মাস্টারকার্ড কি? মাস্টারকার্ড তৈরী করার উপায়

আমাদের মধ্যে যে বা যারা ইন্টার্নেশনালি লেনদেন করতে চান, তাদের কাছে মাস্টারকার্ড একটি পরিচিত নাম। মাস্টারকার্ড তৈরী করে আপনি এই কার্ড দ্বারা ইন্টারন্যাশনাল লেনদেন করতে পারবেন।

কিভাবে মাস্টারকার্ড তৈরী করতে হয় এবং এই রিলেটেড বিস্তারিত তথ্য আজকের এই আর্টিকেল আলোচনা করা হবে।

অর্থাৎ আপনি যদি মাস্টার কার্ড নিয়ে নিতে চান এবং মাস্টার কার্ড তৈরি করে নিতে চান, তাহলে এই মাস্টারকার্ড তৈরী করা থেকে নিয়ে এটি ব্যবহার করা অবধি যে সমস্ত বিষয়াদি আপনাকে জানতে হবে সেই সম্পর্কে এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারবেন।

মাস্টারকার্ড আসলে কি?

সহজ কথায় এবং এক কথায় এর উত্তর দিতে গেলে এটা বলতে হবে যে, মাস্টার কার্ড হল একটি ইন্টার্নেশনাল পেমেন্ট সিস্টেম।

যার মাধ্যমে আপনি দেশ-বিদেশে টাকা লেনদেন করতে পারেন।

মাস্টার কার্ডের মধ্যে যদি বিভিন্ন কারেন্সি সাপোর্ট থেকে থাকে, তাহলে এই কারেন্সি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি যেকোন দেশের অভ্যন্তরে আপনার মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করতে পারবেন।

মাস্টারকার্ড কিভাবে পাবেন?

মাস্টার কার্ড সম্পর্কে ছোট একটি তথ্য জেনে নেয়ার পরে এবার আমাদের মনের মধ্যে একটি প্রশ্ন জাগে, আর সেটি হল মাস্টারকার্ড আসলে কিভাবে পাব?

মাস্টার কার্ড কিভাবে পাবো? কিংবা মাস্টারকার্ড পাওয়ার উপায় কি? এই সম্পর্কে জানার পূর্বে আপনাকে এই সম্পর্কে জেনে নিতে হবে, মাস্টার কার্ড আপনি কি কি উপায়ে কালেক্ট করে নিতে পারবেন?

এর মানে হলো, আপনি চাইলে মাস্টারকার্ড ভিন্ন দুটি উপায়ে কালেক্ট করে নিতে পারবেন এবং এই মাস্টার কার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন।

আর সেই উপায় দুইটি হলঃ

  • ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড কালেক্ট করা।
  • ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড।

আপনি যদি মাস্টার কার্ড ব্যবহার করতে চান , তাহলে উপরে উল্লেখিত দুইটি উপায়ের মধ্যে থেকে যে কোন একটি উপায় কিংবা ২ টি উপায়ে মাস্টারকার্ড কালেক্ট করে নিতে পারবেন।

এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক উপরে উল্লেখিত ২ টি উপায়ে ব্যবহার করে কিভাবে আপনি খুব সহজে মাস্টারকার্ড কালেক্ট করে নিতে পারবেন।

ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড কালেক্ট

আপনার যদি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে এবং আপনি যদি পুরোপুরি সুবিধার সাথে মাস্টার কার্ড ব্যবহার করতে চান, তাহলে ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড কালেক্ট করতে পারেন।

ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড কালেক্ট করার মাধ্যমে আপনি চাইলে যে কোন লেনদেন মাস্টার কার্ড এবং ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন।

অর্থাৎ আপনি যদি কোনো একটি ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড কালেক্ট করে নেন, তাহলে সেই ব্যাংকে ওই মাস্টার কার্ড থেকে টাকা উইথড্র করতে পারবেন।

Also Read:  টিকা কার্ড ডাউনলোড | করোনা ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড

এছাড়াও আপনি চাইলে ব্যাংকে সরাসরি ডিপোজিট করার মাধ্যমে আপনার মাস্টার কার্ডে টাকা ডিপোজিট করতে পারবেন এবং সেই টাকা আপনার প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড কালেক্ট করার অনেকগুলো ভালো গুণাবলী এবং এরকম অনেক গুণাবলী রয়েছে যে সমস্ত গুণাবলী আপনার বিপরীতে অবস্থান করতে পারে।

আপনার বিপরীতে অবস্থান করবে, এ সমস্ত বিষয়গুলোর মধ্যে থেকে একটি হলো, ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড কিংবা মাস্টার কার্ড সংগ্রহ করার একটি বড় অসুবিধা হলো আপনার টাকার অপচয়।

আপনি যখন ব্যাংক থেকে একটি কার্ড সংগ্রহ করবেন, তখন আপনার নেয়া ওই কার্ডের বদৌলতে অনেক বেশি চার্জ গুনতে হবে।

আপনি ওই কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করেন কিংবা না, ওই কার্ডের একটি এক্সট্রা চার্জ আপনাকে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। যা আপনার অর্থের অপচয় বাড়াবে।

ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড নেওয়ার সবচেয়ে ভালো একটি কারণ হলো, আপনি যদি ওই মাস্টার কার্ডে কোন টাকা নিয়ে আসেন, তাহলে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকাগুলো উইথড্র করতে পারবেন।

এছাড়াও ডিপোজিট করার ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

আরেকটি বিষয় বলে রাখা ভাল আর সেটি হল, ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড কালেক্ট করলে ওই মাস্টার কার্ডের মধ্যে বিভিন্ন রকমের অফার থাকতে পারে।

যে সমস্ত অফার আপনি লুফে নিতে পারবেন।

এরকম অনেক মাস্টারকার্ড রয়েছে যে সমস্ত মাস্টারকার্ডে বিভিন্ন রকমের ডিসকাউন্ট অফার থাকে,যে সমস্ত ডিসকাউন্ট অফার মাস্টার কার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে লুফে নিতে পারেন।

ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড নেওয়ার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। তাহলে জেনে নেয়া যাক সে কি সেই সমস্ত পদক্ষেপ।

একাউন্ট তৈরীর ইনফর্মেশন

  • এক্ষেত্রে অবশ্যই যেকোনো একটি ব্যাংকের অধীনে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
  • অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে আপনি যদি মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি এর প্রয়োজন হবে।
  • এছাড়াও আপনার ইনকাম সোর্স সম্পর্কে তাদেরকে অবগত করতে হবে। যাতে করে তারা সহজেই আপনাকে ব্যাংক একাউন্ট থেকে কার্ড দিয়ে দিতে পারে।
  • কার্ড নেওয়ার জন্য আপনার e-tin সার্টিফিকেট কিংবা স্যালারি স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হতে পারে।

যদি আপনার ইনকামের অবস্থা খুব বেশি ভালো থাকে, তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন রকমের মাস্টার কার্ড ব্যাংক থেকে কালেক্ট করে নিতে পারেন।

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড

আপনি যদি ক্ষণিকের জন্য অর্থাৎ যেকোন রকমের কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য খুব বেশি রকমের চার্জ দেয়া ছাড়া, একটি মাস্টার কার্ড কালেক্ট করে নিতে চান, তাহলে ভার্চুয়াল মাস্টারকার্ড কালেক্ট করতে পারেন।

বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইট ভার্চুয়াল মাস্টারকার্ডের সেবা দিয়ে থাকে। যে সমস্ত ওয়েবসাইট থেকে আপনি এই সমস্ত মাস্টারকার্ড ক্রয় করে নিতে পারেন।

ক্রয় করার ক্ষেত্রে ওই মাস্টার কার্ডে আপনার প্রয়োজন মত কিছু ডলার লোড করা থাকবে, সেই ডলার ক্রয় করে নিতে হবে এবং মাস্টার কার্ডের জন্য হালকা কিছু টাকা পেমেন্ট করতে হবে।

এসমস্ত মাস্টার কার্ড গুলো ওয়ান টাইম পেমেন্ট এর জন্য ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে আপনি ওয়ানটাইম পেমেন্ট করতে পারবেন এবং আপনার কার্যসিদ্ধি করতে পারবেন।

যে কোনো রকমের ওয়ানটাইম পেমেন্টের ক্ষেত্রে আপনি চাইলে এই সমস্ত ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন এবং এই সমস্ত ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে ওয়ানটাইম কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।

তবে ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড নেওয়ার জন্য আপনি চাইলে আরো বিভিন্ন রকমের পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি যদি লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখতে পারবেন, ফেসবুকে কিংবা বিভিন্ন রকমের সোসিয়াল গণমাধ্যমে এরকম অনেক একটিভ করা পেইজ রয়েছে সে সমস্ত পেইজ ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড বিক্রি করে থাকে।

এসমস্ত মাস্টারকার্ডও আপনি ব্যবহার করতে পারবেন এবং এ সমস্ত মাস্টারকার্ডে আপনি ডলার লোড করার মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।

আমার নিজস্ব কিছু অভিমত

আপনি যদি মাস্টার কার্ড তৈরি করতে চান, কিংবা মাস্টার কার্ড ব্যবহার করতে চান, তাহলে এই নিয়ে আমার নিজস্ব কিছু অভিমত রয়েছে।

সমস্ত অভিমত আপনি চাইলে আমলে নিতে পারেন কিংবা স্কিপ করে যেতে পারেন।

আমার অভিমত গুলোর মধ্যে থেকে একটি হলো, আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদি মাস্টার কার্ড ব্যবহার করতে চান এবং দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চান, তাহলে আপনি ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড কালেক্ট করে নিতে পারেন।

এতে করে আপনি দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন এবং বিভিন্ন রকমের দীর্ঘমেয়াদি লেনদেন করতে পারবেন।

আপনার যেকোন রকমের শর্টকাট কাজ সম্পন্ন করার জন্য কিংবা যে কোনো রকমের ছোটখাটো কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য আপনি চাইলে ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড ব্যবহার করার জন্য আপনাকে সেরকম কোন চার্জ প্রদান করতে হয় না। সেজন্য কোনো রকমের অর্থের অপচয় ছাড়া আপনি এই কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড কিভাবে পেতে হয় কিংবা মাস্টারকার্ড তৈরী রিলেটেড বিস্তারিত তথ্য এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top