আমাদের মধ্যে এরকম অনেকে আছেন যারা সবেমাত্র নতুন ভোটার লিস্টের নাম উঠিয়েছেন এবং তাদের কাছে এখন অব্দি ভোটার আইডি কার্ড পৌঁছায়নি। তারা অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন এই পোস্টের মাধ্যমে।
আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন এবং আপনার কাছে যদি ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া শুধুমাত্র একটি স্লিপ দেয়া থাকে, যা আপনি ইউনিয়ন পরিষদের থেকে পেয়েছিলেন।
তাহলে আপনি এই স্লিপের মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন ; এটা জানতে হলে এই পোস্টটি কন্টিনিউ করতে থাকুন।
ভোটার আইডি কার্ড আপনার কাছে নিয়ে আসতে হলে আপনাকে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, এবং তারপরে এই অনুযায়ী কাজ করে একটি ফটো টাইপের এনআইডি কার্ড আপনার কাছে নিয়ে আসতে পারবেন।
এরপর আপনি চাইলে এটিকে কম্পিউটারের মাধ্যমে ছাপা করে আপনার নিজের কাছে রেখে দিতে পারবেন, কারণ এটি অরিজিনাল টাইপের আইডি কার্ড হবে।
অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন
আপনার ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে নিচের দেয়া লিঙ্কে ভিজিট করতে হবে এবং তারপরে তাদের ফেসবুক পেইজে একটি মেসেজ দিতে হবে।
হ্যালো স্যার, আমার ভোটার ফরম নম্বরঃ——– জন্মতারিখঃ——– নিজ নাম:——— বাবার নাম:——– মাতার নাম:—— জন্ম নিবন্ধন নম্বর:——- মোবাইল নম্বর——- আমার এন.আই.ডি নম্বরটি প্রয়োজন।
আপনি যখনই এটি সেন্ট করে দিবেন দিবেন আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে আপনি কিছু সময় কিংবা একদিনের মধ্যেই তাদের একটি রিপ্লাই পেয়ে যাবেন এবং ওই রিপ্লাইয়ে শেষের দিকে আপনার আইডি কার্ডের নাম্বার পেয়ে যাবেন।
তবে আপনি যে আইডি কার্ডের নাম্বার পাবেন সেই আইডি কার্ডের নাম্বার টি একান্তই আপনার আপনি এটি সেভ করে রাখবেন যাতে করে কেউ না দেখতে পায়।
যখনই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার টি পেয়ে যাবেন , তখন আপনাকে আপনার আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য আরেকটি সেন্টারে গিয়ে আবেদন করতে হবে। অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন এবার।
উপরোক্ত লিংকে ভিজিট করার পরে , এবার আপনাকে আপনার সমস্ত ডকুমেন্টগুলো দেয়ার মাধ্যমে আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে হবে।
আপনি আপনার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে যখন ঐ লিঙ্কটির মধ্যে প্রবেশ করবেন তখন আপনি দেখতে পারবেন “রেজিস্টার” নামের একটি আইকন রয়েছে।
এনআইডি অথবা ইউজার নেম: এখানে আপনি যে ফেসবুক পেইজ থেকে আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বার টি পেয়েছিলেন সেই কার্ডের নাম্বার যথাযথভাবে বসিয়ে দিন।
এরপর আপনার জন্মতারিখ দিয়ে দিন।
এরপরের বক্সটিতে আপনি যে রি ক্যাপচা গুলো পাবেন ওই রি ক্যাপচা গুলো যথাযথভাবে বসিয়ে দেয়ার পরে, একদম সর্বশেষে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
যখনই আপনি লগ ইন বাটনে ক্লিক করবেন তখন আপনার সামনে আরেকটি পেইজ চালু হবে সেই পেজের মধ্যে আপনি আপনার সমস্ত অ্যাড্রেস এর ডিটেলস গুলো দিতে হবে।
এই ডিটেলস মধ্যে রয়েছে আপনার জেলা বিভাগ কিংবা আপনি কোন গ্রামে বর্তমানে অবস্থান করেছেন সেই সমস্ত ডকুমেন্টস দিয়ে বক্স গুলো পূরণ করার সুবিধা।
এখানে একটি বিষয় অবশ্যই আপনাকে মনোযোগ সহকারে করতে হবে আর সেটা হলো এখানে দেয়া সমস্ত ডিটেলস গুলো আপনার জন্ম নিবন্ধনের কার্ড অনুযায়ী যথাযথ ভাবে ফিলাপ করে নিতে হবে।
যখনই আপনি আপনার ডিটেলস গুলো সম্পূর্ণভাবে কমপ্লিট করে নিবেন তখন আপনাকে আপনার দেয়া ফোন নম্বার একটি মেসেজ পাঠানো হবে এই মেসেজটা দেয়ার মাধ্যমে আপনাকে কনফার্ম করা হবে।
এবং যখনই আপনার নাম্বার একটি কনফার্মেশন কোড চলে আসবে তখন আপনাকে ওই যাচাইকরণ কোড দেয়ার পরে ‘বহাল’ এই অপশনটি উপরে ক্লিক করতে হবে।
এবার আপনি দেখতে পারবেন যে আপনার এনআইডি কার্ডের ছবি চলে আসছে, আর ওই আইডি কার্ডের ছবি ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি একাউন্ট তৈরী করতে হবে নির্বাচন করতে হবে।
পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য আপনাকে সেট পাসওয়ার্ড এই অপশনটি উপরে ক্লিক করতে হবে,
আর আপনি যখনই সেট পাসওয়ার্ড এই অপশনটি উপরে ক্লিক করবেন তখন আপনাকে আপনার ইচ্ছামত পাসওয়ার্ড এবং আপনার ইউজারনেম দেয়ার মাধ্যমে এখানে লগইন করে নিতে হবে।
তবে এখানে যেই ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিবেন এটি পরিপূর্ণভাবে মনে রাখবেন কারণ এটি পরবর্তী সময়ে আপনার দরকারে আসবে।
যখনই আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে যাবে তখন আপনার সামনে আপনার এনআইডি কার্ডের একটি ছবি চলে আসবে, আপনি এখান থেকে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে এটি আপনার কাছে নিয়ে আসতে পারবেন।
ডাউনলোড করার জন্য “ডাউনলোড” উপরে ক্লিক করুন তাহলেই দেখবেন কিছু সময়ের মধ্যেই আপনার ফোনে সেভ হয়ে যাবে।
আর এভাবে আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের একটা ফটোকপি আপনার কাছে রেখে দিতে পারবেন এবং এটি আপনার যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
আশাকরি আপনার ভালো লেগেছে, অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।