট করার ফিল্টার। যে সমস্ত আর্ট ফিল্টার ব্যবহার করার মাধ্যমে ছবিতে এক ক্লিকের মাধ্যমে আর্টিস্ট যুক্ত করা সম্ভব। এছাড়াও তারা প্রতিনিয়ত স্টাইলিশ আর্ট ফিল্টার আপডেট দিয়ে থাকে।
“FINE-TUNE” ফিচারস এর মাধ্যমে যেকোনো ছবি থেকে ডার্ক স্পট মুছে ফেলা সম্ভব এবং স্ক্রিনের মধ্যে থাকা কালচে ভাব দূর করে সুপার ব্রাইটনেস ফেইস ইফেক্ট এই অ্যাপসটির মাধ্যমে করা সম্ভব।
Youcam Perfect
যেকোনো ছবি তোলার পরে মেকআপ করার মত সময় যদি আপনার কাছে না থেকে, তাহলে ইউকাম পার্ফেক্ট অ্যাপস ব্যবহার করার মাধ্যমে এই সমস্ত কাজ করতে পারেন।
ইউকাম পার্ফেক্ট সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কোন রকমের মেকআপ করা ছাড়াই যে কোন ছবিতে মেকআপ রিলেটেড ইফেক্ট যুক্ত করা সম্ভব। যা আপনার সময় অনেকাংশে বাঁচিয়ে নিবে।
ইউকাম পার্ফেক্ট সফটওয়ারের মাধ্যমে যে কোনো ছবিতে স্টিকার এবং ইমোজি ফ্রিতে যুক্ত করতে পারবেন। এছাড়াও এতে রয়েছে কয়েক হাজার ইন্টারেস্টিং ইমেজ ইফেক্ট।
এই ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এর সহযোগিতায় যেকোনো ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ এক ক্লিকের মাধ্যমে রিমুভ করতে পারবেন এবং এক্সটারনাল ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করতে পারবেন।
এই অ্যাপস এর মধ্যে ফ্রি এবং প্রিমিয়াম দুই রকমের সুযোগ সুবিধা রয়েছে এবং অ্যাপস থেকে সর্বাধিক পারফরম্যান্স পাওয়ার জন্য প্রিমিয়াম পারচেজ করা সর্বাধিক রিকমেন্ডেড।
Adobe Lightroom
সবচেয়ে জনপ্রিয় ফটো এডিটিং এপস গুলোর মধ্যে থেকে এডোবি লাইট্রুম অন্যতম একটি অ্যাপস। এই সফটওয়্যার ইতিমধ্যে প্রায় 100 মিলিয়ন ডাউনলোড করা সম্পন্ন হয়েছে।
এই সফটওয়্যার দিয়ে যেকোনো এন্ড্রয়েড ফোনে ভালো রকমের ইমেজ ক্যাপচার করা সম্ভব যে সমস্ত ফোনের ক্যামেরা জটিলতা রয়েছে সে সমস্ত ফোনের ক্যামেরা জটিলতা থেকে এই সফটওয়্যার মুক্তি দিবে
আপনি যদি একজন ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন এবং আপনার শুট করা ফটোতে গ্রাফিক্যাল ওয়াটারমার্ক যুক্ত করতে চান, তাহলে এডোবি লাইটরুমের সহযোগিতায় তা করা সম্ভব।
এডোবি লাইট্রুম সফটওয়্যার এর সহযোগিতায় যে কোন ছবিতে গ্রাফিক্যাল ওয়াটারমার্ক যুক্ত করা যায়; এছাড়াও এই অ্যাপটিতে রয়েছে আনলিমিটেড কালারের সমারোহ।
একজন ফটোগ্রাফার হিসেবে আপনি যদি সবচেয়ে বেস্ট ফটোগ্রাফার দের ফলো করতে চান এবং তাদের ফটোগ্রাফি দেখতে চান, তাহলে এডোবি লাইট্রুম এর সহযোগিতায় এ কাজটি করতে পারবেন।
Pixlr
Pixlr হলো একটি জনপ্রিয় ফটো এডিটিং সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সহজেই ফটো কলেজ তৈরি করা যায় অর্থাৎ একই সাথে বিভিন্ন ছবি যুক্ত করা যায়।
pencil sketch, poster, watercolor এফেক্ট এর সহযোগিতায় যেকোনো ছবি আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব। এছাড়াও ছবিকে স্কেচ করার জন্য এই অ্যাপসটি বর্তমানে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে।
যে কোন ছবিতে খুব সহজভাবে যদি টেক্সট যুক্ত করার ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে Pxlr অ্যাপস এর মাধ্যমে তা করা সম্ভব। অ্যাপসটির সহযোগিতায় যেকোনো ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করা যাবে।
এছাড়াও ছবি এডিটিং এর ক্ষেত্রে আপনার যদি পছন্দনীয় কোন ফিচারস থেকে থাকে, তাহলে আপনি এই অ্যাপসটির মাধ্যমে সেই ফিচারস বুকমার্ক করে রাখতে পারবেন।
এবং এতে করে যখন ছবি এডিট করবেন তখন খুব সহজেই আপনার পছন্দের ইফেক্ট বা ফিচারস ট্রাক করে ছবি এডিটিং আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন।
PHOTOGENICS
PHOTOGENICS একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে যে কোনো ছবিতে ড্রইং এর কাজ সহজে সম্পাদন করা যায়; এবং ছবিতে কার্টুন স্টাইলের বেলুন যুক্ত করা সম্ভব।
যেকোনো ছবিকে খুব বেশি মজাদার করে তোলার জন্য PHOTOGENICS অ্যাপসটি যথেষ্ট। এবং আপনি যদি খাটো হয়ে থাকেন তাহলে এই এডিটিং সফটওয়্যার এর সহযোগিতায় ছবিটিকে আরও বেশি বড় করতে পারবেন।
আপনার আকৃতি যদি খুব বেশি মোটা হয়ে থাকে, তাহলে এই সফটওয়্যার এর সহযোগিতায় আপনার দেহের আকৃতি কমিয়ে অনেক বেশি Slimmer হতে পারবেন।
এই এডিটিং সফটওয়্যার এর মধ্যে যে বিউটি ইফেক্ট রয়েছে, সে সমস্ত ইফেক্ট এর মাধ্যমে যেকোনো ছবিকে পূর্বের তুলনায় আরও বেশি আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা সম্ভব।
LightX
LightX একটি অবিস্মরণীয় অ্যান্ড্রয়েড ফটো এডিটিং সফটওয়্যার; এবং এই সফটওয়্যার সহযোগিতায় প্রফেশনাল ছবি এডিটিং এর স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন।
মজার ব্যাপার হল এই সফটওয়্যার এর মধ্যে থাকা ফিচারস গুলোর মধ্যে থেকে অনেক ফিচারস আপনি একদম ফ্রিতে উপভোগ করতে পারবেন এবং এই ফিচারের সহযোগিতায় ছবি আকর্ষণীয় করতে পারবেন।
আপনার মুখের পিম্পলস কিংবা যে কোনো রকমের স্পট এই সফটওয়ারের মাধ্যমে রিমুভ করা সম্ভব, এবং যখন সেলফি তুলবেন তখন অটোমেটিক ফিল্টার চেঞ্জ করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি আপনার চুলের কালার পরিবর্তন করতে চান, তাহলে এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে চুলের কালার পরিবর্তন সহজেই করতে পারবেন।
ছবি এডিটিং করার সময় আপনার দাঁত আরো বেশি সাদা করার জন্য এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সফটওয়্যারে আরো নানা রকমের আকর্ষণীয় ফিচার রয়েছে যা সফটওয়্যার ব্যবহার করার পরে আপনি জানতে পারবেন।
Photo Lab
এন্ড্রয়েড ফোনে ছবি কাজ করার মত যে সমস্ত সফটওয়্যার রয়েছে, সেগুলো সমস্ত সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য একটি সফটওয়্যার হলো “Pixel lab” এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে যে কোন ছবিতে আকর্ষণীয় ইফেক্ট যুক্ত করা সম্ভব; এবং যে কোন ছবিতে বর্তমান সময়ের ট্রেন্ডিং আর্ট যুক্ত করা সম্ভব।
এই সফটওয়্যার ডেভলপাররা বর্তমানে সফটওয়্যার এর মধ্যে প্রায় 900 ছবি এডিটিং ইফেক্ট যুক্ত করে রেখেছে। কন্টাক্ট আইকন, ওয়ালপেপার সহ বিভিন্ন রকমের আকর্ষনীয় আইকন এই অ্যাপস এর মধ্যে থেকে কালেক্ট করা সম্ভব।
সফটওয়্যার এর মধ্যে রয়েছে কয়েক শত ফটোফ্রেম, যে সমস্ত ফটো ফ্রেম এর সহযোগিতায় ছবিকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন। “Realistic photo effects” এই সফটওয়্যার এর মধ্যে বিদ্যমান।
Camera 360
এন্ড্রয়েড ফোনে ছবি শুট করার যে সমস্ত অ্যাপস রয়েছে সে সমস্ত অ্যাপস গুলোর মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ক্যামেরা 360। এই অ্যাপস এর মাধ্যমে একাধারে ছবি তুলে এবং এডিট করা সম্ভব।
আপনি যখন আপনার ফোনে এই অ্যাপসটি সহযোগিতা কোন একটি ছবি তুলবেন তখন আপনার ছবির মধ্যে স্কিন টিউন যুক্ত করতে পারবেন এবং স্ক্রিনের যে কোনো রকমের কালচে ভাব দূর করতে পারবেন।
এই সফটওয়্যার এর সহযোগিতায় ম্যাজিকাল আকাশ তৈরি করা সম্ভব; এবং একটি মাত্র টাইপ করার মাধ্যমে যে কোন ছবিতে বিউটি এফেক্ট যুক্ত করা সম্ভব।
“Anime effect” এর মাধ্যমে যে কোনো ছবিতে কার্টুনে ইফেক্ট দেয়া সম্ভব; সবকিছু মিলিয়ে ফটো কাজ করার সফটওয়্যার এর মধ্যে থেকে এটি উল্লেখযোগ্য একটি জায়গা দখল করে রেখেছে।
Beauty Plus
আপনি যদি সেলফি প্রেমিক হয়ে থাকেন এবং যেকোনো সেলফি তোলার ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় ইফেক্ট যুক্ত করতে চান, তাহলে বিউটি প্লাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে যে কোনো ছবিতে আকর্ষণীয় ম্যাজিকাল ইফেক্ট যুক্ত করা সম্ভব। এই ছবি এডিট করার অ্যাপস এর সহযোগিতায় যেকোনো ছবির হাইট পরিবর্তন করা সম্ভব।
এবং ছবির মধ্যে থাকা চোখ, নাক এবং ফেইস সমস্ত কিছুর স্বাভাবিকতা বিনষ্ট করে নতুন রকমের ইফেক্ট এই অ্যাপসটি সহযোগিতায় তৈরি করতে পারবেন। যা কোনভাবেই রিকমেন্ডেড নয়।
আশাকরি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ যে সমস্ত ফটো এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে সে সমস্ত ফটো এডিটিং সফটওয়্যার লিস্ট আপনি এবার দেখে নিতে পেরেছেন
এবার আপনি চাইলে এই সমস্ত সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে থেকে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো সফটওয়্যার নির্বাচন করে ছবি এডিট করার কাজে ব্যবহার করতে পারেন