গুগল এডসেন্স অনুমোদন এবং বিকল্প নিয়ে পরিপূর্ণ আলোচনা

ইন্টারনেটের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন কিন্তু গুগল এডসেন্স সম্পর্কে জানেন না এরকম মানুষ আপনি হাতেগোনা কয়েকজন খুঁজে পাবেন না।

আমরা যে বা যারা ইন্টারনেটের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে সেটা যেই হোক, ওয়েব সাইট অথবা ইউটিউব কিংবা অন্য যে কোনো ধরনের প্লাটফর্ম, আমরা সকলেই গুগল এডসেন্স এর সম্পর্কে কিছুটা হলেও জেনেছি বা শুনেছি।

তবে গুগল এডসেন্স এর সাথে সম্পৃক্ত সমস্ত বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের হয়তো মোটামুটি রকমের ধারণা নাও থাকতে পারে,  তবে আমরা এ সম্পর্কে জানতে চাই। 

আর আপনি যদি Google AdSense এর যাবতীয় সমস্ত বিষয়াদি সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি একদম শেষ পর্যন্ত দেখুন।

এই পোস্টটিতে আমি গুগল এডসেন্স এর যাবতীয় তথ্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করেছি, যাতে করে আপনার আর কোন সমস্যা হবে না গুগল এডসেন্স দিয়ে মনিটাইজেশন নেয়ার সময়।

গুগল এডসেন্স কি?

গুগল এডসেন্স হলো গুগলের তৈরি একটি অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম, এখান থেকে যেকোন ব্যবহারকারীরা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এবং তার পরে তাদের দেয়া রুলসগুলো মান্য করে মনিটাইজেশন এনাবেল করে।

একদম সহজ ভাবে বলতে গেলে, আপনি যখন কোনো ভ্যালুয়েবল কন্টেন্ট লিখবেন বা পাবলিশ করবেন, তখন এই আর্টিকেলের বিনিময় টাকা আয় করার যে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গুগল এডসেন্স।

অর্থাৎ আপনি গুগল অ্যাডসেন্স থেকে মনিটাইজেশন নেয়ার পরে এখানে যখন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এনাবল হবে, তখন কোন ভিউয়ার যদি এতে ক্লিক করে তাহলে আপনি এখান থেকে কিছু ডলার আয় করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স একাউন্ট:

আপনি যখন এটা মনে করবেন যে আপনার ওয়েবসাইট কিংবা যেকোন ধরনের প্লাটফর্মে আপনি যথেষ্ট পরিমাণ খাটনি খেটেছেন এবং এখন আপনার আয় করার সময় এসে গেছে তাহলে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।

যার মানে হলো আপনি যখন এই সম্পর্কে নিশ্চিত থাকবেন যে আপনার ওয়েবসাইট কিংবা যেকোন ধরনের প্লাটফর্ম এর পলিসি গুগল এডসেন্স এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রয়েছে, তাহলে আপনি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তাদের কাছে রিভিউ পাঠাতে পারেন।

আর যখন আসলেই আপনার ওয়েবসাইট কিংবা পছন্দের প্ল্যাটফর্ম এর আর্টিকেল কিংবা অন্য যে কোন জিনিস ভ্যালুয়েবল হবে এবং Google AdSense এর  নীতি মান্য করবে তখন আপনি এখান থেকে কয়েকদিনের মধ্যে অনুমোদন পাবেন।

তবে এক্ষেত্রে আপনাকে সর্ব প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো আপনাকে প্রথমত একটি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে এবং তারপর এখানে আপনার ওয়েবসাইটকে যুক্ত করতে হবে।

আর আপনি কিভাবে খুব সহজে কয়েক মিনিটের মধ্যে যেভাবে একটি  অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তারপরে এতে আপনার ওয়েবসাইট যুক্ত করতে পারবেন, সেটা নিয়ে একটি আর্টিকেল এই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা আছে।

জেনে নিন: এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম

আশা করি আপনি উপরুক্ত লিংক এর সহযোগিতায় এই আর্টিকেলটি পড়ে তারপরে আপনি এই সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা নিয়ে একটি Google AdSense একাউন্ট তৈরী করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয়

যখনই Google AdSense আপনার ওয়েবসাইট অনুমোদন দিয়ে দিবে তখন আপনি যখন এই ওয়েবসাইটে তাদের অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ভিজিটরদের দেখাবেন, তখন আপনি প্রতিটি ক্লিকের বিনিময় কিছু টাকা পাবেন।

তবে আপনার ওয়েবসাইটে যদি যথেষ্ট পরিমাণে ভিজিটর থাকে এবং আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলো যদি খুব বেশি ভিউ হয়, তাহলে আপনি প্রত্যেক ক্লিকের জন্য খুব বেশি পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনার টাকা আয় করার ব্যাপারটা কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে তার মধ্যে একটি হলো আপনার টার্গেট এর কান্ট্রি এবং ভালো কান্ট্রি তে টার্গেট করা ট্রাফিক।

এক্ষেত্রে আপনি যত বেশি উন্নত মানের সিপিসি যুক্ত দেশ থেকে ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন আপনার ওয়েব সাইট থেকে আয় করার পরিমাণ তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

কারন গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার মূল উপাদান হলো আপনার গুগল এডসেন্স এড সিপিসি এবং ট্রাফিক, আর যদি আপনি সিপিসি বৃদ্ধি ও করেন তাহলে টাকা আয় বৃদ্ধি পাবে।

আর আপনি কিভাবে একটি সহজ পদ্ধতি ফলো করার মাধ্যমে প্রতিটি ক্লিকের জন্য 100 ডলার আয় করতে পারবেন সে সম্পর্কিত একটি আর্টিকেল আপনি চাইলে নিচে থেকে দেখে আসতে পারেন।

জেনে নিন: গুগল এডসেন্সে এক ক্লিকে ১০০ ডলার আয় করার নিয়ম

আশাকরি উপরুক্ত আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি গুগল এডসেন্সের সিপিসি কিভাবে বৃদ্ধি করতে হয় এবং কিভাবে আপনার টাকা আয় করার পরিমাণ বৃদ্ধি করবেন সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স এর নীতিমালা

যেকোনো ধরনের প্লাটফর্ম কোন একটি কঠোর নীতিমালার আওতায় পড়ে, আর আপনি ওই প্ল্যাটফর্মের সাথে ওই নীতিমালা উপেক্ষা করে কোন রকমে ঠিকে থাকতে পারেন না।

যেহেতু গুগোল একটি জায়ান্ট কোম্পানি,  এবং Google AdSense হলো গুগলের একটি প্রোডাক্ট তাই আপনাকে অবশ্যই তাদের দেয়া নীতিমালা গুলো মেনে চলতে হয়, যদি আপনি গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল নিতে চান।

আর গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল নেয়ার যে সমস্ত নীতিমালা গুলো রয়েছে সেগুলো আপনি যদি বাংলায় ট্রান্সলেশন করে পড়েন তাহলে আপনি এই সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে নিতে পারেন।

যাদের ইংরেজি সম্পর্কে ভাল অভিজ্ঞতা আছে তারা তাদের দেয়া গাইড লাইন গুলো খুব সহজেই (এই লিংক) থেকে দেখে আসতে পারে।

তবে আমার মত যাদের ইংরেজি সম্পর্কে খুব বেশি একটি ধারণা নেই তারা চাইলে আমার দেয়া গুগোল অ্যাডসেন্সে পলিসি গুলো নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে পড়ে আসতে পারেন।

জেনে নিন: গুগল এডসেন্সের পাবলিশারদের জন্য নীতিমালা

আশা করি আপনি যখন গুগল এডসেন্স এর নীতিমালা গুলো সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে নিবেন এবং তারপরে এই অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইটকে ডেভেলপ করবেন তখন আপনি এখান থেকে সহজেই অ্যাপ্রভাল নিতে পারবেন।

অন্যতায় গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল নেয়ার স্বপ্ন ছিল তারা শুধু স্বপ্ন হিসেবেই বাক্সবন্দী থাকবে, এডসেন্স থেকে অ্যাপ্রভাল আপনার এই জনমে হবে না।

গুগল এডসেন্স এর একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় এবং চিঠি কিভাবে হাতে পাবেন?

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার পরে, গুগল এডসেন্স এর পেমেন্ট threshold যখন কমপ্লিট হয়ে যায়, তখন পিন ভেরিফিকেশন সমস্যায় পড়েন।

যখন আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে ১০ ডলার হয়ে যাবে তখন আপনি পিন ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন, Google AdSense আপনাকে একটি লেটার পাঠাবে যেখানে আপনার একাউন্টের পিন দেয়া থাকবে।

এবং আপনি যখন ওই লেটার কালেক্ট করে নিবেন আপনার নিকটস্থ পোস্ট অফিস থেকে, তখন আপনি এখানে থাকার চার অক্ষরের পিন রয়েছে এটা দিয়ে আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করে নিতে পারবেন।

আর পিন ভেরিফাই করে নেয়ার পরে আপনার অ্যাকাউন্টে আপনি আবার পুনরায় টাকা যুক্ত করতে পারবেন, এবং আপনার একাউন্ট পুনরায় সচল হবে।

তবে সমস্যা হলো আমরা অনেকেই গুগল এডসেন্স এর কাছে পিন ভেরিফিকেশন লেটার এর জন্য আবেদন করার পরেও সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও ওই ভেরিফিকেশন লেটার আমাদের হাতে এসে পৌঁছায় না।

ভেরিফিকেশন লেটার আপনার হাতে না পৌঁছানো অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে তার মধ্যে থেকে একটি হলো আপনার পোস্ট অফিসের অবস্থা তেমন একটা সচল কিংবা অ্যাক্টিভিটি কেমন একটা ভালো নয়।

যার কারণে আপনি অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করার পরেও Google AdSense এর পিন ভেরিফিকেশন লেটার আপনার হাতে নাও পেতে পারেন।

ভেরিফিকেশন লেটার হাতে পর কিছু ম্যাজিক টিপস

  • আপনি চাইলে পোস্ট অফিসে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পারেন।
  • দায়িত্বরত ব্যক্তির সাথে ভালো ভাব  রক্ষা করতে পারেন।
  • চাইলে ঐ ব্যক্তিটি কে চা নাস্তার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন:)
  • সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনার ভেরিফিকেশন লেটার হাতে পাওয়া সম্ভব।

পিন ভেরিফিকেশন লেটার না পেলে কি করবেন?

আপনি যদি ভেরিফিকেশন লেটার আপনার হাতে না পান তাহলে আপনি আরেকটি বিকল্প উপায়ে এর মাধ্যমে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্ট ভেরিফাই করে নিতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনি যখন গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করবেন তখন ওই এডসেন্স একাউন্টে দেয়া যে সমস্ত ইনফরমেশন গুলো রয়েছে সেগুলো কে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড কিংবা যে কোন একটি গভারমেন্ট এর সাথে ম্যাচ করে দিতে হবে।


গুগল এডসেন্স

আপনার যদি কোন কারণে রকমের আইডি কার্ড না থাকে তাহলে আপনি আপনার বাবা-মায়ের ন্যাশনাল আইডি কার্ডের অনুযায়ী আপনার একাউন্টের নাম এবং অ্যাড্রেস সমস্ত কিছু দিতে হবে।

তাহলে আপনার যখন পিন ভেরিফিকেশন এর লিমিট শেষ হয়ে যাবে অর্থাৎ আপনি তিনবারের ব্যর্থ চেষ্টায় আপনার লেখাতে পারবে না তখন আপনি ওই গভারমেন্ট কার্ডটি সাবমিট দিয়ে ভেরিফাই করে নিতে পারবেন।

তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কমপক্ষে তিন থেকে চারবার অপেক্ষা করতে হবে এবং বারবার আপনাকে রিভিউ এর জন্য পাঠাতে হবে।

এবং যখন আপনার পিন ভেরিফিকেশন লিমিট শেষ হয়ে যাবে তখন আপনি ওই নেশনাল আইডি কার্ড দিয়ে আপনার একাউন্ট খুব সহজেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভেরিফাই করে নিতে।

আর এই প্রসেস আপনি তখনই করতে পারবেন যখন আপনার ভেরিফিকেশন লেটার এর সময় শেষ হওয়ার পরেও আপনার হাতে না পৌঁছাবে।

গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়

আমরা অনেক সময় কোন একটি ওয়েবসাইট কিংবা প্ল্যাটফর্ম এর সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার পরে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে যায়।

কিন্তু আমরা গুগল এডসেন্স এর জন্য মরিয়া হয়ে যাওয়ার কারণে আমরা যে জিনিস গুলোর কারণে অ্যাডসেন্স থেকে অনুমোদন নিতে পারব, ওই জিনিস গুলো নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দেয়।

ব্যাপারটা এরকম যে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স থেকে অ্যাপ্রভাল পাওয়ার জন্য যে বিষয়টি কে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিবেন সেটি হলো আপনার ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেল বা কনটেন্ট গুলো কে।

কিন্তু যখন Google AdSense এর জন্য আমরা আবেদন করা শুরু করি এবং তখন আমরা বারবার রিজেক্ট এর পরেও কনটেন্টের দিকে কোন ভাবে ফোকাস করি না, এবং বারবার রিজেক্টেড পরে আমরা মনমরা হয়ে যায়।

তবে আমার ভাষ্যমতে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য প্রথমত কম করে হলেও 3 মাস আপনার ওয়েবসাইটের দিকে নজর দিন।

ভালো সময় উপযোগী কনটেন্ট আপলোড দেন এবং এই কন্টেন্ট গুলোকে তথ্যবহুল করে ভিজিটরের সামনে উপস্থাপন করুন, তাহলে গুগল এডসেন্স এর জন্য আপনার আবেদন করতে হবে না গুগল এডসেন্স এমনি আপনাকে এপ্রুভাল করে দিবে:'(  গুজবে কান দিবেন না)

আপনি তিন মাস আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে ফোকাস করার পরে যখনই আপনি এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন তখন শতভাগ গ্যারান্টি সাথে আপনি এপ্রোভাল পেয়ে যাবেন।

তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য মরিয়া না হয়ে, প্রথমত আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট এর দিকে ফোকাস করুন, তাহলে google-adsense নিজে থেকে আপনাকে ধরা দিবে।

গুগল এডসেন্স ইউটিউব

আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং আপনি যদি এই ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করে খুব বেশি পরিমানে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে গুগোল অ্যাডসেন্সে দিকে নজর দিতে হবে।

এবং গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করতে চান তাহলে এই মনিটাইজেশনের ক্ষেত্রে গুগল এডসেন্স এর নিয়ম খুবই সহজ।

আপনাকে প্রথমে একটি ভ্যালিড ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে এবং তারপর এখানে আপনি যখন সারা চার হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম এবং ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার করে নিবেন তখন আপনি মনিটাইজেশন এনাবেল করতে পারবেন।

তবে আপনি যদি ভালো ভিডিও আপলোড না করেন তাহলে এই টার্গেট ফিলাপ করতে আপনার কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।

ভালো এবং সময়োপযোগী ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আপনি তাদের দেয়া টার্গেট কয়েক মাসের মধ্যে ফিলাপ করে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে মনিটাইজেশন নিতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স এর বিকল্প

আপনি যদি কোন সংযত কারণে গুগল এ্যাডসেন্স থেকে এপ্রুভাল নিতে না পারেন, তাহলে হয়তো গুগল এডসেন্স এর বিকল্প এর অনুসন্ধান করে থাকবেন।

আপনি গুগল এডসেন্স যতটা কষ্টের সহকারে অ্যাপ্রভাল নিতে পারবেন অন্য এডসেন্সের বিকল্প গুলো থেকে অনুমোদন  নিতে আপনার সেই কষ্টের এক শতাংশ হবে না।

এরকম অনেক গুগল এডসেন্স এর বিকল্প রয়েছে যে প্ল্যাটফর্মগুলোতে কে আপনি শুধুমাত্র অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরেই কোন ধরনের রিভিউ সংক্রান্ত জটিলতা ছাড়া অ্যাপ্রভাল  নিয়ে নিতে পারেন।

আর যে সমস্ত গুগল এডসেন্স এর বিকল্প আপনার সবচেয়ে বেশি উপকারে আসবে সেই সমস্ত গুগল এডসেন্স এর বিকল্প গুলোর লিঙ্ক আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি।

আপনি শুধুমাত্র এখানে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন এবং তারপর আপনার ওয়েবসাইটে দেখানোর মত অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ইউনিট গুলো পেয়ে যাবেন।

এবং এগুলো আপনার ওয়েব সাইটের যে কোন ধরনের widget এর মধ্যে বসিয়ে দিলেই ভিজিটররা ওই অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ইউনিট গুলো দেখতে পারবে।

1. Media.net

2. PropellerAdsPropellerAds

3. Revcontent

4. InfoLinks

5. Bidvertiser

6. RevenueHits

7. Adcash

8. BuySellAds

9. Skimlinks

10. Amazon Native Shopping Ads

আশা করি, আপনি উপরুক্ত গুগল এডসেন্স এর বিকল্প ওয়েবসাইটগুলো থেকে খুব বেশি পরিমাণে ডলার আয় করতে পারবেন এবং আপনার ওয়েবসাইট মনিটাইজেশন সফলভাবে নিতে পারবেন।

তবে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি যেভাবে ডলার আয় করতে পারবেন ওই সমস্ত বিকল্প প্লাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে আপনি সমপরিমাণ ডলার আয় করতে পারবেন না।

এক্ষেত্রে আপনি প্রতিটি ক্লিকের জন্য হয়তো ডলার আয় করবেন তবে গুগল এডসেন্সের সমপরিমাণ ডলার কখনোই হবে না,  তাছাড়া আপনি এখানে কোনো রকমের অটো অ্যাড বসাতে পারবেন না।

রেস্পন্সিভ এড ইউনিট আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট এর ভিতরে বসানোর ব্যর্থতার কারণে হয়তো আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ড্রপ হতে পারে।

তবে কোন কিছু না থাকার চেয়ে কিছুই ভালো, এর কারণে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স থেকে অনুমোদন নেয়ার আগে এই সংক্রান্ত ওয়েবসাইট গুলোর সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেন যদি আপনার ইচ্ছা হয় তো।

গুগল এডসেন্সে আবেদন করার আগে যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখতে হবে

আপনি যদি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করেন যাতে করে আপনি গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল নিতে পারবেন প্রথমবারে তাহলে আপনি চাইলে কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

গুগল এডসেন্স এর আবেদন এর আগে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন সেই বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল:

  • ওয়েবসাইটের আর্টিকেল।
  • ওয়েবসাইটের ডিজাইন।
  • ওয়েবসাইটের অবস্থা।
  • ওয়েবসাইটের ট্রাফিক।
  • ওয়েবসাইটের মধ্যে বিভিন্ন দরকারি পেইজ (about, contact, Privacy etc)
  • সিম্পল এবং এলেগান্ট ডিজাইন।
  • কনটেন্ট এর মান উন্নয়ন ইত্যাদি।

আপনি যদি গুগল এডসেন্স এর কাছে আপনার আবেদনের পূর্বে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যান তাহলে গুগল এডসেন্সের সাধ্য নেই আপনাকে আটকানোর।

গুগল এডসেন্স এর কাজ কি?

গুগল এডসেন্স এ কাজ বলতে তারা বিভিন্ন ধরনের জায়ান্ট কোম্পানিগুলো থেকে বিভিন্ন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্রমোট করে এবং এখান থেকে তারা কিছু ডলার পায়।

এর মানে হল আপনি যদি কোনো একটি কোম্পানিকে প্রমোট করতে চান তাহলে গুগল এডসেন্স এর অ্যাডভার্টাইজমেন্ট কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তার পরে তাদেরকে কমিশন দেয়ার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের প্রমোশনের কাজ করতে পারেন।

গুগল এডসেন্স মূলত ওই সমস্ত প্রোডাক্ট গুলো তাদের বিভিন্ন পাবলিশারের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দেয় এবং এখানে যখন ভিজিটর আসে তখন এখান থেকে ওই পাবলিশাররা কমিশন পায়।

আর মূলত গুগল এডসেন্স এর যে সমস্ত গাইড লাইন গুলো আপনার অবশ্যই জানা দরকার এবং যেগুলো আপনার খুব বেশি প্রয়োজন এ আসবে সেই সম্পর্কে পুরোপুরি আলোচনা আপনি উপরে লক্ষ্য করেছেন।

আশাকরি, উপরে উল্লেখিত গাইডলাইন আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে গুগল এডসেন্স এর অনুমোদন কিংবা অন্য যে কোন ধরনের সমস্যা নিয়ে আপনার আর কোন ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে না।

1 thought on “গুগল এডসেন্স অনুমোদন এবং বিকল্প নিয়ে পরিপূর্ণ আলোচনা”

  1. Hooligan Media দিয়ে মনিটাইজেশন অনেক সহজ। পেমেন্ট ও ভালো। এটা দিয়া website, blog, youtube channel সবই মনিটাইজ করা যায়। রেগুলার পেমেন্ট।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top