লম্বা হওয়ার ইচ্ছা কার না আছে? তবে কিছু লিমিটেশন এর মধ্যে আমাদেরকে অবশ্যই থাকতে হয় এবং সেই অনুযায়ী আমাদের লম্বা হওয়ার বিষয়টি সামনের দিকে আগায়। লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম কি লম্বা হওয়ার কারন হতে পারে?
কিংবা লম্বা হওয়ার উপায় অথবা ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি কি লম্বা হতে পারবেন? সে সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম আসলেই কি কাজে দেয়?
দেখেন; লম্বা হওয়ার বিষয়টি অনেকগুলো ভিন্ন বিষয়াদির এর উপর নির্ভর করে। তার মধ্যে থেকে অন্যতম একটি হলো আপনার পরিবারের জেনেটিক অবস্থা।
অর্থাৎ আপনার পরিবারের ব্যক্তিবর্গরা যদি লম্বা হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি লম্বা হওয়ার সম্ভাবনায় এগিয়ে থাকেন। বিপরীত অংশে এর বিপরীত হতে পারে।
তবে আপনি যদি সঠিকভাবে খাবার গ্রহন করতে পারেন কিংবা সঠিক উপায়ে ব্যায়াম করার কাজ সম্পন্ন করতে পারেন, তাহলে আপনি পূর্বের তুলনায় কিছুটা লম্বা হতে পারেন।
লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম এর মাধ্যমে কি লম্বা হওয়া যায়?
আপনি যদি সঠিক সময়ে লম্বা হওয়ার উপায় জেনে লম্বা হওয়ার দিকে ধাবিত হতে পারেন, তাহলে সঠিক সময়ে আপনি প্রয়োজনের চেয়ে অধিক লম্বা হতে পারবেন।
অর্থাৎ এরকম বিষয় দেখতে পারবেন যে আপনার পরিবারের প্রায় অনেকেই আপনার তুলনায় খাটো। এবং আপনি সবাইকে ছাড়িয়ে তালগাছ হয়ে গেছেন।
মানুষের সাধারণ উচ্চতা বৃদ্ধি পায় ১৩ বছর থেকে ২১ বছরের মধ্যে। এই সময়সীমার মধ্যে যে কেউ তার নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছে যায়। তবে অনেকেই ২১ বছর পরেও নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।
অর্থাৎ খুব কম সময় লোকজন ২১ বছরের পরে তাদের নিজস্ব উচ্চতা বাড়িয়ে ফেলেছেন। তবে বেশিরভাগের উচ্চতা বৃদ্ধি পায় ১৩ বছর থেকে ২১ বছরের মধ্যে।
এই সময়সীমায় আপনি যদি সঠিক খাবার গ্রহণ করতে পারেন এবং সঠিকভাবে ব্যায়াম করতে পারেন, তাহলে আপনার উচ্চতা বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
লম্বা হওয়ার উপায় কি?
আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে লম্বা হওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। এরমধ্যে থেকে যে সমস্ত বিষয়গুলো সাইন্টিফিক ভাবে প্রমাণিত এবং যার মাধ্যমে সত্যিই লম্বা হওয়া যায়, সেগুলো সম্পর্কে তথ্য নিচে তুলে ধরা হবে।
লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয় প্রভাব ফেলতে পারে সেগুলো হলো:
- সুষম খাদ্য গ্রহণ না করা
- মানসিক চাপ।
- নেশাজাতীয় দ্রব্য।
- সঠিকভাবে ব্যায়াম না করা।
- পর্যাপ্ত পরিমানে না ঘুমানো ইত্যাদি।
আপনার ভেতরে যদি উপরে উল্লেখিত অভ্যাসগুলো থেকে থাকে; তাহলে এই সমস্ত বিষয় গুলো আপনার লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে।
সেজন্য আপনার উচিত হবে এই সমস্ত বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা এবং এগুলো কিভাবে এড়িয়ে চলবেন কিংবা এই বিষয়গুলো থেকে কিভাবে নিজেকে মুক্ত রাখবেন, সেই সম্পর্কে তথ্য নিচে থেকে জেনে নিন।
সুষম খাদ্য গ্রহণ করা
আপনি যদি নির্দিষ্ট পরিমাণে লম্বা হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার শরীরকে সঠিক পরিমাণে খাদ্য দিতে হবে।
অর্থাৎ আপনার শরীরের পুষ্টির চাহিদা যদি আপনি মেটাতে পারেন তাহলে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন এবং যখনই আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ অবস্থায় থাকবেন, তখন আপনার লম্বা হওয়ার চান্স বেড়ে যাবে।
সেজন্য, আপনাকে অবশ্যই সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। যে সমস্ত খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আপনার শরীরের যে সমস্ত পুষ্টির অভাব রয়েছে, সে সমস্ত পুষ্টির অভাব মিটিয়ে ফেলতে হবে। বিশেষ করে জিংক এর অভাব মেটাতে হবে।
যে সমস্ত খাবারে জিংক পাওয়া যায় সে সমস্ত খাবারের লিস্ট নিচে তুলে ধরা হলো:
- গরু এবং ভেড়ার মাংসে উচ্চ মানের জিঙ্ক পাওয়া যায়।
- আটা ময়দার রুটি
- দুগ্ধজাত সকল খাদ্য
- শীম জাতীয় উদ্ভিদ
- মসুর ডাল
- চীনাবাদাম
- মাশরুম
- সমূদ্রের মাঝ
- গরু এবং খাসির কলিজায়
এই সমস্ত খাবার নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারবেন এবং আপনি পূর্বের তুলনায় আরো বেশি লম্বা হতে পারবেন।
মানসিক চাপ
লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম একটি বাধা হলো তীব্র মানসিক চাপ। আপনি যদি মানসিক চাপের রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার লম্বা হওয়ার পথে এটি অন্যতম একটি বাধা হতে পারে।
সেজন্য আপনি যদি মনে করেন লম্বা হবেন এবং আপনি যদি মানসিক চাপ নিয়ে সারাক্ষণ বসে থাকেন তাহলে সেটা ভেঙ্গে ফেলুন। কারণ, মানসিক চাপ নিয়ে লম্বা হওয়া অনেক কঠিন।
সেজন্য আপনাকে অবশ্যই মানসিক চাপ হীন অবস্থায় থাকতে হবে। যে কোনও বিব্রতকর অবস্থায় মুখে হাসি এবং বুকে বল নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
নেশাজাতীয় দ্রব্য
নেশাজাতীয় দ্রব্য আমাদের শরীরের স্বাভাবিক বিকাশ ঘটাতে বাধা প্রদান করে। নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকমের ক্ষতিকর রোগ বাসা বাঁধে।
এই সমস্ত রোগ এমন তীব্র ভাবে আঘাত হানে, যাতে করে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক অবস্থা বিনষ্ট হয়ে যায়। একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির পক্ষে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লম্বা হওয়া প্রায় অসম্ভব।
সেজন্য আপনার যদি ধূমপান, মদ, গাঁজা, ইয়াবা সহ আরো যে সমস্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য রয়েছে সেগুলো গ্রহণ করা অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে সেগুলো পরিহার করুন।
সঠিকভাবে ব্যায়াম করা
লম্বা হওয়ার জন্য অন্যতম কাজের একটি মাধ্যম হলো ব্যায়াম করা। আপনি যদি লম্বা হওয়ার ব্যায়াম সফলভাবে করতে পারেন, তাহলে লম্বা হওয়ার কাজ আপনার জন্য আরো বেশি সহজ হয়ে যায়।
লম্বা হওয়ার ব্যায়াম হিসেবে যে সমস্ত ব্যায়াম বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে সমস্ত ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি স্বাভাবিকভাবে লম্বা হতে পারেন।
লম্বা হওয়ার ব্যায়াম এর মধ্যে যেগুলো সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং কার্যকরী সেগুলোর ছবি নিচে তুলে ধরা হলো।
এছাড়াও; আপনি যদি রুটিন অনুযায়ী লম্বা হওয়ার ব্যায়াম করতে চান, তাহলে গুগল প্লে স্টোরে এরকম অনেক সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি এই সংক্রান্ত তথ্য জেনে নিতে পারবেন।
অর্থাৎ এই সমস্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি লম্বা হওয়ার ব্যায়াম এর প্যাকেজ পেয়ে যাবেন এবং ফ্রিতে এই সমস্ত ব্যায়াম সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
এবং তারপরে তাদের দেয়া নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনে ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনার শরীরের বৃদ্ধি এবং বিকাশ ঘটাতে পারবেন।
আপনি জানলে অবাক হবেন যে, সঠিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য শারীরিক ব্যায়াম আপনার জন্য কতটা বন্ধুত্ব সুলভ হতেও পারে।
আপনি যদি যেকোনো একটি লম্বা হওয়ার সফটওয়্যারের রিভিউ সেকশনে যান, তাহলে সেই সম্পর্কিত প্রমান দেখতে পারেন।
যে সমস্ত সফটওয়্যারগুলো সফল এবং ব্যবহার উপযোগী সেই সমস্ত ফিটনেস সফটওয়্যার এর ভিতর প্রবেশ করলে, যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ এগুলো ব্যবহারে লম্বা হয়েছেন তাদের ফিডব্যাক দেখে নিজেকে উজ্জীবিত করতে পারেন।
তবে আপনি শুধুমাত্র সফটওয়ারের মাধ্যমে যে ব্যায়াম ভিডিও পাবেন সে রকম টা কিন্তু নয়। আপনি চাইলে ইউটিউবে সার্চ করার মাধ্যমে লম্বা হওয়ার ব্যায়াম সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানো
লম্বা হওয়ার জন্য অন্যতম একটি মাধ্যম হলো শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে সহায়তা করা। এবং সমস্ত রকমের রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করা।
একজন সুস্থ এবং স্বাভাবিক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৭/৮ ঘন্টা ঘুমানো আবশ্যক। স্বাভাবিকভাবেই আপনি যদি রাতে ঘুমান, তাহলে আপনার শরীরের প্রত্যেক ইন্দ্রিয় স্বাভাবিক থাকে।
এছাড়াও এতে করে আপনার শরীরে লম্বা হওয়ার যে সমস্ত হরমোন রয়েছে, সে সমস্ত হরমোন সফলভাবে তৈরি হয়। যাতে করে এগুলো আপনাকে লম্বা হওয়ার পথে সহায়তা করতে পারে।
সেজন্য, আপনাকে অবশ্যই স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতে হবে এবং সঠিক সময়ে বিছানায় যেতে হবে এবং সঠিক সময় বিছানা থেকে উঠতে হবে।