ফেসবুক ফটো ভেরিফিকেশন ভিপিএন খোজার একটি অন্যতম কারন হলো, ফেসবুকে অনেক রকমের সিকিউরিটি জনিত ভেরিফিকেশন সমস্যার মধ্যে একটি হল ফটো ভেরিফিকেশন।
যখন এই সমস্যাটি আপনার ফেসবুক আইডিতে দেখা দিবে তখন আপনি ইচ্ছা করলেই এটি এড়িয়ে লগইন করতে পারবেন না।
এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে তাদের সিকিউরিটি কোয়েশ্চেনের জবাব দিতে হবে।
আর যখনই আপনি তাদের সিকিউরিটি প্রশ্নের জবাব যথাযথভাবে দিতে পারবেন, তখনই আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
অন্যথায় আপনার ফেসবুক আইডি ফটো ভেরিফিকেশন অ্যাক্টিভিটির মধ্যে সারা জীবন বন্দী হয়ে থাকবে।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
ফেসবুক ফটো ভেরিফিকেশন এর প্রভাব কি?
যদি খুব বেশি দিন ধরে যদি আপনার ফেসবুক আইডি এই ফেসবুক ফটো ভেরিফিকেশন সমস্যার জর্জরিত থাকে, তাহলে একসময় দেখা যাবে যে ফেসবুকে স্টরেজ থেকে আপনার আইডি মুছে যাবে।
ফেসবুক ফটো ভেরিফিকেশন ভিপিএন কেন দরকার?
যখনই আপনার ফেসবুক আইডিতে ফটো ভেরিফিকেশন নামক সমস্যাটি দেখা দেয় তখন আপনাকে আপনার ছবি আপলোড দিতে হয়।
এক্ষেত্রে আপনি যখন একটি ক্লিয়ার ছবি আপলোড দেয়ার পরে চাইলেই কিন্তু আপনি লগইন করতে পারেন না।
এক্ষেত্রে যখন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার অ্যাকাউন্ট রিভিউ করবে তখন আপনার ছবিটি যদি তাদের পলিসি মান্য করে, তাহলে আপনি কয়েক দিনের মধ্যে একটি নোটিশ পেয়ে যাবেন।
আর এটা কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কিছু সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে যে সময় মধ্যে আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন করতে পারবেন না।
যখন সময় শেষ হয়ে যাবে তখন তারা আপনার ফেসবুক আইডি রিভিউ করবে এবং একটি রিপোর্ট দিয়ে দিবে যে আপনি আদৌ ফেসবুক আইডিতে লগিন করতে পারবেন কিনা?
তবে এটা সত্য যে আপনি যদি এরকম ১০০ টি ফেসবুক আইডি রিভিউতে পাঠান, তাহলে খুব বেশি সংখ্যক হলে পাঁচটি কিংবা দশটি ফেসবুক আইডি ফেরত আসবে।
কিন্তু আপনি যদি ফেসবুক ফটো ভেরিফিকেশন বাইপাস করার জন্য ভিপিএন ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে কিন্তু আপনি শতভাগ নিশ্চয়তা নিয়ে আপনার ফেসবুক আইডি ফেরত আনতে পারবেন।
তবে অনেকেই আছেন ফটোভেরিফিকেশন বাইপাস করার জন্য কোন ধরনের ভিপিএন গুলো সবচেয়ে বেশি কার্যকরী এ বিষয়ে ধারণা খুবই কম।
এখানে ভিপিএন বলতে আপনি যদি অন্য কোন ভিপিএন এ কোন একটি প্রক্সি কানেক্ট করেন, এবং ওই একি proxy যদি আপনি আরেকটি ভিপিএন কানেক্ট করেন, তাহলে কিন্তু একই রকম কাজ করবে।
তাহলে কেন আপনাকে ভিন্ন ধরনের ভিপিএন সিলেক্ট করতে হবে ফটো ভেরিফিকেশন এর জন্য?
ভিপিএন গুলোর কাজ একই রকমের থাকলেও, এখানে একটি ভিন্ন বিষয় হলো ভিপিএন এর ব্যবহার করা প্রক্সি কতটা স্ট্রং বা দুর্বল এটার উপর।
আর এই বিষয়টা বিবেচনা করে আপনাকে এরকম কোন স্ট্রং ভিপিএন ব্যবহার করতে হয় ফেসবুকের ফটো ভেরিফিকেশন বাইপাস করার জন্য।
তাহলে এই পোষ্টটির মাধ্যমে জেনে নিন কোন ভিপিএন গুলো ফেসবুক ফটো ভেরিফিকেশন এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
ফেসবুক ফটো ভেরিফিকেশন ভিপিএন ডাউনলোড
আপনি চাইলে নিচে দেয়া প্রত্যেকটি ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন ফেসবুক ফটো ভেরিফিকেশন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
ভিপিএন গুলো ডাউনলোড করা হয়ে গেলে আপনার যে আইডিতে ফটোভেরিফিকেশন সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিয়েছে, ওই আইডিতে লগইন করার চেষ্টা করুন।
তবে এই ভিপিএন গুলোর মধ্যে অনেকগুলো ফ্রী প্রক্সি থাকতে পারে। যে প্রোগ্রামগুলো কাজ করে সেই প্রোগ্রামগুলোকে ক্রমান্বয়ে ব্যবহার করতে হবে।
যেমন প্রথমে যদি আপনি আমেরিকার প্রক্সি কানেক্ট করেন এবং দেখতে পারেন এটি কাজ না করে তাহলে আপনি এটাকে পরিবর্তন করে অন্য আরেকটি দেশের লোকেশনে কানেক্ট করে দিতে পারেন।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে আপনি পূর্বে যে দেশের প্রক্সি কানেক্ট করে আপনার ফেসবুক আইডি ফটো ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন, এর পরবর্তীতে এটি কাজ নাও করতে পারে।
এক্ষেত্রে আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন দেশের প্রক্সি ব্যবহার করতে হবে। এবং ফটো ভেরিফিকেশন সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করতে হবে।
তবে ফেইসবুক ফটো ভেরিফিকেশন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় প্রকৃতি হল ইউনাইটেড স্টেটস এবং সিঙ্গাপুর।
আপনি চাইলে এই দুইটি প্রক্সির মধ্যে থেকে যে কোন একটি প্রক্সিতে কানেক্ট করে দেখতে পারেন কোনটি আপনার কাজে আসে।