হ্যাকার হতে চান? জেনে নিন হ্যাকার হতে কি লাগে?

হ্যাকিং বা হ্যাকার এই দুটো শব্দ শুনলেই যেন আমাদের মনের মধ্যে এক অন্যরকম তোলপাড় শুরু হয়ে যায়।

আমাদের নিজের অজান্তেই মনের মধ্যে ইচ্ছা জাগে আমিও হ্যাকার হব, কিন্তু বললেই কি আর হ্যাকার হওয়া যায়?

যেকেউ হ্যাকার হওয়ার জন্য প্রধানত দরকার হলো তার যোগ্যতা, আর তারপরে দরকার তার তীক্ষ্ণ মনোবল এবং কঠোর ধৈর্য।

এই সমস্ত কিছু নিয়েই সে যখন এক অন্যরকম মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে তখনই সে পদচারণ করতে পারবে হ্যাকিং নামক বিশাল কালো জগতে।

আর হ্যাকিং শিখতে হলে বা হ্যাকার হতে হলে কি কি দরকার? এ নিয়ে যেন আমাদের মনের মধ্যে হাজারখানেক প্রশ্ন ঘুরপাক করে।

আর আজকের এই পোস্টটিতে আমিও সমস্ত সকল প্রশ্নের অবসান ঘটিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব, যে হ্যাকিং করতে হতে হলে কি কি লাগে?

হ্যাকার এবং হ্যাকিং দুটোই একই শব্দ বললে ভুল হবে না। কারণ আপনি যখন পরিপূর্ণ হ্যাকার হয়ে যাবেন তখনই আপনি হ্যাকিংয়ে যুক্ত হয়ে যাবেন।

আবার আপনি যখনই হ্যাকিং করতে চাইবেন তখনি আপনার সর্বোচ্চ যোগ্যতা হিসেবে আপনাকে অবশ্যই একজন হ্যাকার হতে হবে। তাই কমবেশি দুটি শব্দই একি।

 হ্যাকিং করতে কি লাগে?



▪ভালো ইন্টারনেট কানেকশন অথবা ওয়াইফাই
▪একটি পিসি বা ল্যাপটপ
▪ইংলিশ জানা
▪শেখার আগ্রহ 
▪প্রচুর ধৈর্য
▪প্রোগ্রামিং ভাষা


আপনি যদি হ্যাকিং শিখতে চান কিংবা পুরোপুরি হ্যাকার হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই উপরের প্রত্যেকটি পদক্ষেপের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে নিতে হবে।

আর অবশ্যই এটা নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি উপরের পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে পূর্ণ করতে সক্ষম হবেন। প্রথমে এগুলো নিয়ে কিছুটা কথা বলা যাক।

ভাল ইন্টারনেট কানেকশন বা ওয়াইফাই-


আপনি যখনই হ্যাকিং নামক কালো জগতে নিজে পদচারণ করতে চাইবেন তখনি আপনার ইন্টারনেট কানেকশন টি অবশ্যই দরকার।

হ্যাকিং জিনিসটা অফলাইনে হয়না, আপনি যদি ডাটা কানেকশন ব্যবহার করেন তাহলে হ্যাকিং শব্দটা আপনার কাছে বিষাদ লাগবে।

বহু সময় দেখা যায় যে ডাটা কানেকশন বা নেটওয়ার্ক কানেকশন একদম স্লো হয়ে যায়, যার ফলে হ্যাকিং নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার বিষয়টি আপনার মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হয়।

কারণ হ্যাকিং শিখতে গেলে আপনাকে এরকম অনেক সাইটের সম্মুখীন হতে হবে যে সাইটগুলো লোডিং স্পীড অনেক স্লো থাকবে। কিংবা আপনি ডাটা কানেকশন সাথে নিয়ে সাইটগুলোতে ভিজিট করতে পারবেন না।

তাই আপনার অবশ্যই দরকার হবে দ্রুত ব্রডব্যান্ড সমন্বয়ে ইন্টারনেট কানেকশন। আরে বিপরীত হলে হ্যাকিং নামক চিন্তাধারা আপনার মাথা থেকে মুছে ফেলুন।


পিসি বা ল্যাপটপ-


এখন একটি বিষয় একেবারে ক্লিয়ার করা যাক অনেকেই আছেন যে তারা তাদের এন্ড্রয়েড ফোন কিনবা স্মার্টফোন দিয়ে হ্যাকিং এর  জগতে নেমে পড়তে চান।

আর আপনি এটা কখনোই করতে চাইবেন না, কারণ হ্যাকিং করতে গেলে অনেক সময়ই টুলস কিংবা এক্সটেনশন এর দরকার হয়। যেগুলো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস দিয়ে অসম্ভব।

শুধু তাই নয় আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস দিয়ে অনেক সাইটে আছে যে সাইটগুলোর অ্যাক্সেস কখনোই পাবেন না ।

তাই আগের সর্বোপরি এটা নিশ্চিত হোন যে আপনার একটি পিসি কিংবা ল্যাপটপ আছে। অন্যতায় হ্যাকিং জিনিসটি আপনার জন্য নয়।

ইংলিশ জানা-

হ্যাকিংয়ের কালো জগতে প্রবেশ করার পর আপনি এরকম কোন সাইট খুঁজে পাবেন না যে সাইট গুলোতে আপনার মাতৃভাষা বাংলায় লেখা আছে।

সাইট গুলোর মধ্যে প্রায় প্রায় ৯০% এর অধিক  সাইট ইংরেজিতে লিপিবদ্ধ থাকে। আর এই সাইটগুলোর অ্যাক্সেস কিংবা সাইটগুলো থেকে পুরোপুরি পারফরম্যান্স পাওয়ার জন্য আপনাকে ইংরেজি জানতে হয়।

অনেকেই আছে শুধুমাত্র ইমেজ দেখে এবং এটা আয়ত্ত করে নিতে পারে, কিন্তু অনেক হ্যাকিং সম্পর্কিত সাইটে আপনি ইমেজ খুঁজে পাবেন না।

আপনাকে অবশ্যই ইংরেজী সম্পর্কে পুরোপুরি অভিজ্ঞতা নিয়ে তাদের দেয়া আর্টিকেল পড়তে হবে এবং এখান থেকে শিখতে হবে।

আর হ্যাকিং শিখতে হলে অন্যান্য যে সমস্ত বিষয় আছে সেগুলোর মধ্যে ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শেখার আগ্রহ-

অবশ্যই আপনার মধ্যে থাকা অন্যান্য গুণ গুলোর মধ্যে শেখার আগ্রহটা থাকা অবশ্যই জরুরি। আপনার মনোবল হতে হবে  অন্যান্য দের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।

আপনি যখনই আপনার নিজের মধ্যে প্রচুর মনোবল আর আগ্রহ নিয়ে মিটিং এর জগতে নামবেন তখনই আপনি একজন সফল হ্যাকার হিসেবে সম্মতি পাবেন।

প্রচুর ধৈর্য-


হ্যাকার হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি আপনাকে মাথায় রাখতে হয় সেটা হল আপনার ধৈর্য সম্পর্কে ধারণা।

কারণ আপনি যখন হ্যাকিং করতে যাবেন তখন এরকমটা দেখা যাবে যে আপনি প্রায় একমাস যাবত একটি কাজ করছেন, কিন্তু যখনই তার ফল পাবেন তখনই দেখলেন যে আপনি ব্যর্থ হলেন।

অর্থাৎ আপনার এক মাসের কাজগুলো একদিনে বৃথা হয়ে গেল, এখন আপনি কি করবেন? রাগে আর  কষ্টে হ্যাকিংয়ের জগত থেকে বের হয়ে যাবেন?

অবশ্যই না। আপনাকে এই সমস্ত সময় গুলোতে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে থাকতে হবে। তাছাড়া অনেক সময় আসবেন যে সময়  আপনার অত্যন্ত খারাপ যাবে।

আর সব মিলিয়ে যে কোন সময়ে ধৈর্যধারণ করা হ্যাকারদের অন্যতম গুণ গুলোর মধ্যে সেরা গুন।

প্রোগ্রামিং ভাষা-


হ্যাকিং শিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে খুব ভালো একটি ধারণা রাখতে হবে।

আর এজন্য চাইলে আপনি গুগলে সার্চ দিয়ে কিংবা ইউটিউবে যে কোন ধরনের টিউটোরিয়াল দেখে প্রোগ্রামিং ভাষা শিখতে পারেন।

হ্যাকিংয়ের জগতের প্রোগ্রামিং ভাষা আপনার মাতৃভাষার  আয়ত্তমত করতে হবে। তবে তা শিখতে হলে অনেক মনোবল আর ধৈর্য দরকার।

আর উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো যখনই আপনার মধ্যে উপস্থিত থাকবে তখনই আপনি একজন পরিপূর্ণ হ্যাকার হিসেবে গণ্য হবেন।

0 thoughts on “হ্যাকার হতে চান? জেনে নিন হ্যাকার হতে কি লাগে?”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top