আপনার কি ভালোবাসার মানুষ আছে? এবং তার কাছে গিয়ে প্রতিনিয়ত নিজেকে রোমান্টিক প্রমাণ করতে চান? তাহলে নানান ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
এই সমস্ত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হলো আপনি যদি ওই মানুষটির কাছে ভালোবাসার কবিতা অথবা
প্রেমের কবিতা প্রেরণ করতে পারেন।
এগুলো আপনাকে আপনার প্রিয় মানুষটির কাছে অন্যরকম ভাবনার বিষয় করে গড়ে তুলবে। কারণ আপনি যখন অন্যদের চেয়ে আলাদা হবেন তখন সেও আপনাকে অন্য রকম ভালোবাসবে।
আর তাই আপনি যদি আপনার প্রিয় মানুষের কাছে ভালোবাসার কবিতা অথবা প্রেমের কবিতা প্রেরণ করতে চান তাহলে হয়তো এগুলো খুঁজে বেড়ান এদিক সেদিক।
কারণ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের মধ্যে কবির ভাবটি ফুটে ওঠে নি যার কারণে তারা কোন ধরনের কবিতা নিজের মনের মত করে সাজিয়ে লিখতে পারেনা।
কথাই বলে কি আপনার প্রিয় মানুষের কাছে এগুলো প্রেরণ করা হবে না? কেন হবে না অবশ্যই হবে। কারণ আজকের এই পোস্টটিতে আমি আলোচনা করব সমগ্র ভালোবাসার কবিতা এবং প্রেমের কবিতা সম্পর্কে।
তোমার সাথে হয়না দেখা
হয়না কথা রোজ,
ভাবলে তোমায় কঠিন হৃদয়
যাচ্ছে হয়ে ন্যূব্জ।
মোচড়ে উঠে হৃদয় আমার
দেখলে তোমায় কভূ,
মনের ভাষা হয়না প্রকাশ
গোপনে রয় তবু।
একটু দূরে সরলেই তুমি
মেজাজটা যায় চড়ে,
ইচ্ছে করে এই পৃথিবী
ভষ্ম করি পুড়ে।
আমার কাছে তুচ্ছ সবই
কেবল তুমি ছাড়া,
তোমার জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও
করতে পারি তাড়া।
রিসিপশানের সেই মেয়েটির
বাঁকা চোখের খাদে,
আটকে গেলো হৃদয় আমার
পড়ে প্রেমের ফাঁদে।
তাকে দেখলেই বিষম খাই
মাথা নত লাজে,
বসের জ্বালায় হয়না প্রেম
মন বসেনা কাজে।
তোমার ঘরে স্বামী আছে
আমার ঘরে বউ,
তবু মোদের বুকের মাঝে
ওঠে প্রেমের ঢেউ।
বউকে লাগে ফুলন দেবী
তোমার স্বামী বিরাপ্পন,
তাইতো তোমার হাতটি ধরে
চাইছি যেতে বৃন্দাবন।
দেখেছি রুক্ষতার আনন্দ।
তোমাকে আমি হঠাৎ পেয়েছি,
হারিয়েছি সব ছন্দ।
তপ্ত বালুতে ফুটতে দেখেছি
রক্ত রঙ্গিন ফুল।
হঠাৎ হাওয়ায় উড়তে দেখেছি,
তোমার খোলা চুল!
ভাঙ্গল আমার ভুল!
বৈরাগ্যকে ভালবেসেছি
ভালোবেসেছি তোমাকে,
তোমাকে আমার সবই দিয়েছি,
ভালবাসার এক ফাকে ।।
বুঝতে যদি আমায় প্রেমী, বলতে ভালবাসি কত
সবকিছু দিয়েও যেন হয়না কেন শেষ,
চলে গিয়েও রেখে যাও ভালবাসার রেশ।
তোমায় যদি জীবনসঈী আমি না পাই,
আধার হোক জীবন আমার, সুখ নাহি চাই।
ভালবাসার আঁচলে জড়ালে
রোমাঞ্চ শিশিরে নেভালে
মনের অব্যক্ত দহন জ্বালা।
বুকের গহীন অন্ধকারে উড়িয়ে দিলে
ভালবাসার প্রজাপতি
কষ্টগুলো পাপড়ি মেলে সুবাস ছড়ায়
ভাল লাগার অনুরণে।
তুমি এসে খুলে দিলে
যন্ত্রণার বন্ধ দুয়ার
ভরিয়ে দিলে মনের ভেতর
ভালবাসার মর্ম ফোয়ার।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
প্রেমের কবিতা
ভালবাসার মত এতকিছু তাই এত ভয়
ভালবাসার মত যতকিছু তার বিপরীতে
ভালবাসার মত ততটুকু ঘৃণা রয়………
ভরিয়ে দাও মন।
গাছের ছায়ায়
সবুজ মায়ায়
হৃদয় দোলে
শীতের আমেজ
ভাল লাগায় এখন।
মরা নদীর বান ডেকে যায়
ঢেউ খেলে যায় ভালবাসার বুকে
তুমি আসো যখন।
ভালবাসার বর্ষা নামে
আমার চোখের কোনে
হঠাৎ যখন বলে উঠো
চলে যাবো এখন।
দেব খোপায় তাঁরার ফুল
কর্ণে দোলাবো তৃতীয়া তিথি
চৈতী চাঁদের দুল।।
কন্ঠে তোমার পরাব বালিকা
হংস সারির দুলানো মালিকা
বিজলি জরিণ ফিতায় বাধিব
মেঘরঙ এলো চুল।।
জোছনার সাথে চন্দন দিয়ে
মাখাব তোমার গায়ে
রামধনু হতে লাল রং ছানি
আলতা পরাব পায়।
আমার গানের সাতসুর দিয়া
তোমার বাসর রচিব ও প্রিয়া
তোমারে ঘিরিয়া গাহিবে
আমার কবিতার বুলবুল।।
পরি চাঁপা রঙের শাড়ী খয়েরী টিপ
জাগে বাতায়নে জ্বালি আঁখি প্রদীপ
মালা চন্দন দিয়ে মোর কালা সাজাই।।
তুমি আসিবে বলে সুদূর তিথি
জাগে চাঁদের তৃষ্ণা লয়ে কৃষ্ণা তিথি
কভু ঘরে আসি কভু বাহিরে চাই।।
আজি আকাশে বাতাসে কানাকানি
জাগে বনে বনে নব ফুলের বাণী
আজি আমার কথা যেন বলিতে পাই
যেন বলিতে পাই, যেন যায় না বৃথায়।।
নিস্তব্ধ ছিলাম ব’সে;
শিশির পড়িতেছিল ধীরে-ধীরে খ’সে;
নিমের শাখার থেকে একাকীতম কে পাখি নামি
উড়ে গেলো কুয়াশায়,- কুয়াশার থেকে
দূর-কুয়াশায় আরো।
তাহারি পাখার হাওয়া প্রদীপ নিভায়ে গেলো বুঝি?
অন্ধকার হাতড়ায়ে ধীরে-ধীরে দেশলাই খুঁজি;
যখন জ্বলিবে আলো কার মুখ দেখা যাবে বলতে কি পারো?
কার মুখ?- আমলকী শাখার পিছনে
শিঙের মতন বাঁকা নীল চাঁদ একদিন
দেখেছিলো, আহা,
সে-মুখ ধূসরতম আজ এই পৃথিবীর মনে।
তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে,
পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন,
মানুষ র’বে না আর, র’বে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখনঃ
সেই মুখ আর আমি র’বো সেই স্বপ্নের ভিতরে।
শুল্কসন্ধ্যা চৈত্রমাসে,
মধুমাসের মধু মিলনে বাসন্তীরং এ
কবির মনে প্রেম আসে।
একলা দাঁড়ায়ে বকুল তলায়
বাতাসে উড়িয়ে লাল শাড়ি,
প্রভাতী মেঘে ফের বায়না ধরে
মেয়ে তোমার কোথায় বাড়ি।
জানতে চাইলে সবুজ বন
বলবে তখন কবির মন
ভালবাসি রাশি রাশি
মেয়ের রেশম কালো চুল,
তখন সবুজের বন দিবে উপমা
ভালবাসায় নেই কো ভুল।
সোনায় সোহাগা মেয়ের রূপ
কাজল বরণ আঁখি,
সুরের দানে মান অভিমানে
তুমি যে আমার পাখি।
হাজার বছরের স্বর্ণালী প্রেম
কাচের চুড়ি যেচে,
প্রেমিক পুরুষ তা আনিতো কিনে
প্রেমিকা নিতো নেচে।
তেমনি হওয়া চাই মেয়ের প্রেম
জড়িয়ে কবির কোল,
তখন আহ্লাদে প্রাণ ধরিবে যে গান
ভালবাসার নেই কো ভুল।
কোন মেঘেতে ‘বৃষ্টি’ হাসে
কোন মেঘেতে সূর্য,
কোন মেঘেতে ‘ঝিরি হাওয়া’
কোন মেঘেতে বজ্র।
দূর হতে আমি তাই, তোমায় দেখে যাই
তুমি একটু হাসো তাই, আমি চাঁদের মিষ্টি আলো পাই
হাজার ফুল চাইনা আমি একটা গোলাপ চাই.
হাজার জনম চাইনা আমি একটা জনম চাই,
সেই জনমে যেন শুধু তোমায় আমি পাই
জোস্না আমার আবেগ, বৃষ্টি আমার কান্না,
রোদ আমার হাসি, কি করলে বুঝবে-
বন্ধু তোমায় আমি কত ভালোবাসি !
আকাশের বুকে যেন জল ছবি এঁকে যায় .
তুমি হাসলে বুঝি মনে হয়,
স্বপ্ন আকাশে পাখি ডানা মেলে দেয়
আরো ভালোবাসার কবিতা
সে কি তোমায় ভুলতে পারে ?
যেমন ছিলাম তোমার পাশে,
আজ আছি ভালোবেসে.
থাকব আমি তেমনি করে,
বন্ধু হয়ে চিরতরে
কারণ সূর্য পূর্ব দিকে উদিত হয়ে পশ্চিমে অস্ত যায়.
কিন্তু ভালবাসার উদয় হৃদয়ে হয়….মৃতুতেই সে অস্ত যায়
পারলে নীল্ রং দিও,
আকাশটা তোমারি থাক,
কিছু তারা দিও,
মেঘ টাও তোমারি থাক,
একটু ভিজিটে দিও,
হৃদয়টা তোমারি থাক,
পারলে একটু জায়গা দিও
তাহলে আজকে এই পর্যন্ত, উপরে দেয়া ভালোবাসার কবিতা এবং প্রেমের কবিতা গুলো কালেক্ট করে নিও পাঠিয়ে দিন আপনার পছন্দের মানুষকে।