আপনার গ্রহণকৃত খাবার যদি সঠিকভাবে হজম না হয়, তাহলে বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেজন্য হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জেনে নেয়ার দরকার আছে।
হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আপনি যদি জেনে নেন, তাহলে কোন কোন পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার হজম শক্তির পূর্বের চেয়ে বৃদ্ধি পাবে, সেই সম্পর্কে আপনি অবগত থাকতে পারবেন।
এছাড়াও এ সম্পর্কে যদি আপনি অবগত হয়ে যান, তাহলে বিভিন্ন রকমের শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং সুস্থ জীবন গড়তে পারবেন।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
হজম শক্তি বাড়ানোর উপায় কি?
আপনি চাইলে বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারেন বা খাবার সহজে হজম করতে পারেন।
কি সেই সমস্ত উপায়? যে সমস্ত উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারবেন, সেই সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া
আপনি যখনই কোনো রকমের খাবার গ্রহণ করবেন, তখন খাবার খেয়ে ভালোভাবে চিবিয়ে খাবেন। এতে করে খাবারের হজম হওয়ার শক্তি আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।
খাবারের সঙ্গে লেবুর ব্যবহার
আপনি যখন কোনো রকমের খাবার গ্রহণ করবেন, তখন আপনি যদি এই খাবারের সঙ্গে লেবুর মিশ্রন করেন তাহলে সেটি খাবার হজম করতে বৃদ্ধি করবে।
অর্থাৎ যে কোন খাবারের সঙ্গে লেবুর ব্যবহারে আপনার খাবার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
দুধের বিকল্প হিসেবে দই
এছাড়াও আপনি যদি দুধ খেতে খুবই পছন্দ করে থাকেন, তাহলে সেই দুধের বিকল্প হিসেবে দই পছন্দ করতে পারেন। কারণ দই খুব সহজে পরিপাক হয়ে যায়।
এছাড়াও এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
সঠিক মাত্রায় পানি পান করা
আপনি যদি সঠিকভাবে পানি পান না করেন, তাহলে কোনো খাবারই হজম হবে না। সুতরাং, আপনি যদি খাবারের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে চান, তাহলে অবশ্যই বেশি পরিমাণে পানি খাবেন।
এই পরিমাণটি হতে পারে, প্রতিদিন সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১২ গ্লাস। তবে আপনি যদি এর চেয়ে বেশি খেতে পারেন, তাহলে সেটি আরও বেশি ভালো হবে।
রাতের খাবার তাড়াতাড়ি গ্রহণ করা
অনেকেই রাতের খাবার গ্রহণ করতে বেশি দেরি করে থাকেন এবং আপনি যদি খুব বেশি পরিমাণে দেরি করে রাতের খাবার খান, তাহলে সেটি আপনার হজমের ব্যাঘাত ঘটাবে।
এছাড়াও রাতের খাবার দেরি করে খেলে আপনি বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যার মধ্যে পড়বেন৷
সেজন্য সব সময় চেষ্টা করবেন, রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলা। সেটি হতে পারে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯ টার মধ্যে।
মানসিক চাপ এড়িয়ে চলা
আপনার পরিপাক ক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন না হওয়ার আরেকটি কারণ হলো মানসিক চাপ। আপনি যদি সব রকমের মানসিক চাপ এড়িয়ে চলতে পারেন, তাহলে আপনার পরিপাক ক্রিয়া আরো বেশি সচেষ্ট থাকবে।
সেজন্য, সব সময় চেষ্টা করবেন মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার এবং সব সময় হাসি খুশি থাকার।
ধুমপান থেকে বিরত থাকা
আপনার যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে থাকে, তাহলে সর্বদা চেষ্টা করবেন ধূমপান থেকে বিরত থাকার। ধূমপান আপনার শারীরিক, মানসিক সব রকমের ক্ষতি সাধন করে।
এছাড়াও আপনি যদি এটা চান যে আপনার হজম ক্রিয়ার সঠিকভাবে সম্পন্ন হতে, তাহলে অবশ্যই ধূমপান থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
আপনি যদি ধূমপান থেকে বিরত থাকতে পারেন, তাহলে আপনার হজমক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে এবং খাবার সঠিক ভাবে পরিপাক হবে।
ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করা
এছাড়াও, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার এবং ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করলে খাবার সঠিকভাবে পরিমাণ হবে।
সর্বদা এটা চেষ্টা করবেন, অতিরিক্ত তেল, ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলার।
নিয়মিত ব্যায়াম করা
এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে সেটি আপনাকে শারীরিকভাবে ফিট থাকতে সহায়তা করবে।
এক্ষেত্রে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে পারেন। এবং হজমশক্তিও বৃদ্ধি করার জন্য আপনি চাইলে ছোটখাটো কায়িক শ্রম করতে পারেন।
ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে আপনি যদি ব্যায়ামের পাশাপাশি শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করেন, তাহলে সেটি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে আরো বেশি সহায়তা করবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করার আরও কয়েকটি টিপস
যে সমস্ত খাবার গুলো খুব সহজেই হজম হয় এবং যে সমস্ত খাবারগুলো হজম হতে শরীরকে সেরকম কোনো কসরত করতে হয় না, সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
এছাড়াও খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করবেন এবং পরিমিত পরিমাণ কিংবা তার চেয়ে বেশি পানি পান করবেন।
মোট কথা হল, আপনি যদি বেশি পরিমাণে পানি পান করেন, শারীরিক ব্যায়াম করেন, এছাড়াও যে সমস্ত খাবার সহজে পরিপাক হয় সে সমস্ত খাবার গ্রহণ করেন তাহলে খাবার পরিপাকের কাজ আরো বেশি সহজ হয়ে ওঠে।
হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আশাকরি, আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে।
আরো জানুনঃ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার নিয়ম