গভীর সমুদ্রে সাঁতার না জানা আপনি যেমন অসহায়, ঠিক তেমনি ফেইসবুক প্রোফাইল লাইক কমেন্ট ছাড়াও অসহায়।
ফেসবুকে করা আপনার যেকোনো স্ট্যাটাস যদি কারো পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে সে অবশ্যই আপনার স্ট্যাটাসে একটি লাইক, কমেন্ট করে যাবে।
এর জন্য আপনাকে ইন্টারেস্টিং স্ট্যাটাস লিখতে হয়, যাতে করে আপনি আপনার স্ট্যাটাস গুলো তে লাইক বাড়াতে পারেন।
তবে অনেক ক্ষেত্রেই ভালো স্ট্যাটাস লেখার পরেও আমাদের ফেসবুকে করা পোস্টটিতে খুব বেশি একটি লাইক হয় না, কেন এরকমটা হয়?
আপনি কিভাবে খুব সহজেই ফেসবুকে লাইক বাড়াতে পারবেন? আর এই সিস্টেমগুলো কাজ না করলে লাইক বাড়ানোর সফটওয়্যার হিসেবে কোন গুলোকে ব্যবহার করবেন?
এ সমস্ত কিছু সমন্বয়ে আজকের এই পোস্ট টি। আশা করছি আজকের এই পোস্টটি আপনি শেষ পর্যন্ত দেখবেন।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
নিয়মিত স্ট্যাটাস আপডেট
আপনি যদি আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে প্রতিনিয়ত নতুন ধরনের স্ট্যাটাস আপডেট করেন তাহলে ঠিক খুব বেশি রেঙ্ক করবে।
আর এতে করে আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা সকল ফ্রেন্ড প্রতিনিয়ত আপনার স্ট্যাটাস গুলো দেখতে পারবে।
তখন যদি আপনার স্ট্যাটাস টি খুব বেশি ইন্টারেস্টিং টাইপের হয় তাহলে অবশ্যই সে আপনার স্ট্যাটাস দিতে লাইক, কমেন্ট করতে বাধ্য হবে। আর যদি কমেন্ট না করে তাহলে অন্তত একটা লাইক তো পাবেনই।
আর স্ট্যাটাস আপডেটের ক্ষেত্রে আপনাকে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।
▪ ক্যাপশন
▪ কপিরাইট
▪ সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা
ক্যাপশন
আপনার পোস্টের দিকে কোন ব্যক্তি কতটা নজর দিবে তার সিংহভাগ নির্ভর করে স্ট্যাটাস দেয়া ক্যাপশনটি উপর, এটা নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের ক্যাপশন দিয়ে স্ট্যাটাসটি পাবলিশ করেছেন?
তাই আপনাকে অবশ্যই যেকোনো স্ট্যাটাস পাবলিশ করার আগে এটা নিয়ে কোন ধরনের ক্যাপশন দেয়া যায় সেটি আগে নির্বাচন করে নিবেন।
আর আপনি চাইলে নিচে দেয়া পোস্ট থেকে, যেকোনো ফেইসবুক পোস্টের জন্য অনেকগুলো ক্যাপশন সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
কপিরাইট
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন তারা নানা ধরনের ফেসবুক পেজ কিংবা গ্রুপ থেকে স্ট্যাটাস কপি করে তাদের টাইমলাইনে পাবলিশ করে।
এটা আসলে খুবই বাজে স্বভাবের একটি কাজ, আপনি অন্যদের স্ট্যাটাসের প্রতি নজর দিয়ে নিজের প্রতিভাকে নষ্ট করে ফেলছেন।
এছাড়াও অন্যের সেটা কপি করে আপনার টাইমলাইনে যদি পাবলিশ করেন,তাহলে এটি আপনার টাইমলাইন ভিজিটর এর উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
কারণ যে কেউ এটাকে ঘৃনার চোখে দেখে, ব্যাপারটা আপনি বলেন তো- একই পোস্ট আপনার কয়বার দেখতে ভালো লাগবে?
সাজিয়ে লেখা
যেকোনো স্ট্যাটাস পাবলিশ করার আগে মাত্রাতিরিক্ত ইমোজি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
অনেকে এটা মনে করেন যে কোন স্ট্যাটাস এর ভিতরে মাত্রাতিরিক্ত ইমোজি ব্যবহারের ফলে হয়তো এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। আসলে এটা সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা।
কোন ধরনের ইমোজি ব্যবহার করা ছাড়াও আপনি সুন্দর এবং সাবলীল ভাবে লিখে আপনার স্ট্যাটাসটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারেন।
আর তাই ইমোজি ব্যবহার করার দিকে নজর না দিয়ে খুব সুন্দর এবং সাজিয়ে-গুছিয়ে যেকোনো স্ট্যাটাস পাবলিশ করার চেষ্টা করুন ।
যাতে ভিজিটররা আপনার স্ট্যাটাসটি কে ভালোবাসার নজরে দেখে এবং এতে অবশ্যই একটি লাইক করতে চায়।
অন্যের স্ট্যাটাসে লাইক কমেন্ট
আপনি যদি আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে অন্য যে কারো স্ট্যাটাসে প্রতিনিয়ত লাইক কমেন্ট কিংবা রিয়েক্ট করেন তাহলে অবশ্যই এটি তার দৃষ্টিনন্দিত হবে।
প্রথমদিকে হয়তো আপনি অন্য কারো স্ট্যাটাসে লাইক কমেন্ট করার পরে ওই ব্যক্তি কর্তৃক লাইক কমেন্ট ফেরত নাও পেতে পারেন।
এজন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং আরো বেশি করে ওই ব্যক্তির পোস্টটিতে লাইক কমেন্ট চালিয়ে যেতে হবে।
আপনি অন্যদের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লাইক কমেন্টের গতি যত দ্রুত হারে বাড়াতে থাকবেন, আপনার স্ট্যাটাসে লাইক কমেন্ট ঠিক ততটাই বাড়বে।
ফ্রেন্ড লিস্ট
আপনার ফেসবুকে যেকোনো স্ট্যাটাসে কতটা লাইক পড়বে কিংবা কমেন্ট হবে তার বিশেষ অংশ নির্ভর করে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের উপর।
ফ্রেন্ডলিস্টের উপর বলতে কয়েকটি বিষয় বুঝানো হয়েছে- প্রথমত আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের আকার, আর দ্বিতীয় তো হল আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের সমস্ত ফ্রেন্ডরা।
প্রথমত আপনার ফ্রেন্ডলিস্ট যদি খুব বেশি বড় হয় অর্থাৎ 3000-4000 এরকম ফ্রেন্ড হয় তাহলে তো অবশ্যই আপনার স্ট্যাটাসে লাইক বাড়বেই।
কারণ এত সংখ্যক ফ্রেন্ডস থাকার পরে আপনার স্ট্যাটাসটিতে 400 কিংবা 500 টি লাইক অসম্ভব কিছু নয়।
আর দ্বিতীয় যে বিষয়টি আমি বলেছি সেটা হল আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের সমস্ত ফ্রেন্ডরা, এখানে আপনি যদি অযথা যে কাউকে আপনার ফ্রেন্ড বানিয়ে নিন, তাহলে এই সমস্ত লোকেরা আপনার স্ট্যাটাসে অবশ্যই লাইক করবে না।
তাই ফ্রেন্ড সিলেক্ট করার আগে অবশ্যই আপনাকে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
▪ সে কতটা একটিভ থাকে
▪ তার পোস্টে লাইক কমেন্ট
▪ কতটা স্ট্যাটাস প্রতিদিন পাবলিশ করে
উপরে তিনটি বিষয় যখন আপনি পুরোপুরিভাবে পজিটিভলি পেয়ে যাবেন তখনই ওই ব্যক্তিকে আপনার ফ্রেন্ড বানিয়ে নিন।
ফেসবুকে আপনার স্ট্যাটাসে লাইক বাড়াতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ফেসবুকে একটিভ থাকতে হবে।
এতে করে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের যে কারো স্ট্যাটাস আপনি পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
আর যখনই আপনি আপনার ফ্রেন্ড লিস্টের যেকারো স্ট্যাটাসটি পাবেন, তখনই আপনার উচিত হবে সেই স্ট্যাটাসে লাইক এবং কমেন্ট করা।
আর যখনই আপনি ওই ব্যক্তির সমস্ত পাবলিশ করা সমস্ত স্ট্যাটাস গুলোতে প্রথমেই লাইক কমেন্ট করবেন, তখন আপনি তার দৃষ্টির মধ্যে পড়বেন।
আর এরকম যখন খুব বেশি দিন অতিবাহিত হবে,তখনই আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন যে ওই ব্যক্তিটি আপনার স্ট্যাটাসে লাইক কমেন্ট করছে।
আর এভাবেই আপনার স্ট্যাটাসে লাইক কমেন্ট এর গতি অচিরেই বেড়ে যাবে। যা দেখে আপনি কল্পনা করতে পারবেন না।
ফেসবুক অটো লাইক সফটওয়্যার
যদি আপনি যে কোন স্ট্যাটাসে পাবলিশ করার পরেই এই স্ট্যাটাসটিতে কয়েক হাজার লাইক দেখতে চান, তাহলে আপনি অটো লাইক সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
এই সফটওয়্যার গুলো খুবই কার্যকরী উপায় আপনার যেকোন স্ট্যাটাসে লাইক কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দিতে পারে।
তাহলে আর দেরি না করে নিচের দেয়া সফটওয়্যারগুলোকে ব্যবহার করে ফেলুন আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লাইক মেশিন হিসেবে।অটো লাইকার সফটওয়্যার-১
উপরে দেয়া প্রত্যেকটি সফটওয়্যার থেকে আপনি খুব সহজেই অটো লাইক নিতে পারবেন কোন ধরনের ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকিং সমস্যা ছাড়াই।
তবুও মনে সন্দেহ দূরীকরণের জন্য আপনি চাইলে প্রত্যেকবার লাইক নেওয়ার পর,আপনার ফেসবুক একাউন্টে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারেন।
Nice🥰
Wow ❤️
Good 💙
Thanks 💙