যখন আমাদের প্রচন্ড মন খারাপ, কিংবা আমাদের মনের মধ্যে প্রেম করার তীব্র ইচ্ছে তখন আমাদের সঙ্গী হয় পুরনো ডায়েরীর ভাঁজে লুকিয়ে থাকা কিছু গল্প।
আর সেটা যদি নতুন রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আমরা সম্পুর্নভাবে পাগল হয়ে যাই গল্পটি পড়তে।
তেমনি আজকের পোস্টটিতে আমি এরকম সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায় এরকম কয়েকটি নতুন ভালোবাসার গল্প শেয়ার করেছি যা অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায় যে গল্প
সপ্না আর নিলয় ছোট বেলা থেকেই একসাথে বড় হয়। সপ্নার বাবা ট্যাক্সি চালায়, আর নিলয়ের বাবা একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। দুই ফ্যামিলির মধ্যে সম্পর্কটা মন্দ নয়।
সপ্না নিলয়কে মনে মনে ভালোবাসতো। কিন্তু কখনো বলতে পারে নি। তারা একত্রে অনার্স পাশ করে। নিলয়ের সরকারী চাকরি হয়। বাসা থেকে ধুমধাম করে বিয়ে দিয়ে দেয়।
সপ্না বেচারি ঘরে বসে একা কাঁদে। কিছু করার থাকে না তার। সপ্নার অবস্থা দেখে তার মা সপ্নাকে চেপে ধরে। জিজ্ঞেস করে সমস্যা কি। কান্নাবিজরিত গলায় সপ্না জানায় তার লুকানো প্রেমের কথা। তার একপেশে ভালোবাসার কথা।
সপ্নার পরিবারে দুঃখ নেমে আসে। সপ্নার বাবা জানতে পেরে মেয়েকে জলদি বিয়ে দেয়ার বেবস্থা করতে চান। কিন্তু সপ্নার এক কথা, তার মনের কোঠায় গভীরে সে নিলয়কেই বসিয়েছে।
এখন কোনও অবস্থাতেই তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। সে এমনকি এই বলে হুমকি দেয় যে বাড়াবাড়ি করলে সে আত্মহত্যা করবে। সপ্নার পরিবারের সবাই ভয় পেয়ে যায়। সাথে সাথে কষ্টও পায়।
কিন্তু কিছু করার থাকে না। একমাত্র মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া। বছর পাঁচেক পরের ঘটনা। সপ্না এখন ঢাকাতে একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষিকা। গ্রামে ইধানিং যায় না সে। বাবা মার সাথে ফোনে কথা হয়। এক পুজার ছুটিতে ৫ দিনের জন্য গ্রামে গেলো সে।
সে কি তখনো জ্যান্ত এইবারের গ্রামে ফেরা তার জীবনটা আমূল পাল্টে দিবে? সপ্না বাসায় ফিরে দেখে বাসার সবার মাঝেই একটা কষ্ট উপলব্ধি করতে পারে। সপ্না মাকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে? সপ্নার মা প্রথমে সপ্নাকে কিছুই বলে না। মেয়ের চাপাচাপিতে তিনি সব খুলে বলেন।
নিলয় গ্রামে এসেছে। তার একটা ফুটফুটে বাবু হয়েছে। বাবুটার বয়স মাত্র ২ বছর। বাবুটাকে জন্ম দিতে গিয়ে তার মা মারা যায়। নিলয় গ্রামে এসে সপ্নার মা বাবার সাথে দেখা করতে আসে। ছেলেটার মনে এক অদ্ভুত ক্ষোভ দেখতে পান তারা। এক চাপা কষ্ট। সপ্না ঘটনা শুনে থ হয়ে যায়। জীবনটা কোনও সিনেমা নয় যে সে নিলয়ের বাচ্চাকে বড় করবে।
তাকে নিজের মেয়ের মতো করে পালবে। কিন্তু সপ্নার খুব ইচ্ছে করে। আরও একবার সপ্না নিজের কাছে হেরে যায়। মুখ ফুটে বলতে পারে না তার গোপন ইচ্ছের কথা। পুজার ছুটি শেষ। আজ বিকেলে সপ্না ঢাকায় ফিরে যাবে।
ব্যাগ গুছুচ্ছে এসময় সপ্নার মা দৌড়ে এসে খবর দিলেন নিলয় এসেছে। সপ্না চমকে যায়। সে চাচ্ছিল যেনও নিলয়ের সাথে তার দেখা না হয়। কি লাভ কষ্টের বুঝা বাড়িয়ে?
মায়ের কথায় অবশেষে নিলয়ের সাথে দেখা হয় তার। দুজনেই চুপচাপ। হটাত নিলয় বলে উঠে, “ঢাকায় থাকো শুনলাম? আমিও ঢাকায় থাকি। পরিবাগে। তুমি?” “ধানমণ্ডিতে। আমরা ২জন ফ্রেন্ড একত্রে থাকি।
ও আমার সাথে একই স্কুলে পড়ায়। আমাদের পাশের গ্রামেরই মেয়ে।” আরও কিছু কথা বলে তারা একে অপরকে বিদায় জানায়। “ভালো থেকো” বলে ঘুরে নিজের রুমের দিকে হাঁটতে থাকে সপ্না।
অজানা কষ্টে বুকটা ধুমরে মুচড়ে যাচ্ছে। নিজের মনের উপর অসম্ভব জোর খাটিয়ে ফিরে চলে সে রুমের পথে। ঘাড় ঘুরিয়ে শেষবারের মতো ফিরে তাকায় সে। দেখল নিলর দাঁড়িয়ে আছে তার কুলে একটা ফুটফুটে বাচ্চা নিয়ে।
নিলয়ের চোখটা ভেজা। দূর থেকেও দেখা যাচ্ছে অশ্রুকণাগুলো। কেন যেনও বাচ্চাটাকে দেখার পর নিজেকে আটকে রাখতে পারে না সপ্না। নিলয় এবং সপ্নার বিয়ে হয় তাদের উভয় পরিবারের অনুমতি নিয়ে।
ঢাকার পরিবাগেই এখন আছি আমরা। আমিই সেই মেয়ে। আর আমার বাবা মা আমার নাম কি রেখেছেন জানেন? “আলো”।
বাবা-মার কাছ থেকে পুরো ঘটনাটি শুনি আমি তাদের ১৪তম বিবাহবার্ষিকীতে। এরপরেই লিখে ফেলি। আর আজ জানিয়ে দিলাম পৃথিবীকে। সবাই দোয়া করবেন আমার পরিবারের জন্য। আমি ক্লাস টেনে পড়ি এখন।
আমি আমার মাকে হারিয়েছি, কিন্তু পেয়েছি তার চেয়েও একজন শ্রেষ্ঠ মমতাময়ী নারীকে। তোমাদের দুজনকেই অনেক অনেক ভালোবাসি মা-বাবা।
ব্যর্থ প্রেমের গল্প
আমি বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে, ছোটবেলা বাবা মারা যায়,কিন্তু আমাদের ফ্যামিলি অনেক ভালো হওয়াতে কন প্রবলেম হয়নি, নিজের ভাই নেই কিন্তু আমার চাচার ২ ছেলে আমার আপন ভাইয়ের মতো ওদেরও কোন বোন নেই।
বড় ভাইয়া ছোট ভাইয়ার কাছেই আমার যত বায়না। ছোটবেলা থেকে আমি একটু অন্যরকম ছিলাম, আমার জগতটা একদম আলাদা ছিল ।
যা চাইতাম তাই পাইতাম, কিছু বলতে দেড়ি হত কিন্তু জিনিসটা সামনে পেতে দেড়ি হত না।
আম্মু-খালামনি, নানু, ভাইয়াদের চোখের মনি আমি, বড় আম্মু আমার নিজের আম্মুর থেকেও বেশিকিছু, ৪ বছর আগে ভাইয়াদের কাছে বায়না ধরেছিলাম নেট ইউজ করবো ভাইয়ারা না করলো না।
প্রথম ইউজ করতাম migg33 নতুন ছিলাম জানতাম না কি করতে হয় একটা ছেলের সাথে অল্প অল্প চ্যাট হত ওর আইডি টা আমি ভীষণ পছন্দ করতাম।
এরপর রাতদিন চ্যাট শুরু হয় আমাদের, কত গল্প কত দুষ্টামি, ফোন নাম্বার দেয়া নেয়া হল, আমি মেয়ে বলে ফোন দিলাম না ওই প্রথমে ফোন দিলো, ভয়ে রিসিভ করলাম না, এরপর দিতেই থাকলো ফোন, তারপর রিসিভ করলাম, কথা হলো ।
তারপর সারাদিন কথা হত আমাদের,রাতেও কথা হত। কথা বলতে অসুবিধা হলে mig তো আছেই । মাঝখানে কিছুদিন যোগাযোগ কম হল তখনি বুঝতে পারলাম ওকে ঠিক কতটা মিস করতেছি।
বেস্ট ফ্রেন্ড অপুকে বিষয়টা বললাম, ও বলল তুই প্রেমে পরেছিস। তারপর অপু ওই ছেলেকে সব বলল । ওর নাম ছিল সাইফুল, পড়তো MMC তে ।
তখন ও আমায় ফোন করে বলল আমরা যেন ভালো বন্ধু হিসেবে থাকি,আমি রাজি হয়ে গেলাম কারন ওর সাথে কথা বলতে পারাটাই ছিল আমার জন্য অনেক আনন্দের একটি বিষয় ।
এভাবে দিন যেতে লাগল,ফ্রেন্ড হিসেবে আর ভাবতে পারতাম না । আমি খুব দুষ্টু ছিলাম, সারাদিন শুধু দুষ্টামি আর লাফালাফি করতাম।
আমি আইসক্রিম আর চকলেট খুব পছন্দ করতাম, তুমি বলতে আমাদের জখন দেখা হবে তুমি আমাকে অনেক আইসক্রিম আর চকলেট খাওয়াবে, এভাবে আমাদের দিন যেতে থাকলো।
আমি বিবিএ তে ভর্তি হলাম আর ও এম এম সি তে ফাইনাল পরীক্ষা শেষ এক সাবজেক্ট খারাপ হইছে, ওর কষতগুলো শেয়ার করতাম, ওকে পাগলের মতো ভালবাসতাম এখনো পাগলের মতই ভালবাসি।
আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না ওর জখন কোনও অসুখ হতো বা বিপদে পড়ত সবার আগে আমি বুঝতে পারতাম কিভাবে যেন, পরে বুঝছি মনের মিল থাকলে এমন হয়, একবার ও সিরি থেকে পরে পা ভেঙে ফেললো আমার অস্থির লাগছিলো ফোন দিলাম বলল পায়ে ভেঙে ফেলেছে।
আরেকবার পহেলা বৈশাখে ১ টা অনুষ্ঠানে গান গাইতে মঞ্চে উঠলাম কিন্তু কেন যেন অস্থির লাগছিলো তাড়াতাড়ি শেষ করে ওকে ফোন করলাম ওর ফ্রেন্ড বলল ও অসুস্থ…শুনে অনেক কাঁদলাম, ও থামাল আমাকে ওই দিনই আমার খুব জ্বর হয়।
ওর ফ্রেন্ডের কাছ থেকে ও শুনেও কোনও খবর দিলো না, খুব রাগ হল, অভিমানে ফোন দিলাম না…ফেসবুকে সারাদিন ওর ছবি দেখতাম, ওর ছবি সেভ করে রাখতাম, ৩ মাস আমাদের কোনও কথা হল না…
আমার ভাইয়ারা জেনে গেলো সব, খুব মারল আমাকে, যে ভাইয়ারা কোনদিন ধমকও দেয়নি সেই ভাইয়াদের হাতে মার খেলাম!!! আমার ফোন নিয়ে নিলো, বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো..।
আসতে আসতে পরিবেশ হালকা হল ৩ মাস পর, ফোন হাতে পেলাম, হাতে পেয়েই ওকে মেসেজ দেই সাথে সাথে উত্তর পেলাম, আমার খবর জানতে চাইল, ওই দিন সারারাত আমাদের কথা হল,
ও কিছুতেই মানতে পারলো না, এরপর আরও দুর্বল হয়ে পড়লো আমার প্রতি, খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি, আমার অপারেশনের দরকার হয় ও বলল ভয় নেই ও পাশে থাকবে, আমায় ঢাকায় নেয়া হল টেস্ট এর পর টেস্ট চলছিলো,
আমি সুযোগ পেলে ওকে ফোন দিতাম, সারারাতই লুকায় লুকায় migg এ চ্যাট করতাম, ও ভালো কবিতা লিখতে পারতো আর আমাকে শোনাতো, আমি বললাম আমি মরেও যেতে পারি ও বলল মরেই যদি যাবে তবে এতো মায়ায় ফেললে কেন?
কেঁদে ফেললো, এরপর শুরু হল আমার লাইফের কালো অধ্যায়…। একটা মেয়ে migg এ আমার খবর নিলো ও নাকি আমার সব জানে, আমায় বলল ওরা নাকি জাস্ট ফ্রেন্ড আমি বোকার মতো বিশ্বাস করলাম,
অপারেশনের আগের দিন মেয়ে ফোন দিলো বলল ভয়ের কিছু নেই ঠিক হয়ে যাবে সব,সাইফুলকে বললাম মেয়েটা কে সাইফুলও বলল ওরা ফ্রেন্ড আমার অপারেশন হল ওই মেয়ে খালামনির ক্লাছে ফোন দিয়ে খবর নিতো,
এরপর আমি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে আসলাম হঠাৎ সাইফুল বদলে যেতে লাগলো!, আমি ফোন দিলেও ধরত না ধরলেও বলত বিজি, ওই মেয়েকে ফ্রেন্ড ভাবতাম তাই মনের সব কথা ক্লহুলে বলতাম,
মাঝে মাঝে খারাপ ব্যাবহার করত, আমার সন্দেহ হতে লাগলো একদিন জিজ্ঞেস করলাম ভালবাসে কিনা সাইফুলকে, ও বলল না, কিন্তু ২ দিন পর বলল সরি ক (আমি) মিথ্যা বলেছি আমি সাইফুলকে ছাড়া বাঁচবো না,
ওইদিনই ওই মেয়ে অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খায় অনেক খারাপ অবস্থা দেখে আমি কথা দেই আমি সরে যাবো সাইফুলের লাইফ থেকে, সাইফুলকে বললাম কেন এমন করলো ও তো জানত ওই মেয়ে ওকে ভালবাসে মেয়েটিকে কেন আশা দিয়ে রাখলো,
আমার সাথেই বা কেন অভিনয় করলো? ও বলল তোমরা আমায় পাগল বানায় দিচ্ছ, ওই মেয়েকে আমি ভালবাসি না এখন তোমাকেও ভালবাসি না সাইফুলকে বললাম আমি কথা দিছি তাই সরে গেলাম তোমার জীবন থেকে তুমি ওকে ভালোবাসো,
ও বলল কাউকে ভালোবাসে না কিন্তু ওরা দুজন সারাদিন ফোনে কথা বলে ফেসবুকে চ্যাট করে, মিগ এ চ্যাট করে। ওই মেয়ে আমায় ফোন দিয়ে খুব বাজে ব্যাবহার করলো আমার সাথে, তবুও আমি মাঝে মাঝে ওকে ফোন দিয়ে সাইফুলের কথা শুনতাম,
বলল ওরা খুব ভালো আছে দুজনেই অনেক ভালোবাসে দুজনকে, আমি খুশি ওরা তো সুখে আছে কিন্তু কেন যেন খুব কষ্ট হয়, ওকে মাঝে মাঝে ফোন দিলে রিসিভ করে না, করলেও অনীহা দেখায়। এখনো ভালবাসি আজ ৪ বছর হল ওকে ভালবাসি, ভুলতে পারি না,
অপেক্ষায় থাকি জানি ফিরবেনা তবুও আশায় থাকি, এখনো আমি কিছুটা অসুস্থ কিন্তু সাইফুল কোনও খবরও নেয় না… বলতে পারিনা আমার ভুলটা কোথায়? কেন এমন হল আমার সাথে? (ওরা এখনো আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আছে তাই নাম চেঞ্জ করে লিখলাম, এখনো প্রতিটি দিন প্রতিটি রাত ওর আশায় বুক বেঁধে রাখি)
তাহলে আজকে এই পর্যন্ত।