পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
শবে বরাতের নামাজ
আরবি শাবান মাসের ১৪ দিবাগত ১৫ তারিখের রাতকে ‘শবে বরাত’ বলা হয়। এই রাতে একটি বছরের জন্য সৃষ্টি জগতের অদৃষ্ট বণ্টন করা হয়। এ জন্য এই রাতের গুরুত্ব অপরিসীম।
আর এই কারণেই শাবান মাসের ফজিলত অনেক বেশি। কারণ হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি শাবান মাসের ১৫ তারিখে রাতে এবাদত করবে এবং দিনে রোজা রাখবে, দোজখের আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
শবে বরাতের নামাজ এবং নিয়ম কানুন
প্রকৃত অর্থে শবে বরাতের নামাজ বলে আলাদা কিছু নেই, যেহেতু এই রাতটি ইবাদত বন্দেগী করে কাটাতে হবে তাই হাদিসেই এর সমাধান দেয়া হয়েছে। আর বিশ্ব মুসলিম এই বিশেষ কিছু ইবাদত পালন করে থাকেন। হাদিসের আলোকে সেগুলোর কথা উল্লেখ করা হলো-
সন্ধ্যার আমল
এ রাতে মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাজত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দু’রকাত করে মোট ৬ রকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম।
৬ রাকাত নফল নামাজের নিয়ম
প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এরপর যে কোনো একটি সূরা পড়তে হবে। দু’রাকাত নামাজ শেষে করে সূরা ইয়াছিন বা সূরা ইফলাছ শরীফ ২১ বার তিলাওয়াত করতে হবে।
শবে বরাতের নফল নামাজ
১. দুই রাকাত তহিয়াতুল অযুর নামাজ। নিয়ম: প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর একবার আয়াতুল কুরসি এবং তিনবার সূরা এখলাছ (ক্বুলহু আল্লাহ)।
২. দুই রাকাত নফল নামাজ। নিয়ম: ১নং নামাজের মতো প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর একবার আয়াতুল কুরসি এবং ১৫ বার করে সূরা এখলাছ, অতপর সালাম ফিরানোর পর ১২ বার দুরূদ শরিফ পড়া।
৩. আট রাকাত নফল নামাজ, দু’রাকাত করে পড়তে হবে। নিয়ম: প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা এখলাছ পাঁচবার করে। একই নিয়মে বাকি সব।
৪. দু’রাকাত করে ১২ রাকাত নফল নামাজ। নিয়ম: প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, ১০ বার সূরা এখলাছ এবং এই নিয়মে বাকি নামাজ শেষ করে, ১০ বার কলমা তওহীদ, ১০ বার কলমা তামজীদ এবং ১০ বার দুরূদ শরীফ।
৫. দু’রাকাত করে ১৪ রাকাত নফল নামাজ। নিয়ম: প্রতি রাকাত সূরা ফাতিহার পর যে কোনো একটি সূরা পড়ুন।
৬. চার রাকাত নফল নামাজ, এক সালামে পড়তে হবে। নিয়ম: প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পর ৫০ বার সূরা এখলাছ।
৭. আট রাকাত নফল নামাজ, এক সালামে। নিয়ম: প্রতি রাকাত সূরা ফাতিহার পর ১১ বার সূরা এখলাছ।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তা‘আ-লা- রাক‘আতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা‘বাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।