আপনি যখনই হ্যাকার নামক সুপার পাওয়ার এর কবলে পড়বে তখনই এটা ভেবে নিবেন যে আপনার সবকিছু শেষ।
এরা আসলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপনার সারা জীবনের পুঁজিকে ব্যর্থ করে দিতে পারে,
আর মজার ব্যাপার হল যে আপনি বুঝতেই পারবেন না কিভাবে তারা আপনার সমস্ত ডকুমেন্টগুলো চুরি করে নিজের কবলে নিয়ে নিয়েছে।
আপনি হয়তো জানেন না তাদের কাজই হল অনুমতি ব্যতীত যে কারো গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো লুট করে নেয়া।
আর আপনি নিশ্চয়ই তাদের মধ্যে শামিল হতে চাইবেন না,যারা হ্যাকারদের কবলে পড়ে তাদের সমস্ত ইনফরমেশন হারিয়ে এখন বিপাকে পড়েছে।
আপনি নিশ্চয়ই হ্যাকারদের কাছ থেকে বাঁচতে চান? আর কিভাবে আপনি হ্যাকারদের কবল থেকে বাঁচবেন এটা জানতে হলে আজকের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখুন।
একথা বললে ভুল হবে না যে প্রায় সমস্ত হ্যাকার আপনার দেয়া ইনফরমেশনগুলো ভুলভ্রান্তি খুজে আপনার উপরে অ্যাটাক করে।
আর এই ভুল ভ্রান্তিগুলো কি? নিশ্চয়ই এই ভুল ভ্রান্তি হল আপনার দেয়া সমস্ত ইনফরমেশন, আপনি এগুলোকে খুব কঠিনভাবে দেয়ার চেষ্টা করেননি। ফলশ্রুতিতে আপনি হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন।
আর আপনি যদি হ্যাকিং এর হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে নীচে দেয়া প্রসেসগুলো অবশ্যই দেখে নিবেন।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
পাসওয়ার্ড
পাসওয়ার্ড হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর এটাই আপনাকে হ্যাকিং এর সম্মুখিন করতে পারে বা হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
আপনার দেয়া অন্যান্য ইনফর্মেশন যেমন ইমেইল এড্রেস ফোন নাম্বার ট্রেকিং করার জন্য অনেক টুলস পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে।
কিন্তু এরকম কোন টুলস আজো আবিষ্কার হয়নি যার মাধ্যমে আপনি যে কারো পাসওয়ার্ড খুঁজে নিতে পারেন। তবে পাসওয়ার্ডটি যদি হয় একদম সাদামাটা তাহলে অনেক টুলস এর সাহায্যে তা করা সম্ভব।
এখানে হ্যাকাররা কয়েকটি কমন ওয়ার্ডের সমন্বয় খুঁজবে আপনার পাসওয়ার্ডটি। এক্ষেত্রে তারা কয়েক মিলিয়ন বিলিয়ন পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করতে পারে।
আর যখনই আপনার পাসওয়ার্ডটি এই সমস্ত পাসওয়ার্ড এর সাথে মিলে যাবে তখনই তারা এটা জানতে পারবে,আর আপনার অ্যাকাউন্টে অ্যাক্সেস নিতে পারবে।
তাহলে আপনি কি করবেন? এক্ষেত্রে আপনাকে এমন একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে যা আগে কেউ ব্যবহার করেনি।
আর যেকোনো ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহারের সম্পূর্ণ গাইড লাইন দেখতে হলে নিচের দেয়া আর্টিকেল ফলো করুন।
দুর্ধর্ষ অ্যাপস কিংবা গেম
আপনি যদি আইফোন ব্যবহার করেন, অর্থাৎ আপনি যদি অ্যাপেল স্টোর থেকে কোন অ্যাপস ডাউনলোড করতে চান তাহলে এখানে আপনি মালওয়্যার ভাইরাস সম্পৃক্ত অ্যাপস খুঁজে পাবেন না।
কারণ তারা যখনই কোন অ্যাপ পাবলিশ করে থাকে তখনই এর সিকিউরিটি চেকিং বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়।
তাছাড়া সমস্ত সেলিব্রেটিরা যদি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তারা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয় আইফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে।
কারণ এতে করে তাদের সমস্ত ডাটা এবং পার্সোনাল ফাইলগুলো হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি একদমই থাকেনা।
কিন্তু অপরদিকে আপনি যদি এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য গুগল প্লে স্টোর এর দিকে লক্ষ্য রাখেন তাহলে দেখতে পারবেন যেখানে প্রায় অ্যাপস ভাইরাস মালওয়ার দ্বারা পূর্ণ।
যে এপসগুলো যখনই আপনি আপনার ফোনে ইন্সটল দিবে, অবশেষে তাদেরকে এক্সেস দিয়ে দিবেন তখনই তারা এক নিমিষেই আপনার সমস্ত ডাটাগুলো হ্যাক করে নিতে পারে।
আর তাই গুগল প্লে স্টোর থেকে যখনই আপনি কোন অ্যাপস ডাউনলোড করবেন তখন অ্যাপসটি ভালো ভাবে চেক করে নিবেন।
অন্যথায় এটা আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে।
সাইট
এরকম অনেক সাইট আছে সাইটগুলোতে আমরা প্রায় সময় হ্যাকিং শিখার জন্য আমাদের সমস্ত ডকুমেন্ট গুলো দিয়ে দেই।এক্ষেত্রে সাইটগুলো থাকে হ্যাকারদের পাতানো ফাঁদ, আপনি যখনই সমস্ত সাইটে আপনার ইম্পরট্যান্ট ডকুমেন্টস গুলো দিবেন তখনই তারা এগুলো হাতিয়ে নেবে।
তাই যেকোন সাইটে লগইন কিংবা সাইন আপ করার সময় অবশ্যই এই সাইটটি ট্রাস্টেড কতটা সেটা আগে ভালোভাবে দেখে নিবেন।
আর এটা আপনি চাইলে নিচের দেয়া ফ্রী টুলস এর সহযোগিতায় খুব সহজেই দেখতে পারবেন।
লিংক সমূহ
এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ ব্যবহারকারী ফিশিং সাইট সম্পর্কে সতর্ক অবস্থানে আছেন।
সবাই ফিশিং সাইট সম্বন্ধে এতটা সতর্ক হয়ে গেছে যে এখন আপনি যদি তাদের কাছে কোনো গুরুত্বপূর্ণ লিংক দিয়ে দেন তাহলে তাতে ক্লিক করবে না।
দেখছেন ব্যাপারটা কত সিরিয়াস? ফিশিং লিংক সম্পর্কে আমাদের একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে, আমরা মনে করি লিংকটিতে ক্লিক করলেই আমাদের সমস্ত ডকুমেন্টস তাদের কাছে চলে যাবে।
এখানে সত্যি কথা হলো যে ফিশিং লিংকে এরকম কোন সুপার পাওয়ার নেই, যাতে করে ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনার ডকুমেন্টগুলো চলে যাবে।
এই সমস্ত লিঙ্কগুলোতে আপনি যখন আপনার কোন ডকুমেন্ট দিয়ে লগইন করবেন তখনই এই ডকুমেন্টগুলো তাদের ডেটা স্টোরেজ এর ভিতর জমা হয়ে যাবে।
অন্যথায় এই লিংকগুলো বিশাল আতঙ্কের নাম। তবে এই লিংকগুলো ক্ষেত্রে খামখেয়ালি হলে চলবে না, আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
এছাড়াও আরও অনেক উপায় হ্যাকাররা আপনারা সমস্ত ডকুমেন্ট হ্যাক করে নিতে পারে। দেমন দুর্বল ইমেইল এড্রেস, যেকোন সাইটে লগইন করা, যেকোনো সাইটের পলিসি একসেপ্ট করা ইত্যাদি।
আর উপরে দেয়া কথাগুলো যতদিন আপনি আঁকড়ে ধরে থাকবেন ততদিন হ্যাকাররা কখনোই আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।