একেবারে সহজ অর্থে ই-কমার্স বলতে আমরা যা বুঝি সেটা হল, ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য গুলো ঘরে বসে আপনার হাতের নাগালে নিয়ে আসা। তবে, ই-কমার্স এর সুবিধা আসলে কি হতে পারে?
আর এই ই-কমার্সের মাধ্যমে যেহেতু আপনি ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে আপনার পণ্য গুলো নিজের কাছে নিয়ে আসবেন, তাই এখান থেকে অনেক ভাল রকমের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া কারো আশার বাকি রাখেনা।
আর এ ই-কমার্স এর সুবিধা নিয়ে আজকের এই পোষ্টটি খুব ভালো ভাবে সাজানো হয়েছে। আশা করি আপনার কাজে আসবে।
ই-কমার্স এর নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে যে সুযোগ-সুবিধা গুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি সুযোগ সুবিধা নিয়ে আজকের এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে।
ই-কমার্স এর সুবিধা
আপনি যদি ই কমার্স ব্যবহার করেন, তাহলে ই কমার্স এর মাধ্যমে যে সমস্ত সর্বাপেক্ষা ভালো সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো।
- সময় সাশ্রয়।
- অর্থের অপচয় রোধ।
- সবচেয়ে ভালো প্রোডাক্ট পাওয়া।
- নতুন উদ্ভাবিত প্রোডাক্ট।
- ধোঁকাবাজি শিকার না হওয়া।
- বিভিন্ন সময় অনেক বড় ডিসকাউন্ট পাওয়া ইত্যাদি
আর আপনি যদি এটা ব্যবহার করেন তাহলে মূলত যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সেগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম যে সুযোগ সুবিধা গুলো রয়েছে সেগুলো আংশিক আমি উপরে তুলে ধরেছি। এবার তাহলে সেটা নিয়ে বর্ণনা করা যাক।
সময় সাশ্রয়
আপনি যদি কমার্স ব্যবহার করেন তাহলে আপনার কিভাবে সময় সাশ্রয় হয় এটা ডিটেইলে আলোচনা করলে আপনি বুঝতে পারবেন।
উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি এমনিতেই ভাল কোন মার্কেটপ্লেসের ধারে কাছে না থাকেন, আপনার বাড়িটা যদি কোন একটি উন্নতমানের মার্কেটপ্লেস থেকে খুব বেশী দূরে অবস্থান রত হয়ে থাকে।
তাহলে আপনাকে আপনার পছন্দের যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট কিনতে হলে হয়তো বহুদূর জার্নি করে তারপর এখানে আসতে হয়।
তার পরেও আপনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে এখানে আপনি যদি ট্রাফিক জ্যামের মধ্যে একবার পড়ে যান, তাহলে ঘন্টার পর ঘন্টা এখানে আপনাকে মাথায় তেল দিয়ে দাড়াতে হবে।
যার মানে হল, এখান থেকে আপনি বের হবার কোন রাস্তায় খুঁজে পাবেনা।
ফলশ্রুতিতে কি হবে? আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনের চেয়ে অধিক সময় খরচ করার পরে ওই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে।
তারপরে আপনার পছন্দের জিনিসটি কিনে আবার বাসায় ফিরে আসতে হবে, আপনি যদি ফিরতি পথে আবার কোন ট্রাফিক জামের মুখোমুখি হয়ে যান, তাহলে মনে করবেন যে আপনার জীবনের পাতা থেকে একটি দিন শেষ হয়ে গেল।
আর আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবহার করেন, তাহলে কিন্তু আপনাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না।
আপনি শুধুমাত্র যেকোনো ধরনের একটি ট্রাস্টেড e-commerce প্লাটফর্ম এর কাছে আপনার পছন্দের পণ্যটি চেক আউট করার জন্য পাঠিয়ে দিতে পারেন, এবং তার পরে তারা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই পণ্যটি আপনার ঘরের সামনে নিয়ে হাজির হবে।
আর এভাবে খুব সহজেই আপনি আপনার সময় সাশ্রয় করার মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবহার করতে পারবেন
অর্থের অপচয় রোধ
ই-কমার্স আপনার অর্থের অপচয় রোধ করে। এই অর্থের অপচয় রোধের ব্যাপারটা আসে সাধারণত আপনার গাড়ি ভাড়ার খরচের হিসাব থেকেই। যেখান থেকেই আপনার অর্থের অপচয় রোধের সমীকরণটা শুরু হয়।
আপনি যদি ই-কমার্স এর কোন একটি প্ল্যাটফরম ব্যবহার করেন তাহলে আপনি এখান থেকে ক্রয় কৃত যে কোন একটি প্রোডাক্ট এর সঠিক মূল্য নির্বাচন করে তারপরে আপনি আপনার প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যখনই একটি ইকমার্স প্লাটফর্ম এর কাছ থেকে যে কোন একটি প্রোডাক্ট কেনার ক্ষেত্রে যে অ্যামাউন্ট থাকবে।
সেই টাকার পরিমান আপনি অন্য আরেকটি ই কমার্স সাইটের অ্যামাউন্টের সাথে মিলিয়ে এর ব্যবধানটা খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারবে।
এছাড়াও আপনি যদি এমনিতেই কোনো শপিং মল থেকে কোন একটি পোশাক কিংবা যে কোন একটি প্রোডাক্ট ক্রয় করেন, তখনই হয়তো আপনার কাছ থেকে ওই ব্যক্তিবর্গ প্রয়োজনের অধিক টাকা নিয়ে নিতে পারে যা মোটেও কাম্য নয়।
তাই আপনি আপনার অর্থের অপচয় রোধ করার জন্য এবং নির্দিষ্ট মূল্যে যেকোনো একটি প্রোডাক্ট কয় করার জন্য এ কমার্স সাইট এর সুবিধা গুলো ব্যবহার করুন।
সবচেয়ে ভালো প্রোডাক্ট পাওয়া
আপনি যদি একটি অরিজিনাল প্রডাক্ট নিজের কাছে নিয়ে আসতে চান এবং প্রোডাক্ট ক্রয় করার ক্ষেত্রে যাতে কোনরকম ধোঁকাবাজি শিকার হতে না চান, তাহলে আপনি ই-কমার্স সাইটগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি যদি কমার্স সাইট গুলো ব্যবহার করেন তাহলে আপনার পছন্দের পণ্যটির অরিজিনাল কপি আপনার নিজের হাতে নিয়ে আসতে পারবেন।
কিন্তু আপনি যদি যেকোনো ধরনের শপিংমলে যান তাহলে ডুপ্লিকেট কপি নিজের হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
এছাড়াও প্রোডাক্ট ক্রয় করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো প্রোডাক্ট আপনি যদি নিজের কাছে নিয়ে আসতে চান, তাহলে ই-কমার্স সাইটগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
নতুন উদ্ভাবিত প্রোডাক্ট
আপনি যদি সবেমাত্র রিলিজ হওয়া প্রোডাক্টগুলো নিজের কাছে পেতে চান, এছাড়া এরকম প্রোডাক্ট আপনি পেতে চান যেগুলো অন্যান্য প্রোডাক্ট এর তুলনায় অনেকটা ভিন্ন। তাহলে আপনি সেটা করতে পারবেন।
ই-কমার্সের সুবিধা যতগুলো রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এই সাইট গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি সবচেয়ে নতুন উদ্ভাবিত প্রোডাক্ট গুলো দেখতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি গুগলে সার্চ করার মাধ্যমে নতুন প্রোডাক্ট গুলোর নাম কপি করে এনে তারপরেও ই-কমার্স সাইটে সার্চ বক্সে ব্যবহার করে খুঁজে নিতে পারেন।
এবং অনেকে কমার্স সাইট এ আপনি এই সুযোগ সুবিধা পাবেন, নতুন প্রবেশ করা প্রোডাক্টগুলো আসলে কি? এবং সবশেষে আপনি এগুলো বাছাই করে নিজের কাছে নিয়ে আসতে পারবেন।
ধোঁকাবাজি শিকার না হওয়া
আপনি যদি এমনিতেই যেকোনো ধরনের শপিং মল থেকে কোন একটি প্রোডাক্ট করেন, তাহলে অরিজিনাল প্রোডাক্ট হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি পায়।
তবে, অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় আপনি যখন শপিং মল ব্যবহার করে কোন একটি প্রোডাক্ট নিজের কাছে নিয়ে আসেন এবং তারপরে বাড়ি অবধি পৌঁছে দেখেন যে আপনি যা ক্রয় করে নিয়েছেন সেটি আসলে ডুপ্লিকেট প্রোডাক্ট।
পরবর্তী সময়ে আপনি যদি এই প্রোডাক্ট পরিবর্তন করার জন্য ওই শপিংমলে আবার যান তাহলে তারা অস্বীকার করতে পারে।
ফলশ্রুতিতে আপনি আপনার টাকা অপচয় হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে ফেলেন, এবং অনেকটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যান।
তবে আপনি যদি কমার্স সাইট ব্যবহার করেন তাহলে এই সমস্ত ধোঁকাবাজি আপনাকে কখনোই হতে হবে না। কারণ আপনি প্রথমে যখন একটি প্রোডাক্ট করবেন তখনই এর সত্যতা যাচাই করে নিতে পারবেন।
এছাড়াও পন্য কোন সমস্যা থাকলে আপনি চাইলে সেটি পরিবর্তন করতে পারবেন।
আর উপরে উল্লেখিত সমস্ত বিষয়গুলি কমার্সের সুযোগ-সুবিধা গুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও আপনি ই-কমার্স সাইট ব্যবহার করে আরো নানামুখী সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।