নিঃসন্দেহে ফেইসবুক সর্বাধিক ব্যবহৃত সোসিয়াল গণমাধ্যম! এখানে প্রায় লোকজন তাদের অবসর সময়ের প্রায় 90% কাটিয়ে থাকেন।
কিন্তু আমরা সকলেই আসলেই কি জানি এর আসল রহস্য যে এটা কিভাবে এলো?
আজকের এই পোস্টটিতে আমি পুরোপুরি আলোচনা করার চেষ্টা করেছি ফেসবুক সৃষ্টি হওয়ার আসল রহস্য সম্পর্কে।
আশা করি আপনি এই সকল রহস্য ভেদ করে পুরোপুরি ফেইসবুক আবিষ্কৃত হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হবেন।
আমরা সকলেই জানি যে ফেসবুক তৈরি করেছেন জনপ্রিয় আমেরিকান টেকনোলজি Entrepreneur এবং ফিলান্থ্রপিস্ট মার্ক জুকারবার্গ!
কিন্তু কিভাবে তিনি এটি আবিষ্কার করলেন? এর পিছনে তিনি কতটুকু শ্রম দিয়েছেন? এবং কীভাবে তিনি তা সফল কাম্য করছেন?
এটা নিয়ে আমাদের রহস্যের শেষ নেই!
প্রথমেই জেনে নেই মার্ক জুকারবার্গ ছিলেন হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন ছাত্র।
ছোটবেলা থেকেই ইন্টারনেটের প্রতি কিংবা কম্পিউটার প্রতি তার আগ্রহ ছিল আকাশচুম্বী।
তিনি যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত ছিলেন তখন তিনি অনেক চমক কৃত কাজ করে বন্ধুদের কে চমকে দিয়েছিলেন।
এর অগ্রযাত্রা হয় যখন তিনি প্রথম “কোর্সম্যাচ“নামক একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে সক্ষম হন।
এটা এমন একটি সাইট ছিল যেখানে এর ব্যবহারকারীরা তারা কোথা থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন সেই সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে পারত।
তাহলে নিঃসন্দেহে এটি তার অনন্য আবিষ্কার ছিল। কিন্তু এতেই তিনি দমে ছিলেন না!
এরপর তিনি “ফেস ম্যাচ” নামক একটি ওয়েবসাইট খুললেন যার উদ্দেশ্য ছিল যে ব্যবহারকারী এটাতে ছবি আপলোড দিবে।
এবং ছবি রেটিং অনুযায়ী এটা বিচার করা হবে যে কোনটা ভালো।
এবং ছবি রেটিং অনুযায়ী এটা বিচার করা হবে যে কোনটা ভালো।
আর এই সাইট গুলো তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য এটা ছিল না যে তিনি আয় করবেন কিংবা অন্যকিছু।
তিনি সাইট গুলা শুধুমাত্র তৈরি করেছিলেন সময় পাস করার জন্য কিংবা বন্ধুদের সাথে মজা নেওয়ার জন্য!
যদি এ সাইট গুলো সফল হয়েছিল কিন্তু তিনি এগুলোতে তেমন একটা জোর দেন নি!
তারপর তিনি মাত্র 23 বছর বয়সে কৌতুহলের বশে 2004 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৈরি করেন ফেসবুক!
কিন্তু যখন তিনি এই সাইটটি তৈরী করেন তখন এর নাম আসলে ফেসবুক ছিল না এটি নাম ছিল দ্যা ফেইসবুক ডটকম!
তাহলে হয়তো প্রশ্ন হতে পারে পরবর্তীতে এটার নাম ফেসবুক কেন রাখা হলো?
আসলে এটা ফেসবুক রাখা হয়েছিল এর জন্য তিনি যেহেতু হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছিলেন!
আর তখন কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইতো কিংবা অন্য কিছু করতে চাইতো তখন এখানে তাকে একটি ফরম ফিলাপ করতে হতো!
যাতে ওই ব্যবহারকারীর সমস্ত পরিচয় পত্র লেখা থাকত এবং সেটারই নাম ছিল ফেসবুক!
তখনই মার্ক জুকারবাগ সাইটটির নাম দ্য ফেসবুক ডটকম’ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ফেইসবুক লিখে দেন!
মার্ক জুকারবাগ এবং তার কয়েকজন বন্ধুদের একান্ত প্রচেষ্টায় তিনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরিতে বসেই
ফেসবুক চালু করেন জাকারবার্গ।
ফেসবুক চালুর সময়
মার্ক জুকারবার্গ এর সঙ্গে কাজ করেন
তাঁর সহপাঠী এবং রুমমেট এডওয়ার্ড
সাভেরিন, অ্যান্ড্রু ম্যাককলাম,
ডাস্টিন মস্কোভিৎজ ও ক্রিস হগস।
এই কথাটি সত্য যে আর জুকারবাগ এবং তার সহপাঠীরা প্রথমত ফেইসবুক কে তৈরি করেছিলেন শুধুমাত্র ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষার্থীর জন্য।
কিন্তু মাত্র 24 ঘন্টার মধ্যেই এই ফেসবুকের জনপ্রিয়তা দেখে মার্ক জুকারবাগ চমকে উঠেছিলেন।
বিষয়টা এরকম ফেসবুক তৈরি করা 24 ঘন্টা পরে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় 10 হাজার 200 ফেসবুকে সাইন আপ করে ছিল! (কিংবা তার চেয়েও বেশি)
কিন্তু জুকারবাগ লক্ষ্য করলেন যে এর এক মাস পরেই পুরো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে সাইন আপ করে ছিল!
হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় জনপ্রিয় তারপরে এটা বোস্টনের নানা বিশ্ববিদ্যালয় ও জনপ্রিয়তা লাভ করে।
এত জনপ্রিয়তা দেখে মার্ক জুকারবাগ facebook.com এর ডোমেইন সার্ভারটি প্রায় 2 লক্ষ ডলার দিয়ে কিনে নেন!
প্রথমত এটি যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও এতে সফল হওয়ার পরে তারা যুক্তরাজ্যেও এর প্রকাশনা চালায় এবং এতেও তারা সফল হয়।
এবং তখন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এরা এটি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হয় এবং এতে সাইন আপ করে!
যদিও এর মাঝে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে মার্ক জুকারবার্গ এর সম্বন্ধে!
আর সেটা হলো ২০০৪ সালে জাকারবার্গের বিরুদ্ধে আইডিয়া এবং কোডিং চুরির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনেন দিব্য নরেন্দ্র, ব্রাদার্স ক্যামেরন এবং টেইলর উইংকলভস।
তাদের অভিযোগ ছিল যে তারাও একটি কানেক্ট ইউ নামক ওয়েবসাইট তৈরি করেছিলেন যার কম্পিউটারের কাজে ছিলেন মার্ক জুকারবার্গ।
এবং তারা এটা বলে যে তিনি যখন এ কাজগুলো করেন তখন তিনি তাদের কোডিং চুরি এবং তাদের আইডিয়া চুরি করে তৈরি করেছিলেন ফেসবুক!
কিন্তু 2007 সালের এই মামলাটি নিষ্পত্তি হয় কোন রকম রায় ছাড়াই! যদিও উনার উপরে তোলা এই মামলাটি ভুল বলে গণ্য হয়!
আর তখন ফেইসবুক সাধারণত বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করতো অন্য কোন উপায় ছিল না বলে!
অনেকে বলে যে 2007 সালে গুগল এবং ইয়াহু ফেইসবুক কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় যদিও যার মূল কারণ ছিল এর তুমুল জনপ্রিয়তা।
কিন্তু এই বিষয়টাকে অনেকে গুজব বলে চালিয়ে দেন যে এটা আসলে সত্যি কিংবা সত্যি না হতে পারে!
যদিও জানা যায় সেই সময় গুগল এবং ইয়াহু প্রায় দুই হাজার কোটি ডলার দাম করেছিল ফেইসবুক কেনার জন্য!
কিন্তু মার্ক জুকারবার্গ এটি বিক্রয় করতে দ্বিধাবোধ করেন এবং তিনি এটি বিক্রয় করেন নি!
এবং পরবর্তীতে 2007 সালে এর ব্যবহারকারী প্রায় তিন কোটি ছাড়িয়ে যায়!
যার সংখ্যা এখন প্রায় 238 কোটি!