সেহরির দোয়া
نويت ان اصوم غدا من شهر رمضان المبارك فرضا لك ياالله فتقبل منى انك انت السميع العليم.
বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রামাদানাল মুবারাকি, ফারদ্বাল্লাকা ইয়া আল্লাহ ফাতাকাব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আনতাস সামীউল আলীম।
বাংলায় অর্থ: হে আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।।
** কেউ যদি ছুবহি ছাদিক্বের পূর্বে নিয়ত করতে ভুলে যায় তাহলে তাকে দ্বিপ্রহরের পূর্বে নিয়ত করতে হবে। তখন এভাবে নিয়ত করবে:
نويت ان اصوم اليوم من شهر رمضان المبارك فرضا لك يالله فتقبل منى انك انت السميع العليم.
বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমাল ইয়াওমা মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফা তাক্বাব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায়
১. নাক বা কানে ওষুধ প্রবেশ করানো।
২. ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করা।
৩. কুলি করার সময় গলার মধ্যে পানি চলে যাওয়া।
৪. নারী স্পর্শ বা এ সংক্রান্ত কোনো কারণে বীর্য বের হওয়া।
৫. খাদ্য বা খাদ্য হিসেবে গণ্য নয়, এমন কোনো বস্তু গিলে ফেলা।
৬. আগরবাতির ধোঁয়া ইচ্ছা করে গলা বা নাকের মধ্যে প্রবেশ করানো।
৭. বিড়ি-সিগারেট পান করা।
৮. ভুলে খেয়ে ফেলার পর ইচ্ছা করে পুনরায় খাওয়া।
৯. সুবেহ সাদিকের পর খাবার খাওয়া।
১০. বুঝে হোক বা না বুঝে, সূর্য ডোবার আগে ইফতার করা।
১১. ইচ্ছা করে স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা।
যেসব কারণে রোজা ভাঙে না
১. মিসওয়াক করা।
২. মাথায় বা শরীরে তেল লাগানো।
৩. চোখে ওষুধ বা সুরমা লাগানে।
৪. গরমের কারণে পিপাসায় গোসল করা।
৫. সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৬. ইনজেকশন বা টিকা দেয়া।
৭. ভুলে পানাহার করা।
৮. ইচ্ছা ছাড়াই ধুলাবালি বা মাছি ইত্যাদি প্রবেশ করা।
৯. কানে পানি প্রবেশ করা।
১০. দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত বের হওয়া।
বমি করলে কি রোজা ভাঙবে
রোজা থাকা অবস্থায় যদি কারো স্বাভাবিক বমি হয়- মানুষ তা ঠেকাতে সক্ষম হয় নয়, সেই বমিতে রোজা ভাঙবে না।
অবশ্য এক ছোলা পরিমাণ বমি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে পেটের ভেতর চলে যায় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। সে রোজার কাযা আদায় করা ওয়াজিব।
যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করে (মুখে আঙুল দিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে) তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। পেটের ভেতর কিছু যাক আর না যাক।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যাকে বমি পেয়ে বসে তার জন্য কোনো কাযা নেই কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে সে যেন কাযা করে নেয়’। (তিরমিজি, আবু দাউদ)।
উল্লেখ্য, মুখ ভরে বমি না হলে রোজা নষ্ট হবে না (আহছানুল ফাতাওয়া)।