আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বিকাশ একাউন্ট খোলার পরে রীতিমতো এই সম্পর্কে ভুলে যান যে তাদের বিকাশ কোন আইডি দিয়ে খোলা হয়েছে।
অথবা ব্যাপারটা এরকম হতে পারে যে অন্য কেউ বিকাশ একাউন্ট খোলার পরে এই বিকাশ একাউন্ট আমাদের উপরে এসে বর্তায় এবং এটা আমাদেরকে ব্যবহার করতে হয়।
তবে আপনি যে কোন সমস্যায় পতিত হওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে এই সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে নিতে হয়, যে আপনার বিকাশ আইডি আসলে কোন ডকুমেন্ট দিয়ে খোলা হয়েছে।
কারণ আপনি যখন বিকাশ একাউন্ট নিয়ে কোন সমস্যার মধ্যে পড়বেন তখন আপনাকে এই সমস্যা থেকে উত্তোলনের জন্য আপনার ডকুমেন্টস এর ইনফর্মেশন দিতে হবে।
অন্যথায় আপনার একাউন্ট সারাজীবনের জন্য ব্লক হয়ে থাকবে
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
বিকাশ কোন আইডি দিয়ে খোলা কেনো জানবেন?
উদাহরণস্বরূপ আপনার বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড আপনি ভুলে গেছেন। এবার আপনাকে আপনার বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করতে হবে।
আপনি যদি বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার ভুলে যান তাহলে এটি পুনরায় সেট করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিকাশের কাস্টমার প্রতিনিধির সহায়তা নিতে হবে।
তবে আপনি যখনই কাস্টমার প্রতিনিধির কাছে আপনার প্রয়োজনের কথা বলবেন তখন ওই ব্যক্তি আপনাকে আপনার বিকাশ একাউন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যের কথা বলবে। এগুলো আপনাকে যথাযথ দিতে হবে।
এখন যদি আপনি ওই বিকাশ একাউন্টের একজন ভ্যালিড মালিক হওয়ার পরেও আপনি যদি তাদেরকে ইনফর্মেশন দিতে না পারেন; তাহলে আপনি অবৈধ বিকাশ ব্যবহারকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন।
আপনি যখনই তাদেরকে ইনফর্মেশন দিতে পারবেন না তখন আপনি কখনই আপনার বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড কিংবা অন্য যে কোন সমস্যা থেকে উত্তোলন করতে পারবেন না।
এছাড়াও আরও অনেক ধরনের সমস্যার মধ্যে আপনি বিকাশ একাউন্ট নিয়ে পতিত হতে পারেন; যার থেকে সমাধানের একমাত্র পন্থা হলো বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধি।
আর বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির একমাত্র কাজই হলো আপনার ডকুমেন্টস দিয়ে আপনাকে সনাক্ত করা। আপনাকে পুরোপুরি শনাক্ত না করা গেলে তারা আপনাকে কোনোভাবেই হেল্প করবে না।
আর এই সমস্ত বিষয় বস্তু থেকে পুরোপুরি পরিত্রাণের জন্য পূর্বে থেকে আপনাকে বিকাশ একাউন্ট কোন আইডি দিয়ে খোলা এই সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। যাতে করে পরবর্তী সময়ে কোন সমস্যার মধ্যে আপনি পতিত না হন।
বিকাশ কোন আইডি দিয়ে খোলা কিভাবে জানব?
আপনার বিকাশ একাউন্ট কোন আইডি বা ডকুমেন্ট দিয়ে খোলা এই সংক্রান্ত তথ্যের জন্য আপনি যদি সরাসরি বিকাশ কাস্টমার কেয়ার এর কাছে ফোন দেন; তাহলে হয়তো হেল্প নাও পেতে পারেন।
কারণ তারা মনে করবে হয়তো আপনার বিকাশ একাউন্ট চুরি হয়ে গেছে এবং ওই প্রতারক বিকাশ হেল্পলাইন এর মাধ্যমে সমস্ত ডকুমেন্ট গুলো নিয়ে নিতে চাচ্ছে।
তাহলে কিভাবে আপনার সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবেন? যদি আপনি কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা না বলেন তাহলে কিভাবে কার সহযোগিতায় আপনি হেল্প পাবেন?
- এজন্য প্রথমে আপনার নিকটস্থ কোনো কাস্টমার প্রতিনিধি কিংবা বিকাশ হেল্প সেন্টারে সরাসরি উপস্থিত থাকতে হবে।
- যখনই আপনি সেখানে উপস্থিত হবেন তখন আপনি আপনার সমস্যার কথা বলবেন। প্রয়োজন হলে যে বিকাশ একাউন্ট আপনি তৈরি করেছেন তার সম্পর্কে যাবতীয় ডিটেলস দিবেন।
- আপনাকে আপনার সমস্যার কথা পুরোপুরি এক্সপ্লেইন করতে হবে। আপনি আসলে কোন কারণে আপনার বিকাশ আইডি ডকুমেন্ট জানতে চাচ্ছেন।
- এর পরে তাদের কাছে যদি আপনার সমস্যাগুলো সত্য বলে প্রমাণিত হয়; তাহলে তারা নিশ্চয়ই ইনকোয়ারি করে আপনার আইডি এর কিছু ডকুমেন্ট আপনাকে দিবে।
আপনার আইডির কিছু ডকুমেন্ট বলতে তারা মূলত কোন একটি এনআইডি কার্ডের নাম কিংবা ঠিকানা ইত্যাদি আপনাকে জানাতে পারে। যার সংকেত হিসেবে আপনি আপনার এনআইডি কার্ড খুঁজে পাবেন।
এখানে একটি বিষয় লক্ষমানা সেটি হল আপনি যদি সত্যিই বিকাশ একাউন্টের আসল মালিক হন; তাহলে নিশ্চয়ই আপনি কোন একটি সংকেত এর মাধ্যমে পুরো মানুষটাকে শনাক্ত করতে পারবেন
উদাহরণস্বরূপ বিকাশ একাউন্ট যদি আপনার বাবার এনআইডি কার্ড দিয়ে খোলা থাকে; তাহলে আপনার বাবার নাম এর প্রথম কয়েকটি বর্ণ বলে দিলেই আপনি নিশ্চয়ই পরবর্তী যে নাম রয়েছে সে সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।
বলতে পারেন আপনার বিকাশ একাউন্ট যে আইডি দিয়ে খোলা হয়েছে সেটি জানতে হলে আপনাকে বিভিন্ন রকমের ভেরিফিকেশন সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে; এবং আপনি এগুলো থেকে উত্তোলন হতে পারলেই এই সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।