বর্তমান দুনিয়া অনেকটাই ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছে। বিশ্ববাসীরা তারা তাদের সমস্ত কাজগুলোকে ইন্টারনেটের সাথে মানিয়ে নিয়ে নিতে চায় ই-কমার্স ব্যবহারের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের ই-কমার্স এর ভবিষ্যত কি?
যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশে বর্তমানে অনেকটাই ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছে।পূর্বের মত এখন আর আপনি চাইলে ইন্টারনেট কে এড়িয়ে চলে আপনার জীবনের পরিপূর্ণ তৃপ্তি কখনোই পাবেন না।
আর এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে ই-কমার্স এর পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে তরুণ সমাজসহ যেকোনো ধরনের বয়সের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এদিকে খুব বেশি একটু নজর আরোপ করছে।
কারণ পূর্বে আপনি যে কোন প্রোডাক্ট কিংবা পণ্য কিনতে হলে আপনাকে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াতে হতো, এবং এর জন্য আপনাকে পণ্য ক্রয় করার পরেও এক্সট্রা অনেক টাকা পরিশোধ করতে হতো গাড়ি ভাড়ার বাবদ বা সময় বাবদ।
এছাড়াও আপনি যদি কোন প্রোডাক্ট কেনার জন্য অন্যত্র ঘুরে বেড়ানোকে বেছে নেন, তাহলে আপনার জন্য অনেকটাই সমস্যা কারন হয়ে যায়।
কারণ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
ই-কমার্স আসলে কি?
এক কথায় বলতে গেলে এটা বলতে হবে যে আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে যে কোনো রকমের পণ্য ক্রয় করে থাকেন তাহলে সেটিকে ই-কমার্স হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে।
অনলাইনের মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র একটি অর্ডার বুক করবেন এবং তার কিছুসময়ের মধ্যেই আপনার কাছে সেই অর্ডারটি চলে আসবে।
এছাড়াও আপনার প্রয়োজন অনুসারে আপনি চাইলে ইন্টারনেট থেকে যে কোন কিছু ক্রয় করতে পারবেন।
আর ইন্টারনেট থেকে এই সমস্ত জিনিস গুলো ক্রয় করবেন যে প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে সেটি হচ্ছে ই-কমার্স প্লাটফর্ম।
কেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বেচে নিবেন?
ব্যাপারটা এরকমই যে আপনি যদি দীর্ঘপথে যাত্রা করে আপনার পছন্দের পণ্যটি ক্রয় করতে চান, তাহলে এটা করে বাড়ি অব্দি ফিরে আসবেন তার নিশ্চয়তা দেয়া খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
তাছাড়া আপনি এত কষ্ট কেন করবেন? কেনইবা জ্যামে আটকে থাকবেন ঘণ্টার পর ঘন্টা? আপনার কাজ গুলোকে বর্তমান সময়ের বাংলাদেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অনেক সহজ করে দিয়েছে।
আপনি চাইলে ঘরে বসেই আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো খুব সহজেই করতে পারেন।আর এটি ই-কমার্স এর বিশেষ সুবিধার মধ্যে পড়ে।
ই-কমার্স বাংলাদেশের যাত্রা খুব বেশি দিনের না হলেও বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে যে কেউ মার্কেটে গিয়ে তাদের পণ্য ক্রয় করার চেয়ে অনলাইনের মাধ্যমে তাদের পণ্যগুলোকে ক্রয় করাকে বেশি মূল্যায়ন করছে।
এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের রয়েছে কয়েকটি জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেগুলো সহযোগিতায় আপনি চাইলে খুব সহজেই প্রোডাক্ট করতে পারেন।
বাংলাদেশে ই-কমার্স এর কয়েকটি সাইট
এবার আপনি যদি বাংলাদেশের জনপ্রিয় কয়েকটি কমার্স ওয়েবসাইটের লিস্ট নিয়ে নিতে চান তাহলে সেগুলোর লিস্ট নিচে থেকে নিতে পারেন।
- Daraz
- Rokomari
- Ajkerdeal
উপরে উল্লেখিত সাইটগুলো হল বাংলাদেশ ই কমার্স সাইটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সাইট গুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি।
এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশে ই-কমার্স সাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে এদেশের জনগণের ভোগান্তির পরিমাণ আগের চেয়ে অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে।
দেখা যাচ্ছে যে অনেকেই তাদের পছন্দের জিনিস ক্রয় করার জন্য লম্বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়না।
পূর্বে বাংলাদেশে ই-কমার্সের ব্যবহার
পুর্বে বাংলাদেশে এর ব্যবহার তেমন একটি পরিলক্ষিত হয়নি। পূর্বের সময়ে বাংলাদেশের মানুষেরা এটাকে অনেকটা ভুয়া মনে করত।
অর্থাৎ তারা কোনমতেই এটা কি বিশ্বাস করতে পারত না যে এর মাধ্যমে তারা ঘরে বসেই তাদের পণ্য গুলো পেয়ে যাবে।
তারা এটা মনে করত যে যদি তারা এখানে কোন টাকা পয়সা দিয়ে দেয়, তাহলে ওই ভুক্তভোগীরা টাকাগুলো আত্মসাৎ করে খাবে। তাই পূর্বের সময়ে বাংলাদেশে ই-কমার্স তেমন একটি ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়নি।
বর্তমান সময়ে এই কমার্স বাংলাদেশের ব্যবহার
বর্তমান সময়ে, ই কমার্স বাংলাদেশ নানাবিধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও এই সময়টাতে যখন পুরো বিশ্ব করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, তখন যে কেউ ঘরের বাইরে না গিয়ে তাদের ঘরের ভিতরে বসে তাদের পণ্যগুলোকে হাতের নাগালে পেয়ে গিয়েছিল।
শুধু বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করলে ভুল হবে, বেশ কিছু বছর ধরে বাংলাদেশের নানাবিধ ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। তা দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ অনেকেই এটাকে বিশ্বাসের সাথে দেখছেন এবং এর সঠিক ব্যবহার করছেন।
আশা করা যায় দিন দিন ই কমার্স বাংলাদেশের খুব বেশি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এদেশের জনগণের এটি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হবে।