আপনি যদি আপনার নিজস্ব ছবিকে অন্যরকম মাত্রা দিতে চান, তাহলে নিশ্চয়ই ছবিকে এডিট করার মাধ্যমে মুগ্ধ করে করে তুলবেন।
আসলেই তাই, যেকোনো একটি ছবি স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা না আকর্ষণীয় লাগে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আকর্ষণীয় হয় যখন আপনি ছবিটি পরিপূর্ণ এডিট করতে পারেন।
আর আজকের এই পোস্টটিতে আমি ছবি এডিট করার সম্পূর্ণ গাইড লাইন সম্পর্কে আলোচনা করব, যে আপনি একটি ছবি এডিট করতে পারবেন।
তাহলে আর দেরি না করে এখনই পোস্টটি শুরু করা যাক।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
ছবি জোড়া লাগানোর সফটওয়্যার:
আপনি যদি আপনার ছবিগুলো কে এলবাম আকারে সাজিয়ে রাখতে চান কিংবা একটি ছবির সাথে আরেকটি ছবি জোড়া লাগাতে চান, তাহলে আপনি এডিট করার মাধ্যমে তা করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে ছবি জোড়া লাগানো যে সমস্ত সফটওয়্যার গুলো রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার এই কাজটি পুরোপুরিভাবে সম্পাদন করতে পারেন।
ছবি জোড়া লাগানোর জন্য যে সমস্ত সফটওয়্যার রয়েছে সে সমস্ত সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি লিঙ্ক আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি।
ছবি জোড়া লাগানোর জন্য উপরে উল্লেখিত যে অ্যাপটির লিঙ্ক আমি দিয়েছি সেটা সর্বাপেক্ষা উত্তম একটি অ্যাপস, এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি চাইলে কয়েকটি ছবি একসাথে জোড়া লাগাতে পারবেন।
আর আপনি চাইলে আপনার ছবিগুলো কে বর্ডার দিয়ে ভাল ভাবে আগলে রাখতে পারবেন, উপরে বর্নিত অ্যাপস একদম ফ্রী হওয়ার কারণে আপনি এটি ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারবেন, এবং আপনার ইমেজ কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
এছাড়াও ছবি জোড়া লাগানোর মতো আরো যে সমস্ত সফটওয়্যার গুলো সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য এবং ব্যবহারযোগ্য সেগুলো আপনি নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিন।
উপরে উল্লেখিত সফটওয়্যারগুলো আপনি ছবি সাজানো সফটওয়্যার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, কারণ এগুলো ছবি সাজানো সফটওয়্যার এর মত কাজ করে।
ছবি পরিষ্কার করার সফটওয়ার:
প্রায় সময় দেখা যায় আমাদের ক্যাপচার করা ছবিগুলো এর কোয়ালিটি তেমন একটা ভালো হয় না, আর এইসমস্ত গুলাটে ছবি আমাদের ব্যবহার করতে হয় প্রায়।
কারণ প্রায় সময় দেখা যায় যে, আমরা যে ছবিটি গুলা ক্যাপচার করি সেই ছবিটি আমাদেরকে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে, যার কারণ হতে পারে এছাড়া আমাদের কাছে ওই রিলেটেড আর কোনো ছবি নেই।
তবে আপনি চাইলে আপনার ঐ সমস্ত ঘোলাটে ছবিগুলোকে কিছু সফটওয়্যার এর মাধ্যমে পরিষ্কার করে ফেলতে, এবং এগুলোকে পুরোপুরি এইচডি কোয়ালিটি তে ডিজাইন করতে পারেন।
আর ছবি ডিজাইন করে একেবারে ক্লিয়ার ইমেজ আপনি যদি তৈরি করতে চান, তাহলে নিচে দেয়া অ্যাপসটি ব্যবহার করতে পারেন।
একটি যখন আপনি ডাউনলোড করে নিবেন, তখন এতে প্রবেশ করার পর আপনার যে ছবি রয়েছে সেই ছবিটি এখানে সাবমিট দিতে হবে, এবং তারপরে কিছু এডিট করার মাধ্যমে ক্লিয়ার করে তুলতে হবে।
এছাড়াও আরও একটি অ্যাপসে সহযোগিতায় আপনি চাইলে আপনার ঘোলাটে ছবি পরিষ্কার করে, ভালোভাবে ছবি ডিজাইন করতে পারেন।
আশাকরি উপরে উল্লেখিত অ্যাপস গুলো আপনার কাজে আসবে এবং এগুলো যে কোন ছবি ক্লিয়ার করতে আপনাকে সহায়তা করবে।
ভিডিও গানে ছবি বসানো apps:
আপনি যদি আপনার ভিডিও গানে পছন্দের কোন ছবি যুক্ত করতে চান অর্থাৎ ভিডিও গানে ছবি বসানো apps নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাহলে আজকের দেখানো অ্যাপসগুলো নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারেন।
ছবি দিয়ে ভিডিও তৈরি apps এগুলো একদম ফ্রি এবং আপনি চাইলে এগুলো লাইফটাইম ফ্রি তে ব্যবহার করে আপনার কাজ সম্পাদন করতে পারবেন।
ছবি দিয়ে ভিডিও তৈরি apps গুলোর মধ্যে যেগুলো সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সেগুলোর লিঙ্ক আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি, আপনি চাইলে এখান থেকে গানে ছবি লাগানোর সফটওয়ার ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
তাহলে আর দেরি না করে এখনি উপরে উল্লেখিত অ্যাপস গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে, ছবি দিয়ে ভিডিও তৈরি apps এর অভাব পূরণ করুন।
ছবি কালার করার অ্যাপস:
আপনি যদি আপনার পছন্দের ছবি কালারফুল করতে চান এবং এটিকে কালারফুল করার মাধ্যমে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে চান তাহলে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
ছবি কালার করার অ্যাপস যে সমস্ত ইন্টারনেটে বিদ্যমান রয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অ্যাপস এর লিঙ্ক আমি নিচে দিয়ে দিব।
উপরে উল্লেখিত ছবি কালার করার অ্যাপস আপনি যখন ডাউনলোড করে নিবেন তখন এতে প্রবেশ করবেন, এবং তারপর এখানে আপনি আপনার ছবি আপলোড দিবেন।
ছবি আপলোড দেয়ার পরে আপনি চাইলেএটিকে বিভিন্ন কালারফুল পেইন্ট এর মাধ্যমে সুন্দরভাবে ডিজাইন করতে পারবেন।
আশাকরি উপরুক্ত অ্যাপস গুলো অবশ্যই আপনার পছন্দের হবে, এবং ছবি কাজ করার সফটওয়্যার হিসেবে আপনার কাজগুলো কে ভালোভাবে সম্পাদন করে দিবে।
তাহলে আর দেরি না করে এখুনি উপরে বর্ণিত,ছবি জোড়া লাগানোর সফটওয়্যার, ছবি পরিষ্কার করার সফটওয়ার,ভিডিও গানে ছবি বসানো apps, ছবি কালার করার অ্যাপস একসাথে ডাউনলোড করে নিন।