ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি? ইমু হ্যাক হলে করনীয় কি?

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে যেকোনো কিছু হ্যাক হয়ে যাওয়া যেন একটা শিল্পে পরিণত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আমাদের জানার প্রয়োজন রয়েছে।

কোন কারণে আপনার ইমু অ্যাকাউন্ট যদি হ্যাক রিলেটেড সমস্যার মধ্যে পড়ে, তাহলে আপনি বিরাট রকমের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন,  এছাড়াও মানসিক সমস্যা তো থাকবেই।

এজন্য পূর্বে থেকে আপনি যদি ইমু হ্যাক হওয়া রুখে দিতে পারেন, তাহলে এই রিলেটেড বিভিন্ন রকমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে, কেন ইমু হ্যাক হয়? এবং ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।

ইমু কেন হ্যাক হয়?

ইমু হ্যাক হওয়ার একটি কারণ হলো,  ইমু ব্যবহারকারীগণ অসাবধানতা।

অর্থাৎ আপনি যদি অসাবধান ভাবে ইমু অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় পড়তে পারে।

এক্ষেত্রে আপনাকে ইমু একাউন্টে সিকিউরিটি সহায়তা প্রদান করতে হবে অর্থাৎ ইমো একাউন্ট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের রুলস মেনে চলতে হবে।

এছাড়াও আপনার একাউন্টে সিকিউরিটি দেয়ার মাধ্যমে আপনি একাউন্ট কে শক্ত করে তুলতে পারবেন, এবং একাউন্টে যখন শক্ত সিকিউরিটি দিতে পারবেন তখন আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া থেকে রুখে দিতে পারবেন।

ইমু একাউন্ট হ্যাক হলে কি ক্ষতি হতে পারে?

যখনই আপনার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস অন্যের কাছে চলে যাবে, তখন ওই রকমের কারণে আপনি কতটা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন সেটা আপনার চেয়ে ভালো আর কেউ বুঝবে না।

অর্থাৎ যে কেউ তার৷ইমো একাউন্ট হারিয়ে কতটা ক্ষতির সম্মুখীন হল, সেটা ওই ব্যক্তির গুরুত্বের উপর নির্ভর করবে।

এখন, আপনি যদি ইমু সফটওয়্যার এর মাধ্যমে একাউন্ট ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তাহলে এই অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার পরে আপনি কতটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, সেটা আর বলার বাকি নেই।

তবে, যে কারো গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে যে ক্ষতি হবেই, সেটা নিশ্চিত। হোক সেটা মানসিক ক্ষতি কিংবা নিজের আর্থিক ক্ষতি।

তবে, কেউ যদি আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নেয় তাহলে সেই ব্যক্তি আপনার কি কি জিনিসপত্র এক্সেস নিতে পারবে? সেই সম্পর্কে আলোকপাত করা যায়।

  • আপনার কন্টাক্ট ডিটেইলস।
  • যে কাউকে অবিরাম মেসেজ করা অধিকার।
    অ্যাকাউন্ট সমস্ত কন্ট্রোল করা।
  • মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আপনার নামে বদনাম করা।
  • বিভিন্ন রকমের গুজব ছড়িয়ে আপনাকে জটিলতার মধ্যে ফেলা।
  • আপনার পরিচয়ে টাকা আত্মসাৎ করা কিংবা প্রতারণা করা।
  • আপনার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে কে মেসেজ করা কিংবা মেসেজের রিপ্লাই দেয়া ইত্যাদি।

আপনার অ্যাকাউন্ট যদি কোন ভাবে হ্যাক হয়ে যায় কিংবা এই রিলেটেড সমস্যার মধ্যে পড়ে, তাহলে উপরে উল্লেখিত মেজর সমস্যাগুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি?

আপনার ইমো একাউন্ট হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখার অনেকগুলো উপায় রয়েছে এবং সেই সমস্ত উপায় গুলো কি কি? সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

অর্থাৎ, আপনার একাউন্ট কে যদি আপনি পুরোপুরি সিকিউর করতে চান, যাতে করে যে কোনো রকমের হ্যাকার আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নিতে না পারে, তাহলে আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

  • প্রথমত কোন অপরিচিত ব্যাক্তিকে আপনার একাউন্টে এড করবেন না।
  • সন্দেহজনক কোন ব্যক্তিকে দেখলে সেই ব্যক্তিকে ইগনোর করার চেষ্টা করবেন।
  • ভুলেও আপনার ফোনের মধ্যে আসা ওটিপি কোড কারো সাথে শেয়ার করবেন না।
  • পূর্বের ওটিপি কোড ব্যবহার করার পরে, সেটি ডিলিট করে দিন। অর্থাৎ মেসেজটি ডিলিট করে দিন।
  • একাউন্ট এর মধ্যে কোন অযাচিত ব্যক্তির মেসেজ দেখলে সে ইগনোর করুন।
  • কোন রকমের উল্টাপাল্টা গ্রুপে জয়েন হবেন না।১৮+ গ্রুপে তো অবশ্যই না।
  • যে কোনো রকমের পার্সোনাল ডাটা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকবেন।
  • সব সময় আপনার অ্যাকাউন্টের দিকে নজরদারি করবেন।

উপরে যে কয়েকটি স্টেপ এর কথা মেনশন করা হয়েছে, সেগুলো যদি আপনার নজরদারিতে রাখেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

এই সমস্ত পদক্ষেপ অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার একাউন্টকে সুরক্ষা দিতে পারবেন। এবং অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়া থেকে রুখে দিতে পারবেন।

ইমু অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে কি করবেন?

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যদি আপনার ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায় তাহলে পরবর্তী স্টেপগুলো কি হতে পারে?

অর্থাৎ, অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ার পরে অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং রিলেটেড যে ক্ষতিকর দিক রয়েছে, সেগুলো থেকে বেঁচে কিভাবে ফিরবেন?

কোন কারনে যদি আপনার ইমু অ্যাকাউন্ট হ্যাক রিলেটেড সমস্যার মধ্যে পড়ে কিংবা হ্যাকারের হাতে পুরোপুরি একাউন্টের এক্সেস চলে যায়, তাহলে এর পরবর্তী স্টেপ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

প্রথমত আপনার ইমু একাউন্টে লগইন করুন। একাউন্টে লগইন করে নেয়ার পরে প্রোফাইল পিকচারের ওপরে ক্লিক করুন।

যখনই আপনার প্রোফাইলের উপরে ক্লিক করে দিবেন, তখন এখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পারবেন।

এবার এই অপশনগুলো থেকে Setting অপশনের উপরে ক্লিক করুন।

ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি? ইমু হ্যাক হলে করনীয় কি?

এবার Account অপশন এর উপরে ক্লিক করার পরে Account and Security অপশনের উপরে ক্লিক করে দিন।

ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি? ইমু হ্যাক হলে করনীয় কি?

একাউন্ট এবং সিকিউরিটি এই অপশনটির উপরে ক্লিক করার পরবর্তী হিসেবে Manage Account অপশন এর উপরে ক্লিক করুন।

এবং যখন আপনি এই অপশনটির উপরে ক্লিক করে দিবেন, তখন আপনি এখানে লগইন কৃত সমস্ত ডিভাইস দেখতে পারবেন।

ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি? ইমু হ্যাক হলে করনীয় কি?

এবার এই সমস্ত ডিভাইস থেকে যে ডিভাইসটির আপনার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়, সেই ডিভাইস এর উপরে ক্লিক করুন এবং সেটি রিমুভ করে দিন।

আপনি যদি সন্দেহজনক ডিভাইস টি রিমুভ করে দেন, তাহলে ওই ব্যক্তি একাউন্টে লগিনকৃত অবস্থায় থাকলে লগ আউট হয়ে যাবে।

তবে, এক্ষেত্রে আপনার একাউন্টে কিছু জটিলতা থেকে যেতে পারে। সেজন্য এই সমস্ত জটিলতা এড়ানোর জন্য আপনার ইমু অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করে নিন এবং তারপরে ইমো একাউন্ট ডিলেট করে দিন।

যখনই একাউন্ট ডিলিট করার কাজ সম্পন্ন করে নিবেন, তখন পুনরায় আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে ইমু একাউন্ট তৈরী করে নিন।

তাহলে আপনার একাউন্ট পুরোপুরি সিকিউরিটি নিশ্চয়তা পাবে।

ইমু সিকিউরিটি নিয়ে কিছু কথা

দীর্ঘ এক্সপেরিমেন্ট এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর দিকে লক্ষ্য রেখে এটা বলা যায় যে বর্তমান সময়ে যতগুলো সোসিয়াল গণমাধ্যম রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে থেকে সিকিউরিটি রিলেটেড জটিলতায় সবচেয়ে বেশি ইমু ব্যবহারকারীরা ভোগে।

কারণ, যে সমস্ত সোসিয়াল গণমাধ্যম রয়েছে সেগুলোর মধ্যে থেকে সবচেয়ে দুর্বল সিকিউরিটি ইমু একাউন্ট এ বিদ্যমান।

আপনি যদি ইমু ব্যবহার করেন তাহলে দেখতে পারবেন, অযাচিত কন্টাক্ট আপনার একাউন্টে এড হয়ে যাবে এবং আপনি যাদেরকে চিনেন না সে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ আপনাকে মেসেজ দেয়া শুরু করবে।

যা ইমু ব্যবহারকারীর জন্য একটি বিরূপ প্রভাব।

যেহেতু, ইমু একাউন্ট এর সবচেয়ে দুর্বল সিকিউরিটি বিদ্যমান রয়েছে, সেজন্য, আপনার ইমু অ্যাকাউন্ট হ্যাক রিলেটেড সমস্যার মধ্যে পড়া খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যপার।

তবে, আপনি যদি উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখেন এবং যে কোনো রকমের ইলিগয়াল অ্যাক্টিভিতিজ থেকে নিজেকে সংযত রাখতে পারেন, তাহলে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া থেকে বেচে থাকা সম্ভব।

তবে, আমরা সর্বাপেক্ষা এই আশা করি যে, ইমু একাউন্ট পূর্বের চেয়ে আরো বেশী সিকিউরিটি নিশ্চয়তা পাবে এবং ইমু এর যে সফল ডেভলপার টিম রয়েছে, তারা এটি আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে।

কারণ, তারা যদি ব্যবহারকারী পুরোপুরি সিকিউরিটি নিশ্চয়তা না দিতে পারেন, তাহলে ব্যবহারকারী এই অ্যাপটি ব্যবহার করা থেকে অনেকেই দূরে সরে যাবে।

ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি এবং ইমো একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় কি? সেই সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top